১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে বন্দুক নিয়ে লড়ছেন বিক্ষোভকারীরা

নিহতের সংখ্যা ছাড়ালো ৬০০
হাতে তৈরি বন্দুক নিয়ে বিক্ষোভকারীরা - ছবি : আরকানসাস ডেমোক্রেট গেজেট/এপি

মিয়ানমারে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে এবার নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে বন্দুক নিয়ে লড়ছেন বিক্ষোভকারীরা। অপরদিকে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংস অবস্থানে দেশটিতে নিহতের সংখ্যা ছয় শ' পেরিয়েছে।

মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাও ও ইরাবতি বৃহস্পতিবার জানায়, দেশটির উত্তরের তাজে শহরে বিক্ষোভ দমনের জন্য ছয় ট্রাকবোঝাই সৈন্য পাঠানো হয়। এই সময় বিক্ষোভকারীরা বন্দুক, ছুরি ও আগুনবোমা নিয়ে সৈন্যদের প্রতিহত করতে গেলে সামরিক বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে বিক্ষোভকারীদের মোকাবেলায় আরো পাঁচ ট্রাক সৈন্য পাঠানো হয়।

সংবাদে জানানো হয়, বুধবার থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকা এই সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে।

অন্যদিকে সামরিক বাহিনীর সদস্যের হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে জানা যায়নি।

এদিকে মিয়ানমারের অবস্থা পর্যবেক্ষণকারী থাইল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি) তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে অন্তত ৬১৪ জন নিহত হয়েছেন।

সংস্থাটি আরো জানায়, বিক্ষোভ সংশ্লিষ্টতায় সামরিক জান্তার হাতে দুই হাজার আট শ' ৫৭ জন বন্দী রয়েছে। এছাড়া গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে আরো পাঁচ শ' জনের নামে।

অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সমর্থনের কারণে দেশটিতে অন্তত ১২০ জন তারকার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে সামরিক বাহিনী। এর অংশ হিসেবে বুধবার মিয়ানমারের জনপ্রিয় কৌতুকাভিনেতা জারগানারকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে সামরিক জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে নিহতদের প্রতীকিভাবে স্মরণ করা হয়। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কর্মীরা নিহতদের প্রতীকি জুতায় ফুল রেখে তাদের স্মরণ করেন।

১ ফেব্রুয়ারি তাতমাদাও নামে পরিচিত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান ঘটায় এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করে। সাথে সাথে দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিতর্কের জেরে এই অভ্যুত্থান ঘটায় সামরিক বাহিনী।

সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরেই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা অং সান সু চিসহ বন্দী রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির পাশাপাশি সামরিক শাসন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছেন।

সূত্র : আলজাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement