২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পিপিই'র অভাবে পলিব্যাগ পরছেন নার্সরা, হাসপাতালকর্মীর মৃত্যু

পিপিই'র অভাবে পলিব্যাগ পরছেন নার্সরা, হাসপাতালকর্মীর মৃত্যু - সংগৃহীত

নিউইয়র্কের মানহাটন হাসপাতালে দেখা দিয়েছে প্রতিরক্ষা স্যূট ও মাস্কের ভয়াবহ সংকট । ভাইরাস প্রতিরক্ষায় হাসপাতালের নার্সরা আবর্জনার জন্য ব্যবহৃত পলি ব্যাগ পরতে বাধ্য হচ্ছেন। ওই হাসপাতালের এক কর্মচারী, করোনায় আক্রান্ত সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য এই পরিস্থিতিকেই দায়ী করছেন।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কালো পলিব্যাগে সারা শরীর মোড়ানো তিন নার্স। যারা ভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য সাময়িকভাবে পলিব্যাগকে পোশাক হিসেবে পরেছে। তাদের মধ্যে একজন ভারি পলিথিনের খোলা বক্স হাতে দাড়িয়ে।

ছবিটির ক্যাপশনে তারা লিখেছে, 'সারা হাসপাতালে আর একটিও প্রতিরক্ষা গাউন অবশিষ্ট নেই।'
'একটি মাস্কও নেই। নার্সরা প্রতিরক্ষা ছাড়াই মোকাবেলা করছেন কোভিড-১৯।' হ্যাসট্যাগে লিখা ছিল- #heftytotherescue, #pleasedonateppe.

মাউন্ট সিনাই ওয়েস্ট হাসপাতালের কর্মীরা এভাবেই পার্সনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্টের (পিপিই) জন্য সাহায্য চেয়েছেন বিশ্ববাসীর কাছে।

এদিকে গতকাল বুধবার হাসপাতালের কলম্বাস সার্কেলে পিপিই'র অভাবে হাসপাতাল কর্মীর মৃত্যুতে তার ছবি দেয়া ব্যানার বেধে রাখা হয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ওই হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এসিস্ট্যান্ট নার্সিং ম্যানেজার কিয়াস কেলির মৃত্যু হয়। তারপর তার সহকর্মীরা এই পদক্ষেপ নেয়।

এক নার্স বলেছেন, কেলির এই অকাল মৃত্যুর জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায়ী। আমরা প্রায় এক বছর ধরে এই সংকট সমস্যায় ভুগছি। কিন্তু কোভিড-১৯ রোগী আসায় এই সমস্যা গুরতর আকার নিয়েছে। করোনায় আক্রান্ত রোগী ও আক্রান্ত ছাড়া উভয় রোগীর ক্ষেত্রে তাদের একই পিপিই ব্যবহার করতে হচ্ছিল। তাই তারা বাধ্য হয়ে পলিব্যাগকে প্রতিরক্ষা গাউন হিসেবে ব্যবহার করছে।

সেখানে কর্তব্যরত বেশ কয়েকজন নার্স জানান,তারা আরো বলেন, কাল রাত থেকে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সহ অনেক কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না।

বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তারা বিষয়টি অস্বীকার করেছে। নিউইয়র্ক পোস্ট সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত তথ্যে এটি জানা যায়।

মৃত কিলির ছোট বোন সেরেন এক পোস্টে তার ভাইয়ের মৃত্যু খবর নিশ্চিত করেন এবং তিনি জানিয়েছেন, তার ভাই আর অসুস্থতার ব্যপারে ১০ দিন আগে থেকেই জানিয়েছেন। কেলি হাসপাতালকে জানিয়েছিল, তিনি করোনায় আক্রান্ত। কিন্তু তার বিষয়টি হাসপাতাল গুরুত্ব দিয়ে নেয়নি। কিয়াস কেলি মানুষ হিসেবেও ছিলেন চমৎকার। রোগীরা তার চিকিৎসা ও আন্তরিকতার জন্য তাকে ভালবাসতেন। সূত্র: নিউ ইয়র্ক পোস্ট


আরো সংবাদ



premium cement