২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দারিদ্র্য মোচনে আফ্রিকার ‘সবুজ সোনা’ অ্যাভোকাডো

দারিদ্র্য মোচনে আফ্রিকার ‘সবুজ সোনা’ অ্যাভোকাডো -

‘একটি অ্যাভোকাডো গাছের আয়ু প্রায় ৫০ বছর। উগান্ডার মানুষের গড় আয়ুও ৬০ বছর। একটি অ্যাভোকাডো গাছ মানুষের পুরো জীবনে উপকার করতে পারে।’ গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন বেকার সেনেজেন্ডো।

সেনেজেন্ডো বৃহত্তম অ্যাভোকাডো ফার্ম পূর্ব উগান্ডার মায়ুগ জেলার এক হাজার হেক্টর জমির মুসুবি খামারে কাজ করেন। অ্যাভোকাডো খামারে কাজ করে তিনি তার জীবনের স্বপ্ন পূরণ করছেন বলেও জানান। অ্যাভোকাডো চাষ করে দারিদ্র্যকে দূরে রাখতে চান তিনি।

বেড়ে চলা চাহিদার কারণে এ ফলে রফতানি বাজার বেশ আকর্ষণীয়। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই ১৯৯০ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে মাথাপিছু অ্যাভাকোডার চাহিদা বেড়েছে ৪০৬ শতাংশ। আফ্রিকাতেও অ্যাভোকাডো চাষ দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। আফ্রিকার কৃষকদের কাছে অ্যাভোকাডো এখন দারিদ্র্য মোচনের ফসল। ফলটি সেখানে তাই পরিচিতি পাচ্ছে সবুজ সোনা নামে। আগামী দশকে শীর্ষ রফতানিকারী দেশগুলোর তালিকায় উঠে আসার লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে নাইজেরিয়া ও উগান্ডা। কেনিয়া ইতোমধ্যেই রয়েছে শীর্ষ দশের মধ্যে।

বড় খুচরা বিক্রেতাদের প্রতিযোগিতা বাড়ায় বাজারে কফির দাম পড়ে যাওয়ায় আফ্রিকার কৃষকদের আয় কমে গিয়েছিল। কৃষকদের কাছে তাই আশার আলো এখন অ্যাভাকোডা। এ প্রসঙ্গে নাইরোবির ওয়ার্ল্ড এগ্রোফরেস্ট্রি সেন্টারের বিজ্ঞানী স্যামি কারসান বলেন, ‘অ্যাভোকাডো ফলটি আসলে স্বর্গের একটি উপহার, কৃষকরা কফি চাষের বিকল্প হিসেবে অ্যাভোকাডো চাষ করতে পারেন।’

নাইজেরিয়ার দ্য গার্ডিয়ানের তথ্য মতে, গত বছর নাইজেরিয়ার অ্যাভোকাডো সোসাইটির (এএসএন) সদস্যদের সাথে এক বৈঠকে নাইজেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ওলুসেগুন ওবাসানজো অ্যাভোকাডোকে নাইজেরিয়ার নতুন তেল’ বলে মন্তব্য করেছেন।
সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement