করোনা গবেষণায় সবচেয়ে দ্রুতগতির সুপারকম্পিউটার জাপানের ‘ফুগাকু’

দীর্ঘ কয়েক বছর পর আবার বিশ্বের দ্রুতগতির সুপার কম্পিউটারের তালিকার শীর্ষে ফিরল জাপান। ‘ফুগাকু’ নামে ওই সুপার কম্পিউটারটির নির্মাতা জাপানি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ফুজিৎসু এবং সরকারি গবেষণা সংস্থা রাইকেন। যা ব্যবহার করে বর্তমানে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ও চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সংবাদ সংস্থা সিএনএনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ সুপার কম্পিউটারের তালিকায় এক নম্বরে উঠে এসেছে ‘ফুগাকু’। ২০১১ সালের পর এই প্রথম জাপানের কোনও সিস্টেম এই তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিল।

শীর্ষ ৫০০ সুপার কম্পিউটারের তালিকা তৈরিতে প্রসেসিং স্পিড বা গাণিতিক হিসেব সম্পন্ন করার গতি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডিপ লার্নিং প্রয়োগে কম্পিউটিং দক্ষতার মতো বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়। তালিকায় ফুগাকুর পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আইবিএম সংস্থা নির্মিত সামিট, তৃতীয় আমেরিকার সিয়েরা। চায়না ন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তৈরি সানওয়ে তাইহুলাইট ও তিয়ানহে-২ নামে দু’টি সুপার কম্পিউটার রয়েছে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে।

ফুগাকু সেকেন্ডে ৪১৫ কোয়াড্রিলিয়নের (৪ লক্ষ ১৫ হাজার ট্রিলিয়ন, ১ ট্রিলিয়ন অর্থাৎ ১ লক্ষ কোটি) বেশি গাণিতিক হিসেব করতে পারে। যা এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির সুপার কম্পিউটার সামিটের চেয়ে ২.৮ গুণ বেশি। রাইকেন সেন্টার ফর কম্পিউটেশনাল সায়েন্সের কর্তা সাতোশি মাতসুয়োকা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ফুগাকুর জন্য তৈরি আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তি করোনা মোকাবিলায় অবদান রাখতে পারবে বলে আশা করছি।’

বর্তমানে জাপানি এই সুপার কম্পিউটারটি ব্যবহার করে পরীক্ষামূলকভাবে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে রোগ শনাক্তরণ, থেরাপিউটিক ও ভাইরাস বিস্তারের বিভিন্ন দিক খুঁজে দেখা। ফুগাকুর আরেক নাম ‘মাউন্ট ফিজি’। আগামী বছর থেকে এই সুপার কম্পিউটার পূর্ণ ক্ষমতায় কাজ চালাতে পারবে। জাপানের সফটব্যাঙ্কের মালিকানাধীন এআরএমের তৈরি চিপসেট এতে ব্যবহার করা হয়েছে।

সূত্র : বর্তমান