২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

‘চেক প্রজাতন্ত্রের অস্ত্র-গুদামে বিস্ফোরণের পেছনে রুশ গুপ্তচররাই জড়িত’

‘চেক প্রজাতন্ত্রের অস্ত্র-গুদামে বিস্ফোরণের পেছনে রুশ গুপ্তচররাই জড়িত’ - ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের সলসবারি শহরে ২০১৮ সালে বিষাক্ত রাসায়নিক নভিচক দিয়ে হামলার জন্য যে দু’রুশ গুপ্তচরকে সন্দেহ করা হয়, তাদের সাথে চেক প্রজাতন্ত্রের এক অস্ত্র গুদামে বিস্ফোরণের সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ওই বিস্ফোরণ ও বুলগেরিয়ায় বিষাক্ত রাসায়নিক প্রয়োগের আরেকটি চেষ্টার সাথে রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা জিআরইউ'র একটি ইউনিটের সম্পর্ক আছে।

ইউরোপীয় গুপ্তচর সংস্থাগুলোর বিশ্বাস, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নাশকতা, ধ্বংসাত্মক কাজ ও গুপ্তহত্যার মতো কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জিআরইউ’র ইউনিট ২৯১৫৫-কে। রুশ পার্লামেন্টের একজন সিনিয়র সদস্য অবশ্য এ দাবিকে ‘হাস্যকর’ বলে মন্তব্য করেছেন।

চেক প্রজাতন্ত্রের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন ২০১৪ সালের ওই বিস্ফোরণের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে তারা গুপ্তচর সন্দেহে ১৮ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করছেন। অস্ত্র গুদামের ওই বিস্ফোরণে নিহত হয় দু’জন।

চেক প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রে বাবুশ বলেছেন, এ বিস্ফোরণের সাথে জিআরইউ-র একটি ইউনিটের যোগসাজশ খুঁজে পাওয়ার পর তার দেশকে ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।

চেক প্রজাতন্ত্র তাদের এ সন্দেহের কথা ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে জানাবে এবং সামনের সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা করবে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী জান হ্যামাসেক।২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর এক বিরাট বিস্ফোরণে চেক প্রজাতন্ত্রের বনে অবস্থিত এক অস্ত্র গুদাম উড়ে যায়।

বিস্ফোরণের ধাক্কায় আশপাশের এলাকার বাড়িঘরের কাচের জানালা পর্যন্ত ভেঙে পড়ে। স্থানীয় স্কুলগুলো খালি করে সবাইকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়। এ ঘটনায় যে দু’জন নিহত হন, তাদের লাশ খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল এক মাস পর। ৫৬ ও ৬৯ বছর বয়সী ওই দু’জন অস্ত্র গুদামে কাজ করতেন।

চেক গোয়েন্দারা বিগত বছরগুলোতে এ ঘটনার তদন্তে অনেক সময় ব্যয় করেছেন। তাদের তদন্তে এখন এ ঘটনার জন্য মস্কোর দিকেই সন্দেহের আঙ্গুল উঠছে। বলা হচ্ছে এর সাথে রুশ গুপ্তচর সংস্থা জিআরইউ-র একটি ইউনিট, ২৯১৫৫-এর সম্পর্ক আছে।

যুক্তরাজ্যের সলসবারি শহরে সাবেক এক রুশ এজেন্টের ওপর নভিচক হামলার পর ইউরোপীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আগে ঘটেছিল এমন কিছু ঘটনার তদন্ত শুরু করে। এসব ঘটনার কোনো যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছিল না।

চেক প্রজাতন্ত্রের পুলিশের কাছে ২০১৪ সালের বিস্ফোরণটি ছিল এরকমই এক ঘটনা। তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ যেসব তথ্য পেয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে একটি ইমেইল। তদন্তের সাথে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, আইমেক্স বলে যে কোম্পানি ওই গুদামটি পরিচালনা করতো, তাদের কাছে এ ইমেইলটি পাঠানো হয়।

ইমেইলটিতে দাবি করা হয়েছিল, এটি এসেছে ন্যাশনাল গার্ড অব তাজিকিস্তানের কাছ থেকে। ইমেইলের সাথে অ্যাটাচমেন্ট হিসেবে পাঠানো হয় দু’জনের পাসপোর্টের স্ক্যান করা কপি।

পাসপোর্ট অনুযায়ী এ দু’জন হচ্ছেন তাজিকিস্তানের রাসলান বশিরভ ও মোলডোভিয়ার নিকোলাজ পপা। এ দু’জনের ছবি মিলে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের সলসবারিতে হামলার জন্য অভিযুক্ত দু’জনের ছবির সাথে।

সলসবারির ঘটনার সাথে সম্পর্ক
এ দু’ব্যক্তি রাসলান বশিরভ ও আলেক্সান্ডার পেট্রভ নামে যুক্তরাজ্যে এসেছিল ২০১৮ সালের মার্চ মাসে। সলসবারির সিসিটিভি ক্যামেরায় তাদের দু’জনের ছবি রেকর্ড হয়ে যায়। সলসবারিতে পক্ষত্যাগ করা সাবেক রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্কিরপালের বাড়ির দরোজার হ্যান্ডেলে নভিচক লাগিয়ে দেয়ার ঘটনায় মেট্রোপলিটন পুলিশ এ দু’জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করে।

নভিচকের বিষক্রিয়ায় স্কিরপাল ও তার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর কয়েক মাস পর ডন স্টারজেস বলে স্থানীয় এক নারী মারা যান। তিনি যিনি নভিচক ছিল এমন একটি পরিত্যক্ত পারফিউমের শিশি তুলে নিয়েছিলেন।

অনুসন্ধানী ওয়েবসাইট ‘বেলিংক্যাট’ ঘটনার পরপরই রাসলান বশিরভের আসল পরিচয় আনাতোলি চেপিগা ও আলেক্সান্ডার পেট্রভকে আলেক্সান্ডার মিশকিন বলে চিহ্নিত করেছিল। তারা বলেছিল, এ দু‘জন আসলে রুশ গুপ্ত সংস্থা জিআরইউ’র অফিসার।

কিন্তু এ দু’জন এরপর রুশ টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়ে ঘটনার সাথে তাদের কোনো সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন। নিজেদেরকে তারা ‘ক্রীড়া পুষ্টিবিদ’ বলে দাবি করে বলেন, সলসবারিতে তারা বেড়াতে গিয়েছিলেন সেখানকার ‘গির্জাটির চূড়া দেখার জন্য।’

এ দু’জন যে পরিচয় ব্যবহার করে সলসবারিতে আসে, ২০১৪ সালের ১১ অক্টোবর একই পরিচয় ব্যবহার করে তারা প্রাগ বিমানবন্দরে গিয়েছিল।

তারা দু’দিন প্রাগে ছিল (চেপিগা যে প্রাগে গিয়েছিল তার আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় তার পোস্ট দেখে জানা গিয়েছিল, তবে বিস্ফোরণের সাথে তার কোনো সম্পর্কের কথা তখনো জানা যায়নি)। ১৩ অক্টোবর অস্ত্র গুদামের কাছের একটি নিবাসে তারা উঠেছিল। ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত তারা সেখানে ছিল।

বিস্ফোরণটি ঘটেছিল ১৬ অক্টোবর আর ওই দিন এ দু’জন ভিয়েনা বিমানবন্দরের দিকে রওনা হয় মস্কো-গামী ফ্লাইট ধরার জন্য। চেক কর্তৃপক্ষ এখনো জানেনা কীভাবে এ অস্ত্র গুদামটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছিল।

সংশ্লীষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় দু’জনের সংশ্লিষ্টতার আরেকটি ক্লু হচ্ছে একটি ইমেইল, যাতে তাদেরকে অস্ত্র গুদাম পরিদর্শনে যেতে দিতে অনুরোধ করা হয়েছিল। তাজিকিস্তান থেকে এসেছে বলা হলেও ইমেইলটি আসলে পাঠানো হয় রাশিয়া থেকে। ‘আন্দ্রে ও’ নামের একজনের স্কাইপ একাউন্টের সাথে ইমেইলটি যুক্ত।

নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রথম এ খবর বেরিয়েছিল যে ইউনিট-২৯১৫৫-এর কমান্ডার হচ্ছেন আন্দ্রে এভারিয়ানভ। এটি তার ছদ্ম পরিচয়।

বিষ প্রয়োগের আরেকটি ঘটনা
কিন্তু রুশ গুপ্তচর সংস্থা কি কারণে এরকম একটি অস্ত্র-গুদাম উড়িয়ে দিতে চাইবে? সেখানে যারা অস্ত্র রাখছিল, তাদের একজন বুলগেরিয়ান অস্ত্র ব্যবসায়ী, তার নাম এমিলিয়ান গেবরেভ বলে বিভিন্ন সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে। ইউনিট ২৯১৫৫-এর সাথে এই ঘটনার সম্পর্কের আরেকটি সূত্র এটি।

চেক প্রজাতন্ত্রে বিস্ফোরণের ছয় মাস পর, ২০১৫ সালের এপ্রিলে গেবরেভ বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক মাস হাসপাতালে থাকার পর তিনি ছাড়া পান, কিন্তু তারপর আবারো অসুস্থ হয়ে যান। বিভিন্ন রকম সন্দেহ সত্ত্বেও বুলগেরিয়ান কর্তৃপক্ষ এ অসুস্থতার কারণ ফুড পয়জনিং বলেই ধরে নেন। কেবলমাত্র ২০১৮ সালের সলসবারির ঘটনার পরই এটি নতুন করে সবার মনোযোগে আসে।

‘তৃতীয় ব্যক্তি’
সের্গেই ফেডোটভ নামে তৃতীয় এক ব্যক্তিকেও চিহ্নিত করা হয় যিনি যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন সলসবারিতে হামলার ঘটনার তদারকি করতে। বুলগেরিয়ায় গেবরেভ বিষক্রিয়ার শিকার হয়েছিলেন যখন, তখন ওখানেও তাকে দেখা গেছে।

বুলগেরিয়ান কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছেন, ২০১৫ সালের এপ্রিলে ফেডোটভ ও ইউনিট-২৯১৫৫-এর দু’এজেন্ট গেবরেভের অফিস কমপ্লেক্সের ভেতর একই হোটেলে উঠেছিলেন। এরা নাকি এ হোটেলে এমন রুম চেয়েছিলেন, যেখান থেকে হোটেলের আন্ডারগ্রাউন্ড কারপার্ক দেখা যায়।

গত বছর একজন বুলগেরিয়ান তদন্ত কর্মকর্তা এ কার পার্কের ওপর যে ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি চালানো হয় তার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেন। এতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি গেবরেভের গাড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গেবরেভের ছেলে ও তার ব্যবসায়িক পার্টনারের গাড়ির দিকেও তাদের যেতে দেখা যায়। এ দু’জনও পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

অনুমান করা হয়, গাড়ির দরোজার হ্যান্ডেলে কোনো বিষাক্ত পদার্থ লাগিয়ে দেয়া হয়েছিল, যেভাবে সলসবারিতে সের্গেই স্কিরপালের বাড়ির দরজায় নভিচক প্রয়োগ করা হয়।

ফেডোটভের রিটার্ন ফ্লাইট ছিল দু’দিন পর। কিন্তু এপ্রিলের ২৮ তারিখেই তিনি বুলগেরিয়া ছাড়েন, যেদিন বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটেছিল।

গেবরেভকে কেন টার্গেট করা হয়েছিল
গেবরভ নাকি মস্কোর অমত সত্ত্বেও বেশ কিছু দেশে অস্ত্র সরবরাহ করছিলেন, যার মধ্যে সম্ভবত ইউক্রেনও ছিল। আরো কিছু দেশে, যেখানে অস্ত্র রফতানির ক্ষেত্রে রুশ ব্যবসায়ীরা ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী। কোনো একটা ব্যবসায়িক চুক্তির কারণে হয়তো তার সাথে এমন এক ক্ষমতাবান রুশ ব্যবসায়ীর সাথে শত্রুতা তৈরি হয়েছিল, যার সাথে রুশ গুপ্ত সংস্থা জিআরইউ-র সম্পর্ক ছিল।

২০১৪ সালের অক্টোবরে চেক অস্ত্র গুদামে বিস্ফোরণের লক্ষ্য হয়তো ছিল গেবরেভের ব্যবসায়িক স্বার্থের ক্ষতি করা, অথবা তাকে হুঁশিয়ারি দেয়া। এ ঘটনার পর তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।

তবে কেবল দু’জন নিরীহ ব্যক্তিই এসব ঘটনার শিকার হয়ে মারা গেছেন, এরা দু’জনেই কাজ করতেন চেক প্রজাতন্ত্রের অস্ত্র গুদামে। (২০১৫ সালে বুলগেরিয়ার অস্ত্র গুদামেও বিস্ফোরণ ঘটে, তবে এর সাথে এ ঘটনার কোনো সম্পর্কের কথা এখনো প্রকাশ্যে বলা হয়নি)।

শনিবার চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী অস্ত্র-গুদামে বিস্ফোরণের সাথে রুশ গুপ্ত সংস্থা জিআরইউ-র সম্পর্কের প্রমাণ ঘোষণা করে বলেন, রুশ দূতাবাসের ১৮ জন কর্মকর্তাকে তারা গুপ্তচর বলে চিহ্নিত করেছেন। এদেরকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়তে হবে।

চেক পুলিশ দু’জন সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করেছে, তারা এদের সাথে কথা বলতে চায়। কিন্তু রাশিয়া বলছে, তাদের দেশের সংবিধানে কোনো নাগরিককে অন্য দেশের কাছে হস্তান্তরের কোনো সুযোগ নেই।

ইউনিট ২৯১৫৫
চেক মন্ত্রীরা বিশেষ করে সন্দেহের আঙ্গুল তুলছেন ইউনিট-২৯১৫৫-এর দিকে। ইউরোপীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, এ ইউনিটের মিশন হচ্ছে অন্তর্ঘাত, ধ্বংসাত্মক কাজ এবং গুপ্ত হত্যা চালানো।

তাদের ধারণা এ ইউনিটে আছে দুই শ’র মতো লোক, তবে এর মধ্যে ২০ জনের মতো এজেন্ট হয়তো আসল কাজ করে, বাকিরা তাদের কাজে সহায়তা করে।

সলসবারি, বুলগেরিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্র ছাড়াও এ ইউনিটকে আরো অনেক ঘটনার জন্য সন্দেহ করা হয়। এর মধ্যে আছে ২০১৬ সালে মন্টিনেগ্রোতে এক অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা।

কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ এখন অতীতের ভ্রমণ রেকর্ড যাচাই করে দেখছে, এর সাথে সন্দেহজনক কিছু ঘটনার কোনো সম্পর্ক আছে কি-না। এর মানে হচ্ছে, চেক প্রজাতন্ত্রের ঘটনাই হয়তো শেষ নয়, এরকম আরো ঘটনা থাকতে পারে।

সলসবারি ও চেক প্রজাতন্ত্রের ঘটনায় যে দু’জনকে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তাদেরকে কিন্তু ২০১৮ সালে চিহ্নিত করার পর আর প্রকাশ্য দেখা যায়নি। কিন্তু পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ার ইউনিট-২৯১৫৫ এখনো সক্রিয়।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব বলেছেন, চেক প্রজাতন্ত্রের প্রতি তার দেশের পূর্ণ সমর্থন আছে। তিনি বলেন, রুশ গুপ্ত-সংস্থাগুলো ইউরোপে বিপদজনক এবং মারাত্মক হামলা চালানোর জন্য কতদূর পর্যন্ত যেতে পারে সেটা চেকরা উন্মোচিত করে দিয়েছে।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement