২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, শিশুসহ ৪১ শরণার্থীর মৃত্যু

- প্রতীকী ছবি

তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিয়ান দ্বীপ লাম্পেদুসা যাওয়ার পথে নৌকা ডুবে অন্তত ৪১ শরণার্থী প্রাণ হারিয়েছেন। শুক্রবার জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা- ইএনএইচসিআর ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) এক যৌথ বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব তিউনিসিয়ার সিদি মানসুরের উপকূলের কাছে শরণার্থী যাত্রীবাহী ওই নৌকা ভূমধ্যসাগরে ডুবে গেলে এই প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে।

তিউনিসিয়ার ন্যাশনাল কোস্টগার্ড এক শিশুসহ অন্তত ৪১ জনের লাশ উদ্ধার করেছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

এতে আরো জানানো হয়, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শরণার্থীরা ওই নৌকার আরোহী ছিলেন।

তিউনিসিয়ার সিভিল প্রটেকশন সার্ভিসের পরিচালক মুওয়ার্দ মিশরি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে শুক্রবার জানান, নৌকাটি বৃহস্পতিবার রাতে সাফাকিশ শহর ছেড়ে যাত্রা করেছিল।

তিউনিসিয়ার বন্দরগুলো মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে সংঘাত ও দারিদ্র্যকে পেছনে ফেলে ইউরোপে গিয়ে উন্নত জীবন শুরু করার আকাঙ্ক্ষাকারী শরণার্থীদের বহুল ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

মানব পাচারকারীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বায়ুভর্তি রাবার নৌকা বা ভঙ্গুর মাছ ধরার নৌকায় এই শরণার্থীদের তুলে দিয়ে ইউরোপ পাঠাচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই পথে দুর্বল বাহন নিয়ে এই যাত্রায় শরণার্থীরা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

গত মাসে সাফাকিশ শহর থেকেই ছেড়ে যাওয়া অপর এক নৌকাডুবিতে ৩৯ শরণার্থীর মৃত্যু হয়। গত বছর জুনে এমনই এক দুর্ঘটনায় অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়।

আইওএমের তথ্য অনুসারে, ২০১৪ সাল থেকে অন্তত ২০ হাজারের বেশি শরণার্থী ও অভিবাসী আফ্রিকা থেকে ইউরোপ যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরে ডুবে প্রাণ হারান। এই বছর এখন পর্যন্ত অন্তত চার শ' ছয়জনের মৃত্যু হয়।

ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে এই বছর তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ইতালিতে আরো আট হাজার পাঁচ শ' অভিবাসী ও শরণার্থী পৌঁছায়।

সূত্র : আলজাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement

সকল