১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৫০ বছর ধরে জমাকৃত বই গ্রামের যুবকদের দান করলেন মিসরীয় বৃদ্ধ

৫০ বছর ধরে জমাকৃত বই গ্রামের যুবকদের দান করলেন মিসরীয় বৃদ্ধ - ছবি : সংগৃহীত

বইপ্রেমী হামদুল্লাহ আবদুল হাফিজ। মিসরের দাকহালিয়া অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রামে বসবাস তার। গত ৫০ বছর ধরে অন্তত ১৫ হাজার বই সংগ্রহ করেছেন ৮০ বছর বয়সী এ বৃদ্ধ। কিন্তু জীবন সায়াহ্নে এক গ্রন্থাগারে সমস্ত বই দান করে দিলেন তিনি। উদ্দেশ্য গ্রামের নতুন প্রজন্ম বইগুলো থেকে উপকৃত হোক।

দান করার আগেও তার সংগৃহীত সব বই অন্যরা পড়ার সুযোগ পেত। তার ব্যক্তিগত লাইব্রেরির দরজা সব সময় খোলা থাকত পাঠকদের জন্য। পাঠকদের বই ধার দেয়ার জন্য সবার প্রিয়জন তিনি। আবার পুরো বই শেষের পর পর্যালোচনাও করেন তিনি।

গ্রামের মধ্যে হামদুল্লাহ আবদুল হাফিজের ব্যক্তিগত সংগ্রহ সবচেয়ে সমৃদ্ধ। তাই তার বাড়িতেই বই পড়তে আসেন সবাই। ছোট্ট গ্রামবাসীর কাছে জ্ঞানার্জনের অন্যতম মাধ্যম তিনি। কুরআন, হাদিস, আরবি ভাষা ও সাহিত্যসহ ইসলামের নানা শাখার গুরুত্বপূর্ণ ও দুর্লভ পাণ্ডুলিপি রয়েছে তার সংগ্রহে।

তার সংগ্রহে থাকা বই নিয়মিত পড়েন স্থানীয় নারী পাঠক রাবাব হামুদা। সম্প্রতি রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘এখানে বইয়ের বিশাল সংগ্রহ রয়েছে। আমি শায়য়ের সাথে তার পড়া বই নিয়ে আলোচনা করি। অনেক সময় তার সাথে তাজবিদসহ কুরআন পাঠের চর্চা করি। তাছাড়া হাদিস, ফিকাহ ও সুন্নাহ নিয়েও আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়।’

ব্যক্তিগত সংগৃহের বইগুলো এলোমেলোভাবে থাকায় সবাই তা থেকে উপকৃত হতে পারেন না। তাই সব পাঠকদের জন্য সহজ করতে বইগুলো সুবিন্যস্ত করার কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, সময়ের সবচেয়ে দামি বন্ধু হলো বই। যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে বই সর্বোত্তম বন্ধু। স্বাধীনভাবে বইয়ের পাতায় বিচরণে সুযোগ পান পাঠকরা। তাই স্মার্টফোনের চেয়ে বই সর্বোত্তম বন্ধু।’

রয়টার্সকে রাবাব আরো বলেন, ‘মূলত আমাদের গ্রামে কোনো গ্রন্থাগার নেই। ফলে এখানে বইপ্রেমী পাঠক খুবই কম। মহান আল্লাহর কাছে কামনা, তিনি যেন আমাদের একটি স্থানে বইগুলো সংরক্ষণ ও সুবিন্যস্ত গ্রন্থাগার তৈরির ব্যবস্থা করে দেন।’

সূত্র : আলজাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement