২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মিসরে ১২ ব্রাদারহুড সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই দিতে চাপ বাড়ছে

- ছবি সংগৃহীত

বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা মিসরের ওপর চাপ দিচ্ছে যাতে করে ১২ মুসলিম ব্রাদারহুড সদস্য মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই পান। এ ১২ মুসলিম ব্রাদাহুড সদস্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যেকোনো সময় ফাঁসির আদেশ আসতে পারে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ সংবাদ প্রকাশ করেছে সংবাদ মাধ্যম মিডলইস্ট মনিটর।

এ সপ্তাহের শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ফ্রিডম ইনিশিয়েটিভ ওয়াশিংটন ডিসি ও উত্তর ভার্জিনিয়াতে ওই ১২ মুসলিম ব্রাদারহুড সদস্যের ছবি সংযুক্ত করে একটি ট্রাক চালিয়েছিল। ওই ১২ রাজনৈতিক বন্দীকে রাবা-১২ বলে অভিহিত করা হয়। ট্রাকে সংযুক্ত ওই ছবিগুলোর ওপরে ক্যাপশন করে লেখা ‘আমাদের সাহায্য করুন যাতে করে আমরা এ রাজনৈতিক বন্দীদের বাঁচাতে পারি।’

এছাড়া ওই ১২ রাজনৈতিক বন্দীদের ছবিগুলো ফাঁসির দড়ি দিয়ে ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল।

ওই ১২ মুসলিম ব্রাদারহুড সদস্যদের মধ্যে ডেন্টিস, উকিল, চিকিৎসক, সার্জন ও এক সাবেক মন্ত্রী আছেন। এছাড়া যারা বন্দী আছেন তারাও অনেকের ভাই, বাবা, স্বামী ও সন্তান।

এ বছরের ২৪ জুন তারিখে মিসরের আদালত ওই ১২ মুসলিম ব্রাদারহুড সদস্যদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। এ রাজনৈতিক বন্দীরা ‘রাবা সিট ইন’ (রাবায় বসে থাকা) আন্দোলনে যোগ দেয়ার অপরাধে অভিযুক্ত। বন্দী মুসলিম ব্রাদারহুড সদস্যদের মধ্যে অনেকেই সিনিয়র নেতা, তাদের মধ্যে মিসরের সাবেক যুব ও ক্রীয়া বিষয়ক মন্ত্রীও আছেন। এখন মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসির ক্ষমা না পেলে তাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকবে। তাদের মৃত্যুদণ্ড যেকোনো সময় কার্যকর হতে পারে।

তাদের সবাইকে কায়রোর রাবা আল-আডউইয়া এলাকায় বিক্ষোভ করার সময় আটক করা হয়। এছাড়া আরো অনেক ব্যক্তিকেই আটক করা হয়। এ সময় সিমরের সেনাবাহিনীর গুলিতে এক হাজার ১৫০ মুসলিম ব্রাদারহুড সদস্য নিহত হন।

মানবাধিকার সংস্থার সদস্যরা বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে মিসরে ফাঁসি দেয়ার সঠিক তারিখ জানানো হয় না। হঠাৎ করেই তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর কারা দিক থেকে মিশর তৃতীয়। তাদের চেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে চীন ও ইরান।

মার্কিন মানবাধিকার সংস্থাগুলো ব্রাদারহুড সদস্যদের প্রাণ বাঁচাতে ব্যাপক প্রচারণা চালালেও যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ তেমন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

সাম্প্রতিক সময়ে বাইডেন বলেছেন, যে তিনি মানবাধিকার ইস্যুতে মিসরকে ছাড় দিবেন না। তারপরেও দেখা যাচ্ছে যে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ মিসরে অস্ত্র বিক্রি করছেন।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করছে মিসরের কাছে। এ কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়। কারণ, মিসর কর্তৃপক্ষ ভয়াবহভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর মিসরকে ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক সাহায্য দেয়।

এ বিষয়ে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের কর্মকর্তা এলিসা এপস্টেইন ওযাশিংটন পোস্টকে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ দাবি করতে পারে না যে তারা মানবাধিকার রক্ষা করছে। কারণ, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দেশকে তারা আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র সহায়তা দেয়।

সূত্র : মিডলইস্ট মনিটর


আরো সংবাদ



premium cement