২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দ্বিতীয় দফা করোনা সংক্রমণের সম্মুখীন এশীয় দেশগুলো

দ্বিতীয় দফা করোনা সংক্রমণের সম্মুখীন এশীয় দেশগুলো - ছবি : সংগৃহীত

দ্বিতীয় দফায় বহিরাগত করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্মুখীন এশীয় দেশগুলো। বাইরে থেকে আগত মানুষ ভাইরাসটি নিয়ে এশীয় দেশগুলোতে প্রবেশ করছে। দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ও চীনে এমন সংক্রমণ পরিলক্ষিত করা গেছে। ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীন বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো জানিয়েছে, সেখানে স্থানীয়ভাবে কোনো সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। চীনের জন্য এ ঘটনাকে বড় ধরনের মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ভাইরাসটির প্রাণকেন্দ্র ছিল চীন। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি। মারা গেছেন তিন হাজারের বেশি।

এ দিকে, স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ না হলেও অন্যান্য দেশ থেকে ফেরত আসা মানুষের মধ্যে ৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে চীন। চীনের পাশাপাশি সিঙ্গাপুরে নতুন ৪৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৩ জনই অন্যান্য দেশ থেকে সিঙ্গাপুর ফেরত গেছেন। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়ও। সেখানে বৃহস্পতিবার ১৫২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এর মধ্যে কতজন অন্যান্য দেশ থেকে ফিরেছেন তা জানা যায়নি।

গত বুধবার জাপানে নতুন তিনজন আক্রান্ত ধরা পড়েছে। তবে সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে অনেকটা। দেশটির হোক্কাইদো শহর থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হচ্ছে জরুরি অবস্থা। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে সেখানে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল। জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার হলেও জনগণকে সতর্ক ও বাড়িতে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। বুধবার এক বিবৃতিতে হোক্কাইদোর গভর্নর নাওমিচি সুজুকি বলেন, মানুষজনকে বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত রাখতে আমরা জোরদার পদক্ষেপ নিয়েছি; কিন্তু এখন থেকে আমরা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কাজ করব। সামাজিক দূরত্ব ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বজায় রাখব।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, দেশটিতে স্থানীয়ভাবে কোনো সংক্রমণ ঘটেনি। এমনকি ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল উহানেও কোনো সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিদেশ থেকে ফেরত যাওয়া ৩৪ জন নাগরিকের মধ্যে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত করা গেছে। এশীয় দেশগুলোর মধ্যে উপরিউল্লিখিত চারটি দেশই ভাইরাসটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সফলতা প্রদর্শন করেছে। তবে অঞ্চলটির অন্যান্য দেশে ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি তাদের সফলতাকে ঢেকে দিতে পারে। দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে মালয়েশিয়ায়। দেশটিতে গত বুধবার পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৭১০ জন। পুরো দেশে আংশিকভাবে জারি করা হয়েছে লকডাউন।

ভাইরাসটির প্রাণকেন্দ্র এশিয়া থেকে ইউরোপে সরে গেছে। পুরো বিশ্বের নজর এখন সে দিকে। বৃহস্পতিবার ইতালি সরকার জানিয়েছে, সেখানে এক দিনে মারা গেছেন ৪৭৫ জন। স্পেনে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৬০০ জনে পৌঁছেছে। ফ্রান্স ও ব্রিটেনে মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ২৬৪ জন ও ১০৪ জন। ব্রিটিশ সরকার দেশজুড়ে স্কুল বন্ধ ও সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্য দিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ রাজ্যেই ছড়িয় পড়েছে করোনাভাইরাস। আক্রান্ত হয়েছেন আট হাজার ৩১৩ জন। মারা গেছেন ১৪৭ জন। সূত্র : বিবিসি

 


আরো সংবাদ



premium cement
জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৪০ নিউইয়র্কে মঙ্গোলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাট জব্দ করবে যুক্তরাষ্ট্র! টাঙ্গাইলে লরি-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১ জিম্বাবুয়ে সিরিজে অনিশ্চিত সৌম্য

সকল