২৮ মে ২০২৩, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯, ০৭ জিলকদ ১৪৪৪
`

আগামী বছরের বাণিজ্যমেলা হবে পূর্বাচলে

-

পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২০২১ সালের বাণিজ্যমেলার ২৬তম আসর আয়োজন করা হবে। যদিও ধীর গতিতে কাজ চলায় নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পটি সম্পন্ন হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। বিষয়টি অবগত হওয়ায় দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ফলে চলতি বছরের মাঝামাঝি এই এক্সিবিশন সেন্টার চালু হওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সম্প্রতি বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বে বাংলাদেশী পণ্যের নতুন ক্রেতাদের আকর্ষণ করার লক্ষ্যে পণ্য প্রস্তুতকারক এবং রফতানিকারকদের পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে এখানে। এই সেন্টারের মাধ্যমেই ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল নিউ টাউনের ৪ নম্বর সেক্টরের ৩১২ নম্বর রোডের ০০২ নম্বর প্লটে নির্মাণ করা হচ্ছে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ইপিবি সূত্রে জানা গেছে। মোট ৩৫ একর জমির ওপর নির্মাণাধীন এই সেন্টারে আধুনিক কার পার্কিং, সম্মেলন কক্ষ, সভাকক্ষ, প্রেস সেন্টার, অভ্যর্থনা কক্ষ, বাণিজ্য তথ্যকেন্দ্র, আধুনিক সুবিধাসংবলিত ডরমিটরি থাকবে। এ ছাড়া এক্সিবিশন সেন্টারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক সিসিটিভিসহ আধুনিক সুবিধাসংবলিত ব্যবস্থাসহ বিদ্যুতের জন্য নিজস্ব সাব সেন্টার, সার্ভিস রুম, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, কালভার্ট ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হবে।
চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু হলেও এত দিন এ প্রকল্পের কাজ সেভাবে এগোয়নি। কাজের অগ্রগতিতে যথেষ্ট সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছিল যে, নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ করা যাবে কি না। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজে আবার গতি বেড়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, পূর্বাচলের ৪ নম্বর সেক্টরে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের কাজ কিছু দিনের মধ্যেই শেষ হবে। আগামী বছর থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা এখানেই হবে। সংশোধিত প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের সময় প্রকল্পটির কাজ দ্রুত শেষ করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন রয়েছে। আমরা তা মানার চেষ্টা করছি।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটির জন্য উপযুক্ত জমি যথাসময়ে পাওয়া যায়নি। এ কারণে নকশা করে এর বাস্তবায়ন কাজ শুরু করা যায়নি। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রাজউক পূর্বাচল উপশহরে মোট ২০ একর জমি বরাদ্দ দেয়। যদিও পরবর্তীতে জমি আরো বাড়ানো হয়। ওই জমি বিবেচনায় রেখে বেইজিং ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেকচারাল ডিজাইন (বিআইএডি) প্রস্তাবিত সেন্টারের একটি পরিকল্পিত ডিজাইন করে। ডিজাইন চূড়ান্তের আগেই বিআইএডি প্রকল্প এলাকায় সমীক্ষা পরিচালনা করে।
সমীক্ষা পরিচালনার পর বিআইএডি জানায়, একনেকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আলোচ্য প্রকল্পের ডিজাইনে ভূগর্ভের কার পার্কিং ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হলে তা অর্থনৈতিক এবং কারিগরি দৃষ্টিকোণ থেকে যৌক্তিক হবে না। ফলে সেন্টারের ডিজাইনে ভূগর্ভস্থ কার পার্কিংয়ের পরিবর্তে ভূমি সমতলে এ কার পার্কিং ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ডিজাইনটি প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেন। এরপর প্রকল্পের সময় বাস্তবতার নিরিখে বাড়িয়ে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই আশা করছি নির্ধারিত সময়ের আগেই এটির নির্মাণকাজ শেষ হবে।

 


আরো সংবাদ


premium cement
শাহরিয়ার আলমের সাথে জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূতের সাক্ষাৎ ফেনীতে ৬ মাদরাসার ভবন নির্মাণ ৪ বছরেও শেষ হয়নি সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ১১ ভারতীয় অবৈধ গরু আটক দ্বিতীয় দফায়ও এরদোগান এগিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরে বাকশাল, বাইরে গণতন্ত্রের মোড়ক : জিএম কাদের তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন : দ্বিতীয় দফার ভোট গণনা চলছে পদযাত্রার মাধ্যমে আগামীতে ঢাকা ঘেরাও করা হবে : ডা. মাজহারুল পবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগ চেয়ে পোস্টারিংয়ের অভিযোগে অধ্যাপক বরখাস্ত সিরাজগঞ্জে নদীতে বিষাক্ত বর্জ্যে মাছচাষিদের কোটি টাকার ক্ষতি সরকার দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর সাথে আজমত উল্লার সাক্ষাৎ

সকল