১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

বানরের ওপর করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা

বানরের ওপর করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা
বানরের ওপর করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা - সংগৃহীত

এবার করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা শুরু করেছে থাইল্যান্ড। বানরের ওপর করোনার ভ্যাকসিনের পরীক্ষা শুরু করেছে থাইল্যান্ড সরকার। গত শনিবার থেকে এই পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে। থাইল্যান্ড প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন প্রথমে ইদুঁরদের ওপর এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষা সফল হয়েছে। এরপরেই বানরের ওপর ভ্যাকসিনের পরীক্ষার কাজ শুরু হয়।

থাইল্যান্ডের উচ্চশিক্ষা, বিজ্ঞানমন্ত্রী সুভিট মেয়সিনসি জানান, বানরের ওপর পরীক্ষা সফল হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে। তারপর বৃহত্তর পদক্ষেপের কথা অর্থাৎ মানব শরীরে পরীক্ষার কাজ শুরু করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।

মানব জাতির স্বার্থে এই পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা। তার নির্দেশেই কাজ শুরু হয়েছে ও গোটা বিশ্বের লড়াই থাইল্যান্ডও সামিল বলে জানিয়েছেন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী।

গত বুধবারই ভ্যাকসিনম ট্রায়ালের কথা ঘোষণা করেছিল থাইল্যান্ড। গোটা বিশ্ব জুড়ে করোনা সংক্রমণ রুখতে ১০০-রও বেশি ভ্যাকসিনের ওপর কাজ চলছে। পরের বছরই করোনা ভ্যাকসিন মিলবে বলে মনে করা হচ্ছে। থাইল্যান্ডের দুটি কোম্পানি এই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে।

এর আগে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা মডার্না আইএনসি জানায়, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন শরীরে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি তৈরি করতে অনেকটাই সফল হয়েছে। মোট ৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর মডার্নার তৈরি ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল গত মার্চ মাসে। তবে এরা কেউই করোনা আক্রান্ত ছিলেন না। এদের মধ্যে ৮ জনের শরীরে করোনার মোকাবিলা করার মতো প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এই মানব পরীক্ষা চালায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিস। এই ৮ জন স্বেচ্ছাসেবককে ওই ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেয়া হয়। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মডার্না জানিয়েছে ভ্যাকসিন আংশিক সফল বলাই যায়। ফলে আশা জাগছে, করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় এই প্রতিষেধক কিছুটা হলেও কাজে দিতে পারে। মানব শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে করোনা সংক্রমণ ঠেকানো যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে কানাডার সংবাদ মাধ্যমের খবর, চিনা নাগরিকদের ওপর কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য একটি টিকা পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, সেই টিকা করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সক্ষম। চিন ও কানাডা ওই ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ করছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিনের করোনা গর্ভগৃহ উহানে ১০৮ জন বয়স্ক মানুষের ওপর প্রাথমিকভাবে ওই টিকা প্রয়োগ করা হয়। দেখা গেছে, তাদের মধ্যে করোনা প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। তবে, এই টিকার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে হলো ইনজেকশানের জায়গায় খানিকটা ব্যথা, জ্বর, ক্লান্তি আর মাথাব্যথা।


আরো সংবাদ



premium cement