২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
আইসিজের আদেশ

আইসিজের আদেশে মিয়ানমারের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া 

আইসিজের আদেশে ক্ষুব্ধ মিয়ানমার - ছবি : এএফপি

আন্তর্জাতিক বিচার আদলতের (আইসিজে) আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার।  বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে থেকে  রোহিঙ্গার গণহত্যার বিপদ থেকে রক্ষার জন্য সর্বসম্মতভাবে চার দফা আন্তর্বতী আদেশ দেয়া হয়েছিল।  এগুলো মেনে চলা মিয়ানমারের জন্য বাধ্যতামূলক। তারা আইসিজের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে না।

আইসিজের আদেশে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মিয়ানমার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই আদেশ পরিস্থিতির বিকৃত চিত্র উপস্থাপন করেছে। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, তাদের গঠিত ইনডিপেনডেন্ট কমিশন অব ইনকোয়ারি (আইসিওই) রাখাইনে কোনো ধরনের গণহত্যার আলামত খুঁজে পায়নি। তবে রাখাইনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে স্বীকার করেছে মিয়ানমারের তথাকথিত ‘স্বাধীন কমিশন’।

আইসিওই নামে কমিশন গঠন করেছিল মিয়ানমারের বর্তমান সরকার। এই কমিশন রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত ও সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ আছে।

মানবাধিকার সংগঠনেরও সমালোচনা করেছে মিয়ানমার। দেশটি বলছে, মানবাধিকার সংগঠনের নিন্দাবাদের কারণে কিছু দেশের সাথে মিয়ানমারের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাখাইনের উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমার সরকারের দীর্ঘ কয়েক দশকের জাতিগত বৈষম্য ও নিপীড়ন এবং ২০১৭ সালের সেনা অভিযানের পটভূমিতে গাম্বিয়া আইসিজেতে সুরক্ষার আবেদন করে।

আইসিজে বুধবার জানান, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর পরিচালিত সহিংসতা ও বৈষম্যের নীতিতে গণহত্যার উদ্দেশ্য থেকে থাকতে পারে। আদালত সেই বিবেচনা থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সহিংসতা ও বৈষম্য অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দেন।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার লক্ষ্যে আদালত মিয়ানমারের প্রতি চার দফা অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাগুলো হচ্ছে:
১. গণহত্যা সনদের বিধি ২ অনুযায়ী মিয়ানমারকে তার সীমানার মধ্যে রোহিঙ্গাদের হত্যা, জখম বা মানসিকভাবে আঘাত করা, পুরো জনগোষ্ঠী বা তার অংশবিশেষকে নিশ্চিহ্ন করা এবং তাদের জন্মদান বন্ধের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ থেকে অবশ্যই নিবৃত্ত থাকতে হবে।

২. মিয়ানমারকে অবশ্যই তার সীমানার মধ্যে সেনাবাহিনী বা অন্য কোনো অনিয়মিত সশস্ত্র ইউনিট বা তাদের সমর্থনে অন্য কেউ যাতে গণহত্যা সংঘটন, গণহত্যার ষড়যন্ত্র, প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে গণহত্যার জন্য উসকানি দেয়া, গণহত্যার চেষ্টা করা বা গণহত্যার সহযোগী হতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

৩. গণহত্যা সনদের বিধি ২-এর আলোকে গণহত্যার অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত সব সাক্ষ্যপ্রমাণ রক্ষা এবং তার ধ্বংস সাধনের চেষ্টা প্রতিরোধ করতে হবে।

৪. এই আদেশ জারির দিন থেকে চার মাসের মধ্যে আদালতের আদেশ অনুযায়ী মিয়ানমার যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে, তা আদালতকে জানাতে হবে। এরপর থেকে আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রতি ছয় মাস পরপর এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে হবে।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী অপূরণীয় বৈষম্য ও ক্ষতির শিকার হচ্ছেন উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জরুরি আবশ্যকতার বিষয়ে আদালত বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সরকার যে পরিস্থিতিরই সম্মুখীন হোক না কেন, গণহত্যা সনদের বাধ্যবাধকতাগুলো পূরণে রাষ্ট্রটি বাধ্য।

মিয়ানমার বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন, জাতিগত সমঝোতা এবং রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, আদালত সেগুলোকে যথেষ্ট মনে করেননি।


আরো সংবাদ



premium cement
লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব, বললেন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই কারওয়ান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির

সকল