২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

টাইগ্রে নেতৃবৃন্দের সাথে প্রথম শান্তি চুক্তি নিয়ে ইথিওপিয়ান প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

- ছবি - ইন্টারনেট

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবে আহমেদ গত বছরের শান্তি চুক্তির পর টাইগ্রে নেতৃবৃন্দের সাথে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি বৈঠক করেছেন।

কর্মকর্তা এবং সরকারি সংবাদ মাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।

খবর এএফপি’র।

দু’বছরের ভয়াবহ যুদ্ধের পর ইথিপিয়ান সরকার ও ‘টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট’ একটি শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এর তিন মাস পর ইথিওপিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে শুক্রবার উভয়পক্ষের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে মূলত টাইগ্রেতে ব্যাংকিং খাত ও স্থল পরিবহন উন্মুক্ত করা নিয়ে আলোচনা হয়।

আবে’র জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রেদওয়ান হোসেইন টুইটারে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা শান্তি চুক্তির অগ্রগতি বিষয়ে টিপিএলএফের প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক করেন।

সরকারি সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী প্রিটোরিয়ায় গত ২ নভেম্বর স্বাক্ষরিত চুক্তির পর গঠিত তথাকথিত ‘পিস অ্যাগ্রিমেন্ট ইমপ্লিমেন্টেশান কোঅর্ডিনেশান’ কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী আবে এ প্রথম যোগ দেন।

তার সাথে ছিলেন উপ প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেমেকে মেকোনেন এবং সশস্ত্র বাহিনী প্রধান বিরহানু জুলা। অন্যদিকে টাইগ্রে’র সামরিক কমান্ডার তাসকান গেব্রেটেনসায়ে এবং টিপিএলএফের মুখপাত্র গেটাচিও রেদা বৈঠকে অংশ নেন।

গেটাচিও রেদা জানান, টাইগ্রে নেতৃবৃন্দ ও জনগণ কারোরই যুদ্ধে ফেরার আগ্রহ নেই।

উল্লেখ্য, টাইগ্রেতে সেনা ক্যাম্পে হামলার অভিযোগে আবে সেখানে সৈন্য পাঠালে উভয়পক্ষে যুদ্ধ শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এ যুদ্ধে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ প্রাণ হারিয়েছে। অন্যদিকে আফ্রিকান ইউনিয়ন দূত অলুসেগান ওবাসানজো এ সংখ্যা ছয় লাখ বলে উল্লেখ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল