২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনী : দুই দশকের আগ্রাসন

আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন সৈন্য - ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের আগে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের মাধ্যমে দেশটির ইতিহাসের দীর্ঘতম যুদ্ধ সমাপ্ত করার। বুধবার হোয়াইট হাউজে এক ভাষণে এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

সেনা প্রত্যাহারে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এই ডেডলাইন তাৎপর্যপূর্ণ। এই বছর ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে নাইন-ইলেভেন সন্ত্রাসী হামলার ২০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠিত হবে। ওই হামলার জেরে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায়।

দুই দশকের এই যুদ্ধে মার্কিন সামরিক বাহিনীর দুই হাজার তিন শ'র বেশি সদস্য প্রাণ হারায় এবং হাজার হাজার মার্কিন আহত হয়। পাশাপাশি অগণিত আফগান নাগরিক যুদ্ধের শিকারে পরিণত হয়। দুই ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ এই যুদ্ধের ব্যয়ে খরচ করা হয়।

এখানে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ বছর অবস্থানের সংক্ষিপ্ত খতিয়ান উল্লেখ করা হলো।

তালেবানের উত্থান

সোভিয়েত ইউনিয়নের ১৯৮০-এর দশকে আফগানিস্তান আগ্রাসনকালে প্রতিরোধকামী যোদ্ধারা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবিরাম লড়াই শুরু করে। মুজাহিদিন নামে পরিচিত এই যোদ্ধাদের প্রতিরোধে শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত রাশিয়া আফগানিস্তান ছাড়তে বাধ্য হয়। এই প্রতিরোধকামী যোদ্ধাদের একজন ছিলেন ওসামা বিন লাদেন।

সোভিয়েত আগ্রাসন প্রতিরোধে আফগান মুজাহিদিনদের এই সময় সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র।

আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত বাহিনীর বিদায় নেয়ার পর ক্ষমতার দ্বন্দ্বে মুজাহিদিনদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে গৃহযুদ্ধের সূচনা হলে তার বিরোধিতায় মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের নেতৃত্বে তালেবান সংগঠিত হয়। আফগানিস্তানে তারা গৃহযুদ্ধে লিপ্ত পক্ষগুলোর কাছ থেকে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। দেশটিতে তারা চরমপন্থার রক্ষণশীল শাসন প্রতিষ্ঠা করে।

২০০১ সালের মধ্যে আফগানিস্তানের প্রায় পুরো ভূখণ্ড তালেবানের নিয়ন্ত্রণে ছিল।

আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন

যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় দেশটি আন্তর্জাতিক উগ্রবাদী সংগঠন আল-কায়েদাকে দায়ী করে। আফগানিস্তানে সোভিয়েতবিরোধী লড়াইয়ে অংশ নেয়া সৌদি আরব থেকে আসা যোদ্ধা ওসামা বিন লাদেন এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।

তালেবান শাসনাধীন আফগানিস্তান থেকে ওসামা বিন লাদেন তার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। নাইন-ইলেভেন হামলার জন্য ওসামা বিন লাদেনকে মূল পরিকল্পনাকারী অভিযোগ করে মার্কিন সরকার ওই সময় তালেবান কর্তৃপক্ষের কাছে তাকে হস্তান্তরের জন্য দাবি জানালে তালেবান তা প্রত্যাখ্যান করে। তালেবানের সাথে এই দ্বন্দ্বের জেরে অক্টোবরে আফগানিস্তানে আগ্রাসন শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন আইন পরিষদের সম্মিলিত সমর্থন

আফগানিস্তানে আগ্রাসনে মার্কিন আইন পরিষদ কংগ্রেসের দুই দলের সদস্যরাই প্রায় সম্মিলিতভাবেই সমর্থন দেন। নাইন-ইলেভেনের ঘটনার এক সপ্তাহ পরেই সামরিক শক্তি প্রয়োগের এক প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসে পাস করা হয়। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত ডেমোক্রেট দলীয় সদস্য বারবারা লি একমাত্র এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। আফগানিস্তানে প্রয়োগের জন্যই প্রথমে এই প্রস্তাব প্রণয়ন করা হলেও কংগ্রেসের রিসার্চ সার্ভিসের তথ্যানুসারে পরবর্তীতে অন্তত ৩৭টি ভিন্ন দেশের ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা এটি প্রয়োগ করেন।

আগ্রাসনে জর্জ ডব্লিউ বুশের বক্তব্য

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ন্যাটো বাহিনীর আফগানিস্তানে এই আগ্রাসনকে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই' হিসেবে বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, 'সতর্কভাবে নিশানা নেয়া এই অভিযানের উদ্দেশ্য আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টাকে নস্যাৎ করা এবং তালেবান শাসনের সামরিক সক্ষমতায় আঘাত হানা।'

এই অভিযানকে তিনি 'স্থায়ী স্বাধীনতা' প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে পরিচালনার ঘোষণা করলেও পরবর্তীতে তা দেশটিতে স্থায়ী যুদ্ধই প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি করে।

আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন সৈন্য সংখ্যা

আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ বছরের অবস্থানে দেশটিতে মোতায়েন মার্কিন সৈন্য সংখ্যা বিভিন্ন সময়ই ওঠানামা করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামার দায়িত্ব গ্রহণের সময় দেশটিতে প্রায় এক লাখ মার্কিন সৈন্য মোতায়েন ছিল। ওবামা আফগানিস্তানের যুদ্ধ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করতে ২০১৪ সালে উদ্যোগ নেন কিন্তু তার পরিকল্পনার চেয়েও বেশি সৈন্যকে দেশটিতে রেখে আসতে হয়। পরে তার উত্তরসূরী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তানে নতুন মার্কিন সৈন্য পাঠান এবং তালেবানের সাথে শান্তি আলোচনা শুরু করেন।

আফগানিস্তানে নিহত মার্কিন সৈন্য

আফগানিস্তানে দুই দশকের সংঘাতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর মোট দুই হাজার তিন শ' ১২ সদস্য দায়িত্ব পালনের সময় প্রাণ হারায় বলে পেন্টাগন সূত্রে জানা যায়। এর মধ্যে মূল অভিযানে দুই হাজার দুই শ' ১৮ জন নিহত হয়। পরে ২০১৪ সালে অভিযান শেষে আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণের মিশনে দায়িত্ব পালনকালে ৯৪ জন প্রাণ হারায়।

২০১০ সালে মার্কিন বাহিনীর সবচেয়ে বেশি প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে। ২০১৪ সালে অভিযান সমাপ্তের পর প্রাণহানীর হার কমে এসেছে।

ওসামা বিন লাদেনের পরিণতি

যেই ওসামা বিন লাদেনকে লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে আগ্রাসন শুরু করে, আগ্রাসন শুরু হওয়ার পরই তিনি আত্মগোপন করেন। পরে ২০১১ সালের মে মাসে পাকিস্তানে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় মার্কিন নেভি সিল সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাকে হত্যা করে।

তালেবান নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানের অবস্থা

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদক নিক প্যাটন ওয়ালেশ সম্প্রতি আফগানিস্তানের তালেবান নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সফর করেছিলেন। তিনি ও তার দলের কর্মীরা কোনো নারীকেই রাস্তায় চলাফেরা করতে দেখেননি।

প্যাটন ওয়ালেশ তার প্রতিবেদনে লিখেন, 'কাবুল ও প্রধান প্রধান শহরগুলো সরকারি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও প্রত্যন্ত আফগানিস্তানের বিশাল অঞ্চল তালেবান ও অন্য বিভিন্ন গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মুসা কালায় পাঁচ বছরের বেশি সময় তাদের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যদিও আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে দক্ষিণে হেলমান্দ প্রদেশে নিয়মিতভাবেই সংঘর্ষ হচ্ছে।'

প্যাটন ওয়ালেশকে স্থানীয়রা জানান, তালেবানের ক্ষমতার বিরুদ্ধে যাওয়ার সাধ্য কারো নেই।

আফগানিস্তানে যে লক্ষ্য অর্জনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা

'স্থায়ী স্বাধীনতা' প্রতিষ্ঠার কথা বললেও আফগানিস্তানে কোনো স্বাধীনতার প্রতিষ্ঠা বা তালেবানের নিপীড়ন থেকে আফগান নারীকে মুক্তি দেয়া অথবা তালেবান শাসন সমাপ্ত করা যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের উদ্দেশ্য ছিল না। যুক্তরাষ্ট্র তালেবানে ও আফগান সরকারের মধ্যে শান্তি আলোচনায় কয়েক বছর ধরে চেষ্টা করে আসছে।

আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের সরলতম ব্যাখ্যা হতে পারে, আল-কায়েদার মতো উগ্রবাদী গোষ্ঠীর ঘাঁটি হিসেবে দেশটির ব্যবহৃত হওয়ায় বাধা দেয়া।

তবে সব প্রেসিডেন্টের আমলেই আফগানিস্তানে মার্কিন মিশন সমাপ্তের প্রসঙ্গে নীতির পরিবর্তনে এই মিশন থেকে মার্কিন অর্জন সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন বিবৃতি শোনা যাচ্ছে।

২০১৯ সালে ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন সব সরকারই মার্কিনীদের শুরু থেকেই আফগানিস্তান সম্পর্কে ভুল পথে পরিচালিত করে আসছে।

১১ সেপ্টেম্বরের পর আফগানিস্তান

এই বছর ১১ সেপ্টেম্বরের পর আফগানিস্তানে মার্কিন কূটনীতিকদের সহায়তার জন্য অল্প কিছু সৈন্য মোতায়েন থাকবে। তবে তার যথার্থ
সংখ্যা স্পষ্ট নয়।

পরিস্থিতির অবনতিতে

এরমধ্যেই যদি পরিস্থিতির অবনতি হয় তবে এক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট বাইডেনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন এবং এতে কোনো শর্তযুক্ত থাকবে না।

বাইডেনের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া

আফগানিস্তান থেকে বাইডেনের মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারে দুই দলের সদস্যদের মধ্য থেকেই সমালোচনা করা হয়েছে।

বুধবার সিনেটে সংখ্যালঘু দলের নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেন, 'বস্তুত, নাইন-ইলেভেনের বার্ষিকীতে আমরা আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী অক্ষকে সহায়তা করছি দেশটিকে উপহার মোড়কে মুড়ে তাদের কাছেই ফেরত দেয়ার মাধ্যমে।'

অপরদিকে নিউ হ্যাম্পশায়ারের ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর জেন শাহিন এক টুইট বার্তায় বাইডেনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, এর মাধ্যমে আফগান জনগণ বিশেষ করে আফগান নারীদের প্রতি মার্কিন প্রতিশ্রুতিকে উপেক্ষা করা হয়েছে।

বাইডেনের সিদ্ধান্তের সমর্থন

প্রধানত ডেমোক্রেট দলীয় সদস্যরাই বাইডেনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন।

সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা চাক শুমার সিএনএনকে বলেন, 'আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট বাইডেন সুনির্দিষ্ট চিন্তা ও সতর্কতার সাথেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।'

সিএনএনের জন বারমানের 'নিউ ডে' প্রোগ্রামে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট নিরন্তর যুদ্ধ চান না এবং মার্কিন জনগণও যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান না।

যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর আফগানিস্তান ছাড়ার পর

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগান সরকার ও তালেবানদের মধ্যে শান্তি চুক্তি এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেপ্টেম্বরে এ সম্পর্কিত আলোচনা শেষ হবার কথা। মার্কিন শক্তি চলে গেলে তালেবান আফগান সরকারকে হটিয়ে দিবে বলে যে সকল মার্কিন সামরিক কমান্ডাররা উদ্বিগ্ন বাইডেন তাদের গুরুত্ব দিচ্ছেন না। মঙ্গলবার একটি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনে এ সকল বিষয় উল্লেখ করা হয়।

বিশ্বব্যাপী মার্কিন স্বার্থের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হুমকি নিয়ে করা এ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যদি ন্যাটো বাহিনী তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে, তাহলে তালেবান এ যুদ্ধে জয় লাভ করবে। আর আফগান সরকার তালেবানদের মোকাবেলায় হিমশিম খাবে।'

বাইডেন কেন অবশিষ্ট ২৫০০ মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করতে অতি ইচ্ছুক?

বাইডেন তার ভাষণে বলেছেন, যুদ্ধ শেষ করতে বা তালেবানকে বাধা দিতে কোনো মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে থাকবে না।

সিএনএনের ক্রিস্টিন আমানপুরকে একটি সূত্র বলেছে, ‘এটা কি সত্য নয় যখন আমাদের ৯৮,০০০ মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে ছিল তখনও তালেবানকে দমন করা যায়নি। এখন আফগানিস্তানে ২,৫০০ সেনা রেখে তাদেরকে কি দমন করা যাবে..আমরা মনে করি তারা (মার্কিন সেনারা) আফগানিস্তানের দৃশ্যপট বদলাতে পারবে না।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে তাদের কূটনীতিক ও আর্থিক নিষেধাজ্ঞার অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে। কিন্তু, মনে হয় না এসব উপায় অবলম্বন করে তারা কোনো ফল পাবে। কারন, মার্কিন বাহিনী দু’দশক ধরে আফগানিস্তানে কিছুই করতে পারেনি।

সূত্র : সিএনএন ও এবিসি নিউজ


আরো সংবাদ



premium cement
বিয়ের বাজার শেষে বাড়ি ফেরা হলো না চাচা-ভাতিজির প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন ভারতীয় ৩ সংস্থার মশলায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান সাবেক শিবির নেতা সুমনের পিতার মৃত্যুতে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের শোক গণকবরে লাশ খুঁজছেন শত শত ফিলিস্তিনি মা ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আলোচনায় নেতাদের ভাই-বোন ও সন্তান সংখ্যা চীনে শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা, ঝুঁকিতে ১৩ কোটি মানুষ ভারতের মাঝারি পাল্লার নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ৩ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার চেন্নাইকে হারাল লক্ষৌ ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হিজবুল্লাহর যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশী : ১ মেক্সিকো, ২ ভারত

সকল