স্বাস্থ্য

জলাতঙ্ক রোগ

জলাতঙ্ক এক ধরনের ভাইরাল রোগ, যা মানুষ এবং অন্যান্য মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি করে থাকে। প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে জ্বর এবং ক্ষতস্থানে ঝিলঝিল করা অন্যতম। এই উপসর্গগুলোর পর অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয় যেমন- প্রচণ্ড নড়াচড়া করা, অনিয়ন্ত্রিত উত্তেজনা, পানিকে ভয়, শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নড়াচড়াতে অক্ষমতা, মানসিক বিভ্রম এবং চেতনা হারানো। একবার উপসর্গ দেখা দিলে ফলাফল নিশ্চিত মৃত্যু। লিখেছেন অধ্যাপক ডা: এ কে এম আমিনুল হক

জলাতঙ্ক রোগ সংক্রমণের পর থেকে উপসর্গ দেখা দেয়ার সময় সাধারণত এক থেকে তিন মাস। যা হোক, এই সময়ের পরিবর্তন হতে পারে এক সপ্তাহেরও কম থেকে এক বছরের বেশি পর্যন্ত। এই সময়টা নির্ভর করে ভাইরাসকে কতটা দূরত্ব পাড়ি দিতে হবে স্নায়ু বরাবর কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে পৌঁছাতে।

জলাতঙ্ক লিসা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়। যখন কোনো সংক্রমিত জন্তু অন্য কোনো জন্তুকে বা মানুষকে নখে আঁচড়ায় বা কামড় দেয় তখন জলাতঙ্ক বিস্তার লাভ করে। সংক্রমিত জন্তুর লালাও জলাতঙ্ক বিস্তার করতে পারে যদি লালা চোখ, মুখ ও নাকের সংস্পর্শে আসে। বিশ্বব্যাপী কুকুর দিয়েই জলাতঙ্ক সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। যেসব দেশের কুকুরের এই রোগ আছে সেসব দেশে ৯৯ শতাংশ জলাতঙ্ক সংক্রমিত হয় কুকুরের কামড়ে। ইঁদুুর জলাতঙ্ক দ্বারা খুব কমই সংক্রমিত হয়। জলাতঙ্ক ভাইরাস প্রান্তস্থ স্নায়ু অতিক্রম করে মস্তিষ্কে পৌঁছায়। উপসর্গ শুরু হওয়ার পরই কেবল রোগটি নির্ণয় করা যায়।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জন্তু নিয়ন্ত্রণ করে এবং ভেকসিন দিয়ে কুকুর থেকে যে জলাতঙ্ক ছড়ায় তা কমিয়ে আনা হয়েছে। যেসব লোক ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করে তাদের কুকুরে কামড় দেয়ার আগেই প্রতিষেধক দেয়া যেতে পারে। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ লোক বলতে বুঝায় যারা দীর্ঘসময় কাটায় ওই সব এলাকায় যেখানে জলাতঙ্ক বেশি। যেসব লোক জলাতঙ্ক সংক্রমিত তাদের যদি উপসর্গ দেখা দেয়ার আগেই ভেকসিন এবং ইমিউনোগ্লবিউলিন দেয়া যায় তবে জলাতঙ্ক রোগ থেকে মুক্ত রাখা যাবে। কামড় বা নখে আঁচড় দেয়া জায়গাটি ১৫ মিনিট ধরে সাবান এবং পানি, আয়োডিন অথবা পরিষ্কারক দিয়ে ধোয়া হলে ভাইরাসের সংখ্যা কমে যায় এবং তা কিছুটা হলেও রোগ ছড়ানোকে বাধা দেয়।

উপসর্গ
সংক্রমণের পর থেকে প্রথম উপসর্গ দেখা দেয়া পর্যন্ত সময়কালকে রোগের সুপ্তাবস্থা বলে। মানুষের বেলায় এই রোগের সুপ্তাবস্থা থাকে তিন মাস। জলাতঙ্কের প্রাথমিক উপসর্গগুলো সুনির্দিষ্ট নয় যেমন জ্বর এবং মাথাব্যথা। যখন জলাতঙ্ক অগ্রসর হতে থাকে এবং মস্তিষ্ক ও মস্তিষ্ক-ঝিল্লির প্রদাহ করে থাকে তখন উপসর্গের মধ্যে সামান্য বা আংশিক পক্ষাঘাত, উদ্বেগ, অনিদ্রা, বিশৃঙ্খল অবস্থা, উত্তেজনা, অস্বাভাবিক আচরণ, বিকৃত বুদ্ধি, প্রচণ্ড ভীতি এবং মতিভ্রম, ধীরে ধীরে মস্তিষ্ক বিকৃতি এবং গভীর নিদ্রার দিকে অগ্রসর হওয়া। রোগীর পানির ভয়ও থাকতে পারে। প্রথম উপসর্গ দেখা দেয়ার ২ থেকে ১০ দিনের মধ্যে রোগী মারা যেতে পারে। একবার উপসর্গ দেখা দিলে বেঁচে থাকা অত্যন্ত দুর্লভ এমনকি উপযুক্ত এবং গভীর চিকিৎসা দেয়ার পরও।

জলাতঙ্ক
জলাতঙ্ক ভাইরাস সংক্রমণের শেষের দিকের এক গুচ্ছ উপসর্গকে বুঝায় যেখানে রোগীর গিলতে অসুবিধা হয়। যখন রোগীকে কোনো তরল জাতীয় খাবার পান করতে দেয়া হয় তখন রোগী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং তাদের তৃষ্ণা নিবারণ করতে পারে না। যে কোনো স্তন্যপায়ী জীব এই ভাইরাসে সংক্রমিত হলে তাদের জলাতঙ্ক দেখা দিতে পারে। লালা তৈরি অনেকাংশে বেড়ে যায় এবং তা গিলতে চেষ্টা করলে বা সঙ্কল্প করলে বা গিলার জন্য কেউ উপদেশ দিলে গলনালী এবং বাগযন্ত্রের মাংসপেশির তীব্র যন্ত্রণাদায়ক সঙ্কোচন হয়ে থাকে। এর কারণস্বরূপ বলা যেতে পারে যে, এই ভাইরাসগুলো সংক্রমিত জীবের লালাগ্রন্থিতে বংশবৃদ্ধি করে এবং জমা হয়। উদ্দেশ্য হলো কামড়ের মাধ্যমে আরো ছড়ানো। ভাইরাস ছড়ানোর ক্ষমতা যথেষ্ট পরিমাণে কমে যায় যদি সংক্রমিত ব্যক্তি লালা ও পানি গিলতে পারে।

জলাতঙ্ক সাধারণত সংক্রমিত লোকের ৮০ ভাগের হয়ে থাকে। বাকি ২০ ভাগের পক্ষাঘাতগ্রস্ততা দেখা যায় যেখানে মাংসপেশির দুর্বলতা, অবশ এবং পক্ষাঘাত দেখা দেয়। এ ধরনের রোগী পানিকে ভয় পায় না।

কারণ
জলাতঙ্ক সাধারণত লিসা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়।
একবার মাংসপেশি কিংবা স্নায়ুতে ঢুকতে পারলে ভাইরাস বংশবৃদ্ধি করে।
প্রবেশমুখ থেকে ভাইরাস স্নায়ুপথে মস্তিষ্কে প্রবেশ করে। ভাইরাস প্রথমে পেশির কোষে প্রবেশ করে যেখানে সংক্রমণ হয় তার নিকটবর্তী অংশে। যেখানে তারা নীরবে বংশবৃদ্ধি করতে পারে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার আড়ালে। একবার যথেষ্ট পরিমাণ ভাইরাসের প্রবৃদ্ধি ঘটলে তা মাংস ও স্নায়ুর সংযোগস্থলে প্রবেশ করে। ভাইরাস তখন স্নায়ুপথে উল্টাদিকে প্রবাহিত হয়। একবার ভাইরাস স্নায়ুকোষে প্রবেশ করলে দ্রুত মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়। মস্তিষ্কে সংক্রমিত হওয়ার পর, ভাইরাস কেন্দাতিগ প্রান্তস্থ স্নায়ুতে এবং স্বতঃক্রিয় স্নায়ুতে প্রবেশ করে এবং সবশেষে ভাইরাস লালাগ্রন্থিতে গমন করে যেখানে এটি প্রস্তুতি নেয় অন্য প্রাণীকে সংক্রমণ করার জন্য।

সংক্রমণ
সব উষ্ণ রক্ত বিশিষ্ট প্রজাতি এমনকি মানুষ জলাতঙ্ক ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে এবং উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এই ভাইরাস শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণীর কোষেও বর্ধিত হতে পারে। বেশির ভাগ প্রাণীই ভাইরাসে সংক্রমিত হয় এবং অসুখটি মানুষে চালান করতে পারে। সংক্রমিত বাদুড়, বানর, শিয়াল, গরু, নেকড়ে বাঘ, কুকুর, নকুল এবং বিড়াল মানুষের জন্য প্রধান ঝুঁকি।

সংক্রমিত ভালুক, খামারের পোষা জন্তু, শূকর, বেজি এবং অন্যান্য বন্য মাংসাসী জন্তুর কামড়ে জলাতঙ্ক ছড়াতে পারে।

লক্ষণযুক্ত উন্মত্ত জন্তুর লালা ও স্নায়ুতে ভাইরাস উপস্থিত থাকে। কামড়েই সাধারণত সংক্রমণ হয় তবে সব সময়ই নয়। অনেক ক্ষেত্রে সংক্রমিত জন্তু ব্যতিক্রমধর্মী আক্রমণপ্রবণ হয়ে থাকে, বিনা উসকানিতেই আক্রমণ করে থাকে এবং অস্বাভাবিক আচরণ করে থাকে।
মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ খুবই কম। দু-একটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এক দেহ থেকে অন্য দেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করলে এই ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন ছাড়াও সংক্রমিত মানুষের কামড়ে ছড়াতে পারে। আকস্মিক স্পর্শ যেমন জলাতঙ্ক রোগীকে স্পর্শ করা বা অসংক্রমিত জলীয় পদার্থ যেমন প্রস্রাব, রক্ত, মল ইত্যাদি বা জন্তুর সংস্পর্শে এলে তাদের প্রতিষেধক দেয়ার দরকার নেই। অধিকন্তু যেহেতু ভাইরাস শুক্র ও যোনি নিঃসৃত রসে বর্তমান সে জন্য এটি যৌনক্রিয়ার মাধ্যমে ছড়াতে পারে।

কামড় দ্বারা যখন মানুষ সংক্রমিত হয় ভাইরাস তখন প্রান্তদেশীয় স্নায়ুতে প্রবেশ করে। এটি তখন কেন্দ্রীয় স্নায়ুর দিকে প্রবাহিত হয়। এই অবস্থায় ভাইরাসকে শনাক্ত করা যায় না এবং এই সময়ে ভেকসিন দিলেও জলাতঙ্ক রোগকে প্রতিহত করা যায়। যখন ভাইরাস মস্তিষ্কে পৌঁছে যায় তখন অতি সহজেই এনকেফালাইটিস দেখা দেয় যা উপসর্গের শুরু। একবার উপসর্গ শুরু হয়ে গেলে চিকিৎসা আর কোনো কাজে লাগে না এবং ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে মানুষ মারা যায়। জলাতঙ্ক ভাইরাস সুষ্মা-কাণ্ডকে সংক্রমিত করতে পারে তখন ট্রান্সভার্স মাইলাইটিস নামক রোগ দেখা দেয়।

রোগ নির্ণয়
জলাতঙ্ক রোগ নির্ণয় করা অনেক সময় কঠিন হতে পারে কারণ প্রাথমিক অবস্থায় অন্যান্য রোগের সাথে এর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। এমন কি আক্রমণপ্রবণতার সাথেও এটির সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রভেদক রোগ নির্ণয়
মানুষের সন্দেহজনক জলাতঙ্কে মস্তিষ্ক প্রদাহের যেকোনো কারণকে প্রভেদক রোগ হিসেবে ধরা যেতে পারে। বিশেষ করে ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণকে যেমন হার্পিজ ভাইরাস, এন্টেরোভাইরাস এবং আরবোভাইরাস। যেসব ভাইরাস বাদ দিতে হবে সেগুলো হলো হার্পিজ সিমপ্লেক্স ভাইরাস টাই-১, ভেরিসেলা জোস্টার ভাইরাস এবং এন্টেরোভাইরাস যার মধ্যে কক্সাকিভাইরাস, ইকোভাইরাস ও পোলিওভাইরাস অন্তর্ভুক্ত।

নতুন ধরনের ভাইরাল মস্তিষ্কপ্রদাহও হতে পারে যেমন নিপাহ ভাইরাস। আবার পরিচিত ভাইরাস দ্বারা নতুন জায়গায় সংক্রমণ হতে পারে। ঋতু, ভৌগোলিক অবস্থান, রোগীর বয়স, ভ্রমণ ইতিহাস এবং সম্ভাব্য কামড়ে উন্মোচন যেমন ইঁদুর রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করতে পারে।

প্রতিরোধ
ভেকসিন আবিষ্কার হওয়ার আগে সব জলাতঙ্ক আক্রান্ত মানুষ মারা যেত। প্রথমত, ভেকসিন তৈরি করা হয় সংক্রমিত খরগোশের স্নায়ুতন্ত্র থেকে। ভাইরাসকে পৃথক করে ৬ থেকে ১০ দিন রোদে শুকাতে হয় যাতে ভাইরাসটি দুর্বল হয়ে পড়ে। এ ধরনের স্নায়ু থেকে তৈরি ভেকসিন এখনো ব্যবহার করা হয় কারণ এটি সস্তা। পরীক্ষাগারে কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি করে যে ভেকসিন তৈরি হয় তার দাম অনেক বেশি। জীবাণুতে উন্মোচিত হওয়ার আগেই মানুষ এবং প্রাণীকে ভেকসিন দেয়া যেতে পারে।

নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নিলে জলাতঙ্ক ছড়ানোর মাত্রা কমে যায়।
কুকুর, বিড়াল ও নকুল জাতীয় জন্তুকে ভেকসিন দেয়া
গৃহপালিত জন্তুকে পর্যবেক্ষণে রাখা
গৃহপালিত জন্তুগুলোকে তত্ত্বাবধানে রাখতে হবে
নিরুদ্দিষ্ট গৃহপালিত জন্তু কিংবা বন্য জন্তুকে হাত দিয়ে স্পর্শ করা যাবে না।
যদি কোনো নিরুদ্দিষ্ট গৃহপালিত জন্তু কিংবা বন্য জন্তু অস্বাভাবিক আচরণ করে তবে তা নিয়ন্ত্রণকারী অফিসারের গোচরে আনতে হবে।

যদি কোনো প্রাণী কামড় দেয় তবে শরীরের সেই অংশটুকু সাবান ও পানি দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত ধোয়ে ফেলতে হবে। এরপর কোনো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবেÑ তাকে উন্মোচিত হওয়ার পর কোনো ভেকসিন দেয়া যায় কি না? ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস। এই দিবসে এই অসুখের তথ্য সংগ্রহ, প্রতিরোধ এবং রোগ বর্জন কিভাবে করা যায় সে ব্যাপারে সবাইকে উৎসাহিত করা হয়।
অন্যান্য প্রাণীকে ভেকসিন দেয়া
এশিয়াতে কুকুরই হলো প্রধান পোষক। গ্রামে পশুকে বাধ্যতামূলক ভেকসিন দিলে তেমন কার্যকর ফল পাওয়া যায় না। বিশেষ করে উন্নয়নশীল বিশ্বে পোষা জন্তুকে নিজস্ব পরিমণ্ডলে রাখা হয় না এবং তাদের ধ্বংসসাধন গ্রহণযোগ্য নয়।

চিকিৎসা
রোগের গতির পূর্বাভাস :
যেসব লোকের ভেকসিন দেয়া হয়নি তাদের মধ্যে জলাতঙ্ক হলে যদি স্নায়ুতন্ত্রের উপসর্গ দেখা দেয় তবে মৃত্যু নিশ্চিত। জীবাণুতে উন্মোচিত হওয়ার পর যদি ভেকসিন দেয়া হয় বিশেষ করে ৬ দিনের মধ্যে তবে তা অসুখকে সফলতার সাথে প্রতিহত করতে পারে। আর যদি কালবিলম্ব না করে ভেকসিন দেয়া হয় তবে তা ১০০% কার্যকর। যদি ভেকসিন দিতে তাৎপর্যপূর্ণভাবে দেরিও হয় তবুও সফলতার সম্ভাবনা থাকে।

অন্যান্য প্রাণী
জলাতঙ্ক প্রাণীতে সংক্রমণ করে থাকে। কেন্দ্রীয় স্নায়ু সংক্রমণের তিনটি স্তর চিহ্নিত করা যায়। প্রথম স্তর হলো এক থেকে তিন দিনের সময়কাল যখন আচার ব্যবহারে পরিবর্তন দেখা দেয় এবং এই স্তরকে পূর্বলক্ষণের স্তর বলা হয়। দ্বিতীয় স্তর হলো উত্তেজনার স্তর যা তিন থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হয়। এই স্তরকে প্রায়ই উন্মত্ত স্তর বলা হয়ে থাকে। কারণ এই সময় সংক্রমিত প্রাণী বহিস্থ উত্তেজকের প্রতি অত্যধিক সংবেদনশীল থাকে এবং আশপাশে যাকে পায় তাকে কামড় দিয়ে থাকে। তৃতীয় স্তর হলো পক্ষাঘাতগ্রস্ত স্তর এবং এটি গতিজনক স্নায়ু ধ্বংস হওয়ার কারণে হয়ে থাকে। বাহু পক্ষাঘাতগ্রস্ততার কারণে অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়, মুখমণ্ডল ও গলনালীর মাংসপেশির পক্ষাঘাতগ্রস্ততার কারণে মুখের কোণ দিয়ে লালা পড়ে এবং গলাধকরণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। সাধারণত শ্বাসক্রিয়া বন্ধ হয়ে প্রাণী মারা যায়।

লেখক : সাবেক অধ্যাপক, মেডিসিন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা।

আরো সংবাদ