২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

আর্মেনিয়ান রেজিমেন্ট ধ্বংস করলো আজারবাইজান, শীর্ষ কমান্ডারের মৃত্যু

- ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ ককেশাসের নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলে রোববার থেকে নতুন করে শুরু হওয়া আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধে মঙ্গলবার আজারবাইজানের সেনাবাহিনী খোজাভান্দ অঞ্চলে অবস্থিত আর্মেনিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর একটি রাইফেল রেজিমেন্টকে ধ্বংস করেছে।

আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল ভগিফ দারগাহলি আজারটেক সংবাদ সংস্থাকে মঙ্গলবার জানায়, আজারবাইজানের সেনাবাহিনী হামলা চালিয়ে খোজাভান্দ অঞ্চলের আর্মেনিয়ান ৩য় মার্টুনি রাইফেলধারী সেনাদলকে ধ্বংস করে।

দারগাহলি আরো জানান, এর ফলে আর্মেনিয়ান বাহিনী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। ঐ রেজিমেন্টটি সম্পূর্ণভাবে পরাস্ত হয়েছে।

আরো এক শীর্ষ আর্মেনিয়ান সেনা কমান্ডারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, আর্মেনিয়ান সেনাবাহিনীর ৬১তম স্পেশাল ইঞ্জিনিয়ার রেজিমেন্টের সামরিক ইউনিট #13516 এর অফিসার স্পেনটাক কোচারিয়ান আজ নিহত হয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, এসময় আর্মেনিয়ান সেনাবাহিনীর কমান্ডার মৃত ও আহত সেনাদের সরিয়ে নেয়ার জন্য যানবাহন সরবরাহ করার অনুরোধ করে আবেদন জানিয়েছিল।

নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৯৫ জন নিহত হয়েছে। গত দু’দিন ধরে চলা সংঘর্ষে সোমবার পর্যন্ত ৮৪ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া আরো ১১ জন বেসামরিক লোক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে আজারবাইজানের ৯ জন ও আর্মেনিয়ার ২ জন। এনিয়ে মোট ৯৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যকার এ সংঘর্ষ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।

সাবেক সোভিয়েতভুক্ত এ দুটি দেশ ১৯৯০ সাল থেকেই আঞ্চলিক বিরোধে জড়িয়ে আছে। ২০১৬ সালে এসে তা মারাত্মক রূপ নেয়। এ প্রেক্ষাপটে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস অবিলম্বে এই সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।

মহাসচিবের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, গুতেরেস অবিলম্বে উভয়পক্ষকে এই যুদ্ধ বন্ধের জন্য জোরালো আহ্বান জানান। বিলম্ব না করে অর্থপূর্ণ আলোচনায় ফেরারও আহ্বান জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, দুই দেশের মধ্যে নাগরনো কারাবাখ নিয়ে রোববার নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। ব্যাপক গোলাগুলির পর পরিস্থিতি যুদ্ধাবস্থায় পৌঁছায়।

এ প্রেক্ষাপটে আর্মেনীয় সরকার সামরিক আইন জারি করে নিজ জনগণকে যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত হতে বলেছে। আর্মেনিয়ার দাবি, প্রথমে আজারবাইজান বাহিনী তাদের বাহিনী লক্ষ্য করে গোলা ছোঁড়ে।

কিন্তু আজারবাইজান বলছে, আর্মেনিয়ার বাহিনীই প্রথমে তাদের সেনা ও বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করে। ডেইলি সাবাহ ও আজারটেক


আরো সংবাদ



premium cement