২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

খুব জরুরি না হলে বাসা থেকে বের হবেন না

-

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ করোনাভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পেতে কিছু বিষয় পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশ থেকে যারা ফিরেছেন এবং তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন, সবাইকে অবশ্যই হোম কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে। এর বাইরে সাধারণ মানুষকে চলাচল সীমিত করতে হবে। আমরা আগে বলতাম, সবার মাস্ক পরার দরকার নেই। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতিতে বাইরে গেলে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরা প্রয়োজন। খুব জরুরি না হলে ঘরের বাইরে বের হওয়ার প্রয়োজন নেই। আর একান্ত যেতেই হলে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজারে মাস্কের সঙ্কট থাকলে নিজেরাই মাস্ক তৈরি করে পরা যাবে। এটি যে কেউ সহজেই ঘরে বানাতে পারেন। তিন স্তরবিশিষ্ট নতুন বা পুরনো কাপড় ব্যবহার করে মাস্ক বানানো যায়। গণপরিবহনে চললে জানার উপায় থাকে না অন্য যাত্রীদের কেউ বিদেশ থেকে এসেছেন কি না বা আক্রান্ত হয়ে কেউ গণপরিবহনে উঠেছে কি না। তাই এ সময়ে গণপরিবহনে চলাচল না করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে ইতোমধ্যে সতর্কতা অবলম্বনের যেসব পরামর্শ দেয়া হয়েছে, সবার নিরাপত্তার জন্যই তা মেনে চলা প্রয়োজন।
বিদেশ থেকে, বিশেষত আক্রান্ত দেশগুলো থেকে যারা এসেছেন, তাদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখতে সবার সহযোগিতা দরকার। কারো প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজন কেউ করোনা-আক্রান্ত দেশ থেকে এসে হোম কোয়ারেন্টিনে না থাকলে বা বাইরে ঘোরাফেরা করলে সে তথ্য অবশ্যই স্বাস্থ্য অধিদফতরের হটলাইন বা স্থানীয় পর্যায়ে সরকারের উদ্যোগে করোনা মোকাবেলায় গঠিত কমিটিগুলোকে জানাতে হবে।
যেকোনো পরিস্থিতিতে নিত্যপণ্য কেনার জন্য দোকানপাট খোলা থাকবে। তবে এটা-ওটা কেনার জন্য বারবার বাজারে বা দোকানে যাওয়া এখন ঠিক হবে না। খুব প্রয়োজন হলে একবারে এক সপ্তাহের বাজার যেতে পারেন। অহেতুক বাজারে বা বাইরে ঘোরাফেরা করা অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
স্থানীয় অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি, ধনাঢ্য ব্যক্তি, সমাজসেবীরা এখন বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করতে পারেন। দর্জিরা স্বল্পমূল্যে মাস্ক তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। এভাবে মাস্ক সঙ্কট কাটিয়ে ওঠা যেতে পারে।
ঘন ঘন হাত ধুতে হবে। বাড়িতে থাকার চেষ্টা করতে হবে। সারা বিশ্বের অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, আচরণে পরিবর্তন না করতে পারলে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে। কারো সাধারণ সর্দি-কাশি হলেই হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। সরকার যেসব হটলাইন দিয়েছে, তাতে যোগাযোগ করতে হবে। কারো গলাব্যথা হলে তিনি কুসুম গরম পানিতে গড়গড়া করতে পারেন। জ্বর হলে প্যারাসিটামল-জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন। দিনে অন্তত দু’বার জ্বর মাপা প্রয়োজন। অন্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের অস্ত্রোপচার এখনই জরুরি নয়, কয়েক মাস পরে করলে চলবে, তাদের এখন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া উচিত হবে না। সাধারণ কোনো রোগে আক্রান্ত হলে এখন হাসপাতালে না যাওয়াই ভালো। চলাফেরা করতে পারেন না বা অন্যের সহযোগিতা জরুরি এমন রোগীর সাথে শুধু একজন থাকতে পারবেন। রোগী দেখার জন্য হাসপাতালে কেউ যাবেন না। যেকোনো ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ হলে হটলাইনে, টেলিফোনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন রোগীরা।


আরো সংবাদ



premium cement