২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

আবারো গণবিক্ষোভে উত্তাল থাইল্যান্ড

- সংগৃহীত

বেশ কিছু দিন ধরেই থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের রাজপথে অসংখ্য মানুষ বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোভকারীরা দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জেনারেল প্রায়ুথের পদত্যাগ চান। চান সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন হোক। এবং থাইল্যান্ডের রাজপরিবারের আইনি, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্তৃত্বের সংস্কারও রয়েছে বিক্ষোভকারীদের দাবির তালিকায়।

প্রধানত শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ থেকেই এ বিক্ষোভ প্রাথমিক ভাবে দানা বাঁধে। ছাত্রছাত্রীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন। নানা ব্যঙ্গচিত্র পোস্ট করে বিক্ষোভকে একটু-একটু চাঙ্গা করে তুলেছেন। সামরিক শাসনের মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠা থাইল্যান্ডের নতুন প্রজন্মের ক্ষোভ প্রথমদিকে শুধু জেনারেল প্রায়ুথের বিরুদ্ধেই ছিল। কিন্তু এখন তার সঙ্গে আরো অনেক দাবি যোগ হয়েছে।

২০১৪ সালে এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জেনারেল প্রায়ুথ থাইল্যান্ডের ক্ষমতা দখল করেন। ২০১৯ সালের নির্বাচনে জয়লাভও করেন তিনি। থাইল্যান্ডের অর্থনৈতিক অবস্থা আগে থেকেই খারাপ ছিল। জেনারেল প্রায়ুথকে মানুষ বিশ্বাস করেছিলেন এই জন্য যে, তিনি এই অবস্থার বদল আনবেন। কিন্তু সেই অবস্থা থেকে দেশকে বের করে আনতে পারেননি প্রায়ুথ। বরং কোভিড-১৯-এর কারণে দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট আরো বেড়েছে। এই সব কারণেই প্রায়ুথের পদত্যাগ চাইছেন বিক্ষোভকারীরা। তবে, প্রায়ুথের সমালোচনা ও তার পদত্যাগের দাবিকে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন পাত্তা দেয়া হয়নি।

গত আগস্টে বিক্ষোভরত জনতার সামনে পানুসায়া সিথিজিরাওয়াতানাকুল নামের ২১ বছরের এক তরুণ ১০ দফা দাবি সংবলিত একটি ঘোষণাপত্র পাঠ করার পরে বিক্ষোভ নতুন দিকে মোড় নেয়। পানুসায়ার ভাষণ বিক্ষোভে একটি ঐতিহাসিক মাত্রা যোগ করে এবং এর পরেই বিক্ষোভ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। সূত্র : জি নিউজ


আরো সংবাদ



premium cement