১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নতুন ব্যালেস্টিক মিসাইল উদ্বোধন ইরানের

ইরানের নতুন ব্যালেস্টিক মিসাইল ডেজফুল। ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য এই ক্ষেপণাস্ত্র ১০০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম - সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার নতুন একটি ব্যালেস্টিক মিসাইল সামনে এনেছে ইরান। নতুন এই ব্যালেস্টিক মিসাইল ১০০০ কিলোমিটারের মধ্যে যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম। দেশটির রেভ্যুলিউশনারী গার্ডের নিজস্ব বার্তা সংস্থা সেপাহ নিউজ এই সংবাদ প্রকাশ করেছে।

ইরান এমন এক সময় এই ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের কথা প্রকাশ করল যখন দেশটি ইসলামি বিপ্লব সংঘটনের ৪০তম বার্ষিকী পালন করছে এবং একই সাথে বিভিন্ন ইস্যুতে তেহরানের সাথে ওয়াশিংটনের উত্তেজনা চলছে।

ইরানের সেনাবাহিনীর অ্যারোস্পেস বা মহাকাশ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ বলেন, ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য নতুন এই ব্যালেস্টিক মিসাইলের নাম ডেজফুল। এটি পূর্বেকার জোলফাগার মডেলের ক্ষেপণাস্ত্রের থেকেও বেশি শক্তিশালী। জোলফাগার মডেলের ক্ষেপণাস্ত্র ৭০০ কিলোমিটারের (৪৩৫ মাইল) মধ্যে আঘাত হানতে সক্ষম ছিল।

গত শনিবার ইরান ঘোষণা করে যে, তারা হোভেইজাহ নামে নতুন একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে এবং এটি ১ হাজার ৩৫০ কিলোমিটার সীমার মধ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। আর এরপরই বৃহস্পতিবার দেশটি ডেজফুল নামে নতুন আরেকটি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের কথা প্রকাশ করে।

বৃহস্পতিবার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র উদ্বোধন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইরানের রেভ্যুলিউশনারী গার্ডের কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলি জাফারি ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ। ক্ষেপণাস্ত্র উদ্বোধনের জন্য আয়োজিত এই অনুষ্ঠান দেশটির ভূগর্ভস্থ ব্যালেস্টিক মিসাইল উৎপাদন কারখানায় আয়োজন করা হয়েছিল বলে জানায় সেপাহ নিউজ।

অবশ্য ইরানের কোথায় এই ভূগর্ভস্থ ব্যালেস্টিক মিসাইল কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে তা ওই সংবাদে জানানো হয়নি। সেপাহ নিউজে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ঘরে দুইজন কমান্ডার একটি মিসাইল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন।

ব্রিগেডিয়ার হাজিজাদেহ বলেন, জোলফাগার মডেলের ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় নতুন ডেজফুল ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা দ্বিগুণ। তিনি আরো বলেন, ইরান গত বছরের অক্টোবর মাসে সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের ওপর আক্রমণের সময় প্রথমবারের মত জোলফাগার মডেলের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে।

ইরান স্বেচ্ছায় ২০০০ কিলোমিটার (১২৫০ মাইল) সীমার মধ্যে আক্রমণযোগ্য মিসাইলের নির্মাণ সীমাবদ্ধ রেখেছে। কিন্তু তারপরও এসব মিসাইল ঘোরশত্রু ইসরাইল ও মধ্যপ্রাচ্যের সবগুলো মার্কিন ঘাঁটিতে আঘাত হানতে সক্ষম।


আরো সংবাদ



premium cement