২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বায়ুমান খারাপের জন্য দায়ী উন্নয়ন প্রকল্প

-

বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ হওয়ায় গত চার বছরে ঢাকার বায়ুর মান বেশি খারাপ হয়েছে। গত রোববার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে ফরিদপুর-১ আসনের মনজুর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ুবিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমন তথ্য জানান। তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদফতর ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহর ও শিল্পঘন শহরে সার্বক্ষণিক বায়ুর গুণগতমান পরিমাপ করা হচ্ছে। পরিমাপকৃত বায়ুর গুণগত মান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, শুষ্ক মৌসুমে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত বায়ুদূষণের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বেড়ে যায়।
ঢাকা শহরে শুষ্ক মৌসুমে শুধু সুক্ষ্ম বস্তুকণার পরিমাণ নির্ধারিত মাত্রার বাইরে থাকে। এ ছাড়া অন্যান্য দূষক যেমন : সালফার ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন-মনোক্সাইড ইত্যাদি সারা বছর মানমাত্রার মধ্যে থাকে। ২০০২ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বায়ুমানের উপাত্ত পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৬ থেকে ২০১৯ এই তিন বছর বায়ুমান বেশি খারাপ হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় এমনটি ঘটেছে। বায়ুদূষণের উৎস হিসেবে ইটভাটা, যানবাহন, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ কার্যক্রম, পৌরবর্জ্য ও বায়োমাস পোড়ানো এবং ট্রান্সবাউন্ডারি প্রভাবকে দায়ী করা হয়।
মন্ত্রী জানান, আইনের আওতায় পরিবেশ অধিদফতর দেশে বিদ্যমান ইটভাটাগুলোকে জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব উন্নত প্রযুক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। অবৈধ পরিবেশ দূষণকারী ইটভাটার বিরুদ্ধে ২০১৫ সাল থেকে অভিযান পরিচালনা করে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সারা দেশে প্রায় ৬০০ অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা হবে।
মাটি ব্যবহার করে পোড়ানো ইট উৎপাদন ও ব্যবহার শূন্যতে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের মধ্যে শতভাগ ব্লক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। পরবর্তীতে সব বেসরকারি কাজে ইটের বিকল্প ব্লক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা রয়েছে। ফলে মাটি ব্যবহার করে পোড়ানো ইটের উৎপাদন ও ব্যবহার শূন্যে নেমে আসবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement