২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভারত জুড়ে ব্ল্যাক ফাংগাস আতঙ্ক

ভারত জুড়ে ব্ল্যাক ফাংগাস আতঙ্ক - ছবি সংগৃহীত

মিউকোরমাইকোসিস। যার সাধারণ নাম ব্ল্যাক ফাংগাস। নতুন এই রোগ আতঙ্ক ছড়িয়েছে ভারতে।

চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে নতুন এই ফাংগাস দেখা গেছে।

সংবাদসংস্থা পিটিআই দাবি করেছে, এর জেরে ভারতের মহারাষ্ট্রে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গে এখনো এই রোগে আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি।

চিকিৎসকরা বলেছেন, এ রাজ্যেও ব্ল্যাক ফাংগাস হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

গুজরাটে এখন পর্যন্ত ৬৭ জনের দেহে ব্ল্যাক ফাংগাস বা মিউকোরমাইকোসিস পাওয়া গেছে। সবাই বিজে মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কোনো কোনো রোগীর শরীরে একাধিক অস্ত্রপচার করতে হচ্ছে। ছয়-সাত বার করে অস্ত্রপচারও করতে হয়েছে।

মহারাষ্ট্রে ২০০ জনের শরীরে এই রোগ পাওয়া গেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে জানিয়েছেন, ব্ল্যাংক ফাংগাসে আক্রান্ত রোগীদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা দেয়া হবে।

দিল্লিতেও এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার কথা জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের প্রধান। দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালেও বেশ কিছু রোগী এই রোগ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন।

চিকিৎসক মণীশ মুনজত জানিয়েছেন, ব্ল্যাক ফাংগাসে আক্রান্তদের চোখের দৃষ্টি নষ্ট হচ্ছে, নাক ও থুতনির হাড়ে ক্ষয় হচ্ছে। রোগীদের দ্রুত ওজন কমে যাচ্ছে।

চিকিৎসকদের বক্তব্য, করোনায় শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তার ওপর হাই ডোজের স্টেরয়েড দেয়া হচ্ছে। অধিকাংশ ডায়বেটিসের রোগীর করোনা চিকিৎসার পর ব্ল্যাক ফাংগাস রোগ হচ্ছে। শরীরের ভেতর ফাংগাস বাসা বাঁধছে।

এদিকে ডাব্লিউএইচও ভয়াবহ তথ্য সামনে নিয়ে এসেছে। তাদের বক্তব্য পৃথিবীর ৪৪টি দেশে ভারতীয় করোনা সংস্করণ ছড়িয়ে পড়েছে। দ্রুত তা ছড়াচ্ছে। সোমবারই এই সংস্করণকে উদ্বেগজনক বলে দাবি করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

ডাব্লিউএইচও জানিয়েছে, পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ভারতীয় সংস্করণের ভাইরাস যুক্তরাজ্যের ভাইরাসের চেয়ে দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, টিকা নেয়া থাকলেও এই ভাইরাস সেই বাধ মানছে না। তবে টিকা নেয়া থাকলে ভাইরাসের মারণক্ষমতা কমে যাচ্ছে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ভারতে। মারা গেছেন চার হাজার ২০৫ জন। বিশ্বের কোথাও একদিনে এত মানুষ করোনায় মার যায়নি। আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৪৮ হাজার মানুষ। তবে সুস্থ হওয়ার সংখ্যাও বেড়েছে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement