২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

মাস্ক না পরার শাস্তি হিসেবে লাশের কবর খুঁড়তে অভিযুক্তকে পাঠানো হচ্ছে কবরস্থানে

- সংগৃহীত

করোনা সংক্রমণ রুখতে আপাতত একমাত্র হাতিয়ার হতে পারে মাস্ক। বিশেষজ্ঞরা এমনই বলছেন। ঘন ঘন হাতে-মুখে হাত দিয়ে ফেললেও কিছু সময় মাস্ক বাঁচিয়ে দিতে পারে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে। আর তাই বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছন, এই করোনা দুর্যোগের সময় মাস্ক পরতে হবে।

তবে এত কিছুর পরও এখনো কিছু মানুষের টনক নড়ছে না। অনেকেই রাস্তা-ঘাট বা বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মাস্ক ছাড়া। আর তাতেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা।

বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ ও আক্রান্তের সংখ্যা এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কিন্তু তারপরও এখনো এদেশে বহু মানুষকে মাস্ক ছাড়া বাইরে দেখা যাচ্ছে। বারবার নির্দেশ দেয়া সত্ত্বেও তারা মাস্ক পরতে রাজি নন।

মাস্ক না পরলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লোকজনকে শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে এমন শাস্তি হয়তো ইন্দোনেশিয়া ছাড়া আর কোথাও দেয়া হচ্ছে না। মাস্ক না পরলেই পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে কবরস্থানে। আর শাস্তি হচ্ছে সারাদিন সেখানে কবর খুঁড়তে হবে। সারাদিন যতগুলো লাশ দাফনের জন্য আসবে, সবগুলোর জন্য কবর খুঁড়তে হবে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে।

ইন্দোনেশিয়ার গণমাধ্যম দ্য জাকার্তা পোস্ট-এর এক প্রতিবেদন লেখা হয়েছে, দাফনের রোজ শত শত লাশ আসছে কবরস্থানে। সেগুলোকে কবর দেয়ার প্রয়োজনীয় লোকের অভাব। তাই দেশটির প্রশাসন মাস্ক না পরা লোকজনকে কবরস্থানে পাঠাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেককেই এই শাস্তি ভোগ করতে হয়েছে। তবে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এমন শাস্তির জেরে তো দেশে করোনা সংক্রমণের হার আরো বেড়ে যেতে পারে। তবে প্রশাসন কোনো সমালোচনায় কান দিচ্ছে না।

প্রশাসন বলছে, সারাদিন কবরস্থানে থাকলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির মনে করোনা নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হবে। সেই ব্যক্তি তবে আর কখনো মাস্ক ছাড়া ঘরের বাইরে বের হবেন না। অনেককে আবার শাস্তি হিসাবে কবরস্থানে দারোয়ানের কাজেও নিযুক্ত করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার সরকার আসলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে চাইছে। যাতে একজনকে দেখে আরো দশজনের শিক্ষা হয়। সূত্র : ইউএসএ টুডে ও জাকার্তা পোস্ট


আরো সংবাদ



premium cement

সকল