২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যে দেশের রাজপুত্র-রাজকন্যারাও খেটে খায়, এমনকি পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজও করেন

- ছবি : সংগৃহীত

রাজপ্রাসাদ নেই, মসনদও নেই, কিন্তু সিঙ্গাপুরে রাজকুমার, রাজকুমারীরা আছেন৷ দেখে চেনা যায় না তাদের৷

যাদের নামের সঙ্গে ‘টেঙ্কু' আছে, বুঝতে হবে তারাই রাজকুমার বা রাজকুমারী৷ কোন বংশের রাকজুমার বা রাজকুমারী? কেন সুলতান হুসেইন শাহর কথা মনে নেই? তার সঙ্গে চুক্তি করেই তো সিঙ্গাপুরে উপনিবেশিক শাসন শুরু করেছিল ব্রিটেন৷

গত শতকের শেষ দিকেও জরাজীর্ণ এক রাজপ্রাসাদে গাদাগাদি করে থাকতেন তারা৷ তখন রাজপ্রাসাদে অবশ্য সুলতানের ৭৯ জন বংশধরের মধ্যে মাত্র ১৪ জন ছিলেন৷ মাসোহারার আশ্বাস দিয়ে তাদের রাজপ্রাসাদ ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সরকার৷

সেই রাজপ্রাসাদ এখন জাদুঘর৷ রাজবংশের হয়েও টেঙ্কু শওল, টেঙ্কু আজান, টেঙ্কু ইন্দ্র, টেঙ্কু ফজল বা প্রিন্সেস পুতেরিকে এখন সেখানে যেতে হয় বেড়াতে৷

তারা যে এখন সাধারণ মানুষ!

টেঙ্কু ইন্দ্র কনসালট্যান্ট, তার ছেলে টেঙ্কু আজান ব্যবসায়ী, প্রাসাদচ্যুত হওয়ার পর কিছুদিন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করা টেঙ্কু ফয়জল ট্যাক্সিচালক আর টেঙ্কু পুতেরি এখন বায়োটেক ফার্মের কর্মী৷

টেঙ্কু ইন্দ্র বলছিলেন, ‘‘আপনি রাজপরিবারের কিনা তা আর এখন গুরুত্বপূর্ণ নয়৷ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পারিবারিক সূত্রে পাওয়া কোনো পরিচয় দিয়ে নয়, এখন জীবিকা নির্বাহ করতে হয় মেধা দিয়ে৷''

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement