১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘সবেচেয়ে নিরাপদ করোনা ভ্যাকসিন চীনের’, ট্রায়ালের পর জানালো ব্রাজিল

- প্রতীকী ছবি

করোনার উদ্ভব যেখানে, সেই চীন তাদের করোনা ভ্যাকসিন-করোনাভ্যাক আগেই প্রকাশ্যে এনেছিল। নিজেদের ভ্যাকসিনকে নিরাপদ দাবি করে রাজধানী বেইজিংয়ের একটি বাণিজ্য মেলায় সেই ভ্যাকসিন প্রদর্শনীর জন্য রাখাও হয়েছিল। যদিও চীনের ভ্যাকসিনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল অনেকেই। কিন্তু এবার ব্রাজিলের মতো করোনা বিধ্বস্ত দেশও পাশে দাঁড়াল চীনের। চীনের তৈরি প্রতিষেধকটি মানব শরীরে প্রয়োগের জন্যে নিরাপদ বলে ঘোষণা করল সাও পাওলোর বুতানতান ইনস্টিটিউট। এই সংস্থাটি মোটেই ছোটখাটো নয়, বরং ব্রাজিলের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারগুলোর মধ্যে শীর্ষে বুতানতান।

জানা গেছে, চীনের এই ভ্যাকসিনটি বাজারে এনেছে সিনোভ্যাক বায়োটেক এবং সিনোফার্ম। সংস্থার পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, চলতি বছরের শেষের দিকেই ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হবে। তারপরই এটি সকলের জন্যে বাজারে আনা হবে। এর আগেই দুটি পর্যায়ের প্রয়োগ নিরাপদ বলে ঘোষিত হয়েছিল। এবার ব্রাজিলে তৃতীয় পর্যায়ের যে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে, সেখানেই নিরাপদ বলে স্বীকৃতি পেল ওই ভ্যাকসিন। ব্রাজিলের প্রায় ৯ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে ওই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে।

প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, ভ্যাকসিনটি এখনও পর্যন্ত নিরাপদ। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্যে আরো সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে।

ব্রাজিলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত স্বেচ্ছাসেবককে ওই ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে, তাদের শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন প্রতিদিন রেকর্ড করা হচ্ছে। আর তার ভিত্তিতেই আশাজনক ফল পাওয়া যাচ্ছে।

সাও পাওলো’র গভর্নর জোয়া ডোরিয়া রীতিমতো উচ্ছ্বাসের সুরে বলেছেন,‘করোনাভ্যাকের প্রথম দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর আমরা বুঝতি পারছি, চীনের করোনাভ্যাকই সবচেয়ে নিরাপদ ও সবচেয়ে আশা জাগানো করোনা প্রতিষেধক।’

তবে, সংখ্যায় খুব কম হলেও ওই প্রতিষেধক নেয়ার সময় কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক ব্যথা অনুভব করেছেন, কয়েকজনের ক্লান্তি বোধও রয়েছে। তবে, মোটের উপর এই করোনাভ্যাক রীতিমতো আশা জাগাচ্ছে।

সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, প্রথম দফার ট্রায়ালেই এই ভ্যাকসিন মানব শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে। এই সাফল্য ধরে রাখতে পারলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে চীনের করোনা প্রতিষেধক পুরোদমে ব্যবহার শুরু করবে ব্রাজিল। ইন্দোনেশিয়া, তুরস্কেও এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। ইতোমধ্যে ব্রাজিলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, এই ভ্যাকসিনের ৬ কোটি ডোজ নেবে তারা।

এর আগেই সিনোভ্যাক বায়োটেকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, করোনাভ্যাক ভ্যাকসিনটি উৎপাদনের জন্য ইতোমধ্যেই একটি কারখানা নির্মাণ করেছেন তারা। ওই কারখানা থেকে বছরে ৩০ কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদন করা সম্ভব হবে। যা অন্যান্য যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি। সেই ভ্যাকসিন দেখতেই বেজিংয়ের বাণিজ্য মেলায় ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ।

উল্লেখ্য, তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল হতে চলা বিশ্বের পরীক্ষাধীন ১০টি ভ্যাকসিনের মধ্যে রয়েছে চীনের এই ভ্যাকসিনটিও।

চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের একটি প্রতিবেদনেও কিছুদিন আগে দাবি করা হয়েছে, চীনের ভ্যাকসিনটির দাম খুব বেশি রাখা হবে না। উৎপাদনকারী সংস্থার পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিনটির প্রতি দুই ডোজের দাম ১৪৬ মার্কিন ডলারেরও কম রাখা হবে। এই সময়


আরো সংবাদ



premium cement
শিবপুরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর নিহত চকরিয়ায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩ গাজা মানবিক নরকে পরিণত হয়েছে : জাতিসঙ্ঘ প্রধান রাফা হামলার পরিকল্পনা ইসরাইলের ত্যাগ করা উচিত : চীন গাজা যুদ্ধে নতুন যে কৌশল অবলম্বন করল ইসরাইল হাসপাতালের শৌচাগারে মিলল নবজাতক শিশু ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিসিডিপি গঠন করা হবে : পরিবেশমন্ত্রী অননুমোদিত জমি ভরাট কার্যক্রমের সন্ধান পেলে দ্রুত ব্যবস্থার নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা ইসরাইলকে পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাতের ব্যাপারে সতর্ক করলো আইআরজিসি

সকল