২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট সিনাবাং আগ্নেয়গিরিতে আবারো অগ্নুৎপাত

- ছবি : সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়ায় সোমবার মাউন্ট সিনাবাং’ আগ্নেয়গিতে অগ্নুৎপাত শুরু হয়েছে। ওই অগ্ন্যুৎপাতে আকাশে ছাই, ধোয়া ও গ্যাসের উদগিরণ দেখা যায় পাঁচ হাজার মিটার পর্যন্ত।

বর্তমানে আগ্নেয়গিরি এলাকার স্থানীয়রা ধূসর ছাইয়ে ঢাকা পড়েছে।

এর আগে সুমাত্রা দ্বীপের ওই আগ্নেয়গিরিটি ২০১০ সালে সক্রিয় হয়ে ওঠে। সর্বশেষ ২০১৬ সালে এতে মারাত্মক অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আগ্নেয়গিরিতে উত্তেজনা চোখে পড়ে। সপ্তাহখানেক আগে ছোট ছোট অগ্ন্যুত্পাতও ঘটতে দেখা গেছে।

তবে এখনো আহত বা মৃত্যুর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য লাভা প্রবাহ সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক করেছে।

ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি ও ভূতাত্ত্বিক দুর্যোগ প্রশমন কেন্দ্র এক বিবৃতিতে বলেছে, আশেপাশের বাসিন্দাদের সম্ভাব্য লাভার বিষয়ে সজাগ থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এখন আগ্নেয়গিরিটির সতর্কতা স্থিতি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে।

আগ্নেয়গিরির আশেপাশে ঘোষিত সংরক্ষিত জোনের মধ্যে কোনো বসতি না থাকলেও নিকটবর্তী ছোট ছোট বসবাসরত সম্প্রদায়গুলো সোমবারের অগ্ন্যুত্পাতে নির্গত ঘন ছাইয়ের স্তরে ছেয়ে গেছে।

প্রায় ৪০০ বছর পর ২০১০ সালে সিনাবাং আগ্নেয়গিরিটি প্রথমবারের মতো গর্জে উঠেছিল। তারপর ২০১৩ সালে এটি আবারো সক্রিয় হয়ে ওঠে। ২০১৬ সালে, সিনাবাংয়ের অগ্নুৎপাতে প্রায় সাতজনের মৃত্যু হয়। আর ২০১৪ সালের বিস্ফোরণে মারা গিয়েছিল ১৪ জন।

২০১৮ সালের শেষদিকে, জাভা ও সুমাত্রা দ্বীপপুঞ্জের মধ্যবর্তী স্থানে একটি আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণ হয়, এ ঘটনায় ভূগর্ভস্থ ভূমিধসের ফলে সুনামির তৈরি হয় যাতে ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়।

‘রিং অফ ফায়ার’র অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। যার ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের চারদিকে টেকটোনিক প্লেটের সীমানার ঘন ঘন ভূমিকম্প আঘাত হানে।

সূত্রঃ আরব নিউজ


আরো সংবাদ



premium cement