২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ইসলামী ক্যালিওগ্রাফি প্রদর্শনী

পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ইসলামী ক্যালিওগ্রাফি প্রদর্শনী। - ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানের ফয়সালাবাদের ‘ফয়সালাবাদ আর্টস কাউন্সিলে’ আন্তর্জাতিক পুরস্কার বিজয়ী শিল্পীদের ইসলামী ক্যালিওগ্রাফি প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্যালিওগ্রাফি এসোসিয়েশন ও ক্যালিওগ্রাফি এসোসিয়েশন অফ পাকিস্তানে’র যৌথ উদ্যোগে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত মে মাসে তুরস্কে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ক্যালিওগ্রাফি প্রদর্শনীতে পুরস্কার বিজয়ী তুরস্ক, মিশর, তিউনিশিয়া ও ইরানের ক্যালিওগ্রাফি শিল্পীদের সাথে পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ শিল্পীরা ফয়সালাবাদের এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছেন।

সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্ট উর্দু সূত্রে জানা যায়, তুরস্কের দাউদ বাকদাশ, হাবিব রমজান, মিশরের আহমদ রিজক, তিউনিশিয়ার কামাল বাহরি, ইরানের জাওয়াদ খুরান, পাকিস্তানের নেসার আহমদ, ইরফান কুরাইশি, জামিল নাফিসি ও খালেদ মাহমুদসহ দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত ক্যালিওগ্রাফারগণ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছেন।

‘ফয়সালাবাদ আর্টস কাউন্সিলের ডাইরেক্টর জাহেদ ইকবাল ইন্ডিপেন্ডেন্ট উর্দুকে বলেন, বিদেশের ক্যালিওগ্রাফারদেরকে আমরা বিশেষ চিঠির মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। প্রদর্শনীতে দেশ-বিদেশের প্রচলিত ১৫ খত্বে (ফ্রন্টে) আঁকা ক্যালিওগ্রাফির প্রদর্শনী হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বাইরের বিভিন্ন দেশে ক্লাসিক্যাল ক্যালিওগ্রাফির চর্চা বেশি হয়। তারা অধিকাংশ ‘কলম’ পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন। অপরদিকে আমাদের দেশে বেশিরভাগ হয় মডার্ন ক্যালিওগ্রাফি। আমাদের প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য, আমাদের মডার্ন ক্যালিওগ্রাফির ভেরত কিভাবে ক্লাসিক্যাল ক্যালিওগ্রাফি অন্তর্ভুক্ত করা যায়, সেটা নিয়ে পর্যালোচনা করা। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিনে একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ ক্যালিওগ্রাফার নেসার আহমদ জানান, ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্যালিওগ্রাফি এসোসিয়েশন’ প্রতি ৩ বছর পরপর আন্তর্জাতিক ক্যালিওগ্রাফি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। তিনি বলেন, ‘খত্বে সুলুস’কে পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য খত্ব গণ্য করা হয়। ফলে ‘খত্বে সুলুসের’ প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে সবচেয়ে বড়। এছাড়া খত্বে নাসখ, খত্বে রুকআ, খত্বে দেওয়ানি, খত্বে জালি দেওয়ানি, খত্বে নাসতালিক ও খত্বে রাইহানেরও প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে।

প্রতিযোগী নেসার আহমদ আরো জানান, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দেশ-বিদেশের সকল শিল্পীকে একই সাইজের কাগজ ও অক্ষরের মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। সেখানেই তারা নিজেদের প্রতিভার বিকাশ ঘটান। কলমের’ ক্যালিওগ্রাফি বাধ্যতামূলক এই জন্য যে, আরবি ও ইসলামী ক্যালিওগ্রাফিতে ‘কলম ক্যালিগ্রাফিই’ আন্তর্জাতিক রোল মডেল। অন্য কোনো মাধ্যমে করা ক্যালিওগ্রাফি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় গ্রহণ করা হয় না।

শিল্পী নেসার আহমদ আরো বলেন, ক্যালিওগ্রাফি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা অবশ্যই শিল্পীদের উদ্বুদ্ধ করে থাকে। এজন্য আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ। প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেশ-বিদেশের সর্বস্তরের মানুষ ইসলামী ক্যালিওগ্রাফি সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।

সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট উর্দু


আরো সংবাদ



premium cement
অবন্তিকার আত্মহত্যা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন আবারো নামঞ্জুর পাথরঘাটায় বদর দিবস পালনে দেড় হাজার মানুষের ইফতারি আদমদীঘিতে ৭২ হাজার টাকার জাল নোটসহ যুবক গ্রেফতার সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : মন্ত্রী গাজীপুরে গাঁজার বড় চালানসহ আটক ২ দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয়ে গেল ২৫০০ তরমুজ ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান

সকল