৬৫ লাখ রিঙ্গিত ঘুষ নিয়েছিলেন নাজিব রাজাকের স্ত্রী রোজমাহ!
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:০৫
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের স্ত্রী রোজমাহ’কে ৬৫ লাখ রিঙ্গিত ঘুষ দেয়া হয়েছিল বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন সাবেক একজন সহযোগী। তার নাম রিজাল মানসুর।
তিনি বলেছেন, নাজিব রাজাক যখন প্রধানমন্ত্রী তখন জিপাক হোল্ডিং এসডিএন বিএইচডি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আবাং সামুদ্দিনের পক্ষ থেকে দুই দফায় তিনি ওই অর্থ পৌঁছে দিয়েছেন রোজমাহ’র কাছে। এর উদ্দেশ্য ছিল সরকারের কাছ থেকে ১২৫ কোটি রিঙ্গিতের একটি সোলার হাইব্রিড প্রকল্পের কাজ বাগিয়ে নেয়া।
রিজাল মানসুর আরো বলেছেন, এই অর্থের মধ্যে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের দিকে পুত্রজয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন সেরি পারদানায় রোজমাহ’কে দেয়া হয়েছে ৫০ লাখ রিঙ্গিত।
তিনি আদালতে আরো বলেন, ওই অর্থ রোজমাহ’র কাছে পৌঁছে দেয়ার সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার গাড়ির চালক ও একজন বন্ধু আহমেদ ফারিক জয়নুল আবিদিন।
মানসুর বলেন, আমরা সেরি পারদানা কমপ্লেক্সে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল সঙ্গে থাকা লাগেজ ব্যাগ দু’টি দু’জন বাটলারের মাধ্যমে রোজমাহর কাছে পৌঁছে দেয়া। এই দুটি ব্যাগে ছিল ৫০ লাখ রিঙ্গিত। রোজমাহ’র বাসার ভিতরে আমার গাড়িতে রাখা ছিল ওই অর্থ। আমি বাসার ভিতরে প্রবেশ করি। গাড়িতে শুধু তখন অবস্থান করছিলেন ফারিক ও আমার গাড়ির চালক।
তিনি বলেন, এরপর ওই দুটি লাগেজ বুঝে পাওয়ার পর আমি রোজমাহ’র সঙ্গে সাক্ষাত করি। এ সময় তিনি জানতে চান- এতে কত আছে? জবাবে আমি তাকে বলি ‘পাঁচ’ অর্থাৎ ৫০ লাখ রিঙ্গিত বা ৫ মিলিয়ন রিঙ্গিত। এ অবস্থায় ওই দুটি লাগেজ খুলে দেখলেন না তিনি। বাটলারদের নির্দেশ দিলেন এগুলো তার রুমে রেখে আসতে। এরপরই আমি সেখান থেকে বেরিয়ে আসি।
রিজাল মানসুর সাক্ষ্যে আরো বলেন, একই দিন সাইদি এবং রায়ান রাদজউইল আবদুল্লাহর বাসভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তিনি এত সুন্দরভাবে সব ঠিকঠাক মতো কাজ করে দিতে পেরেছেন বলে তাকে উপহার হিসেবে ৫ লাখ রিঙ্গিত তুলে দেন। তিনি আরো জানান, ২০১৭ সালের এক সাক্ষাতে সাইদি তাকে আরো জানিয়েছেন যে, রোজমাহ’কে আরো ১৫ লাখ রিঙ্গিত দিয়েছেন আবদুল্লাহ। তিনি যখন জালান লাঙ্গাক দুটায় ব্যক্তিগত বাড়িতে রোজমাহ’র সঙ্গে সাক্ষাত করেন, তখন এই অর্থ তার কাছে তুলে দিয়েছিলেন।
এর আগে একই বিচারে সাইদি বলেছিলেন, তিনি এবং রায়ান দুটি ব্যাগ নিয়ে গিয়েছিলেন রোজমা’র বাসায়। তাতে ছিল ১৫ লাখ রিঙ্গিত। এটা ২০১৭ সালের ৭ই সেপ্টেম্বরের ঘটনা। এই মামলায় সাইদির কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে ১৮ কোটি ৭৫ লাখ রিঙ্গিত হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ আছে রোজমাহ’র বিরুদ্ধে। বিনিময়ে তিনি ১২৫ কোটি রিঙ্গিতের সোলার এনার্জি প্রজেক্টের কাজ শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাইয়ে দিতে সহায়তার কথা বলেন। সূত্র : মালয় মেইল
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা