১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বলিভিয়ায় অভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ : সেনাপ্রধান গ্রেফতার

গ্রেফতার বিদায়ী সেনাপ্রধান জুয়ান জোস জুনিগা - ছবি : সংগৃহীত

বলিভিয়ায় সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। প্রেসিডেন্টের প্যালেস ঘিরে ফেলেও সৈন্যরা সরে গেছে। গ্রেফতার হয়েছেন সেনাপ্রধান।

লা পাজে প্রেসিডেন্ট লুইস আরসের বাসভবন সৈন্যরা ঘিরে ফেলে। প্রেসিডেন্ট বলিভিয়ার নাগরিকদের বলেন, তারা যেন গণতন্ত্র রক্ষা করতে সক্রিয় হন। বিশ্ব নেতারা অভ্যুত্থানের নিন্দা করেন।

তবে সেনাবাহিনীর এই অভ্যুত্থান দার্ঘস্থায়ী হয়নি। বুধবার বেলা ৪টা নাগাদ তারা প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে ঢোকে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেন্যরা প্রেসিডেন্টের বাসভবনসহ সরকারি এলাকা থেকে সরে যায়। প্রেসিডেন্টের নির্দেশ ও অন্য সরকারি কর্মকর্তারা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করার পর তারা সরে যায়।

বলিভিয়ার কর্তৃপক্ষ বিদায়ী সেনাপ্রধান জুয়ান জোস জুনিগাকে গ্রেফতার করেছে।

সৈন্যরা তার প্রাসাদে আসার পর আরসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, ‘বলিভিয়ার সৈন্যরা কয়েকটি ইউনিট বেআইনিভাবে জড়ো হয়েছে। গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে।’

যখন এই অভ্যুত্থান চলছে, তখনই তিনি নতুন সেনা কম্যান্ডারদের নাম ঘোষণা করেন। তারা তখন প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ ও লা পাজের কেন্দ্রে থাকা অন্য জায়গা থেকে সৈন্যকে ফিরে আসার নির্দেশ দেন।

সৈন্যরা যখন ফিরে যাচ্ছে, তখন আরসের হাজার হাজার সমর্থক বলিভিয়ার পতাকা নিয়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

সেনাপ্রধান বরখাস্ত ও গ্রেফতার
আরসে যখন নতুন সেনা কম্যান্ডারদের নাম ঘোষণা করেন, তখন বিদ্রোহী সেনাপ্রধান স্বাভাবিকভাবেই বরখাস্ত হয়ে যান।

স্থানীয় টিভি চ্যানেলের ফুটেজে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের ভেতরে আরসের সাথে জুনিগার কথা হচ্ছে। আরসে তাকে ও সৈন্যদের বলছেন, ‘আমি আপনাদের ক্যাপ্টেন, আমি নির্দেশ দিচ্ছি, আপনারা ফিরে যান। আমি কোনো অবাধ্যতা বরদাস্ত করব না।’

জুনিগা টেলিভিশন ভাষণে বলেন, তার আশা ছিল সরকারে পরিবর্তন হবে। তিনি সাবেক অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টসহ রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন।

আরসের পাশে সাবেক প্রেসিডেন্ট
সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালস আরসের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে বলেন, তিনি তার সমর্থকদের গণতন্ত্রের পক্ষে থাকতে বলছেন। সেনাবাহিনীকে কিছুতেই গণতন্ত্র ধ্বংস করতে দেয়া হবে না এবং মানুষকে ভয় দেখাতে দেয়া হবে না।

স্বাধীনতার পর থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত বলিভিয়া ২০০টির মতো সেনা অভ্যুত্থান ও বিদ্রোহ দেখেছে। ২০১৯ সালে মোরালসকে যখন ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হয়, তখনো তার পেছনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল।

তিনি নিয়ম ভেঙে চতুর্থবার প্রেসিডেন্ট হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেনাবাহিনী জানিয়ে দেয়, তারা তাকে তার অফিসে নিরাপত্তা দিতে পারবে না।

এরপর মোরালস পদত্যাগ করেন এবং তার সমর্থকরা অভিযোগ করেন, এটাও সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা।
সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement