২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মালয়েশিয়ায় লকডাউন : প্রবাসীদের কর্মস্থলে যেতে অনুমতি লাগবে না

মালয়েশিয়ায় লকডাউন : প্রবাসীদের কর্মস্থলে যেতে অনুমতি লাগবে না - ছবি- নয়া দিগন্ত

মালয়েশিয়ায় ভারতীয় করোনা ভেরিয়্যান্ট শনাক্তের পর ৭ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার এমসিও ৩.০ লকডাউন ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। শিল্প কারখানা ও অফিস খোলা থাকছে এ লকডাউনে। লকডাউনে প্রবাসীদের নিজ কর্মস্থলে যাতায়াতে পুলিশের অনুমতিপত্রের দরকার ছিল। এতে অনেকেই কর্মস্থলে যেতে বিপাকে পড়েন। এমন প্রেক্ষাপটে সরকারের নতুন ঘোষণা আসে। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ১০ মে, সোমবার থেকে প্রবাসীরা নিজ কর্মস্থলে যাতায়াতে পুলিশের আর কোনো অনুমতিপত্রের প্রয়োজন নেই। মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় (এমআইটিআই) এ ঘোষণা দিয়েছে।

রোববার সকালে দেশটির জাতীয় সংবাদমাধ্যম মালায় মেইলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বৈধ ওয়ার্কপারমিটধারী প্রবাসীরা তাদের নিজ নিজ কোম্পানির কর্মস্থলে যেতে তাদের মালিকের সূরত (ডকুমেন্টস) বা ভিসা-ই যথেষ্ট। এ ক্ষেত্রে পুলিশের অনুমতিপত্র থাকা বাধ্যতামূলক নয়। প্রবাসীকর্মীরা পুলিশের অনুমতিপত্র ছাড়াই লকডাউন ঘোষিত এলাকার ভেতরে ও কাজের প্রয়োজনে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে পারবেন। এই আপডেট ঘোষণা জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল ও সংশ্লিষ্ট সকলকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এর আগের দিন শনিবার সিনিয়র মন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব এক ঘোষণায় বলেছিলেন, লকডাউন ঘোষিত এলাকায় ও এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ভ্রমণ করতে পুলিশের অনুমতিপত্র লাগবে। এ ঘোষণার এক দিন পরই দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় নতুন ঘোষণা দিল। এতে প্রবাসী শ্রমিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে বলে জানা গেছে।

মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকরা বলছেন, সব প্রবাসীরা পুলিশের অনুমতিপত্র সংগ্রহ করে কর্মস্থলে যেতে পারছিলেন না। ফলে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তবে নতুন ঘোষণায় তাদের আর কোনো সমস্যা নেই।

মালয়েশিয়ায় করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় তিন দফা লকডাউন ঘোষণা করেছে। তবে চলমান লকডাউনে অর্থনীতি মন্দার আশঙ্কায় সরকারি-বেসরকারি অর্থনৈতিক খাতগুলো খোলা রাখা হয়েছে।

দেশটির নাগরিক ও প্রবাসী মিলিয়ে সাড়ে তিন কোটি বাসিন্দার মধ্যে শনিবার পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে চার হাজার ৫১৯ জন। এ সময় আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ২৫ জন। জনসংখ্যা অনুপাতে যা ভারত ও বাংলাদেশের চেয়ে বেশি।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডোমিটারে সবশেষ প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, মালয়েশিয়ায় এ পর্যন্ত সাড়ে তিন কোটি মানুষের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ছয় লাখ ৩৬ হাজার ৯৪৪ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছে এক হাজার ৬৫৭ জন। সংক্রমণে বিশ্বের শীর্ষ তালিকায় মালয়েশিয়ার অবস্থান ৪২তম। যেখানে সৌদির অবস্থান ৪৩তম।


আরো সংবাদ



premium cement