১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাতৃস্নেহ : অসুস্থ ছানাকে নিয়ে হাসপাতালে বিড়াল

মাতৃস্নেহ : অসুস্থ ছানাকে নিয়ে হাসপাতালে বিড়াল - সংগৃহীত

সযত্ন কামড়ে মুখে ধরা ছোট্ট শিশু। জরুরি বিভাগে তখন রোগীদের অসম্ভব ভিড়। তার মধ্যেই এক স্বাস্থ্যকর্মীর চোখ পড়ল তার উপর। ম্যাঁও ম্যাঁও করে পায়ের কাছে ঘুর ঘুর করছে। মুখ থেকে ছানাটিকে মেঝেতে রাখছে। আবারো মুখে তুলে নিচ্ছে। যেন কাছে কিছু একটা বলতে চাইছে। কিন্তু, পারছে না।

তুচ্ছ একটা জীব, বিড়াল কী আর বলবে? কিন্তু, তুরস্কের ইস্তাম্বুল হাসপাতালের চিকিৎসকরা বুঝেছিলেন তার সেই ম্যাঁও ম্যাঁও ডাকের মর্মার্থ! বুঝতে পেরেছিলেন তার ছানাটি বেশ অসুস্থ। সে ধুঁকছে। এখনই তার সুশ্রুষার প্রয়োজন। এক মুহূর্ত দেরি করেননি চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা। দুধ এনে ছানাটিকে খাওয়াতে লাগলেন তারা। ছানার পাশে তখন ঠায় বসে মা বিড়াল। পরে দুই পশু চিকিৎসক এলেন। ছানাটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সামান্য ওষুধপত্র দিলেন।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, ছানাটি এখন ভালো রয়েছে। হাসপাতালের পাশেই মা ও সন্তানের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

এমনিতেই হাসপাতাল বিড়ালদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র। ওই দেশেই হোক। অথবা অন্য দেশে। কিন্তু, তুরস্কের হাসপাতালে বিড়ালের এমন মাতৃস্নেহ দেখে স্তম্ভিত সকলে। মর্মস্পর্শী এই বিড়াল-কাহিনী চমকে দিয়েছে করোন-ত্রস্ত বিশ্বকে। হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মী গোটা ঘটনার ভিডিও ট্যুইটারে পোস্ট করতেই বিদ্যুতের গতিতে শেয়ার হতে থাকে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ৮০ হাজার লাইক পড়ে। রি-ট্যুইট, কনেম্ট ছাড়িয়েছে লক্ষেরও বেশি। চিকিৎসকদের বাহবা জানিয়ে ভুরি ভুরি পোস্ট করেছেন নেট-নাগরিকরা।

কেউ কেউ লিখেছেন, বিড়ালের মতো অবলা প্রাণীও জানে, কোথায় গেলে তার অসুস্থ ছানা বাঁচবে।’ আর এক ট্যুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘বিষয়টি সত্যিই অভাবনীয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা যেভাবে বিড়ালটির মনের কথা বুঝতে পেরেছেন, তাদের ধন্যবাদ প্রাপ্য।’

সূত্র : বর্তমান


আরো সংবাদ



premium cement