১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

লিবিয়ায় নতুন সমীকরণ : হাফতার নিয়ন্ত্রিত বেনগাজিতে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট

জেনারেল খলিফা হাফতারের সাথে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ইউনুস মানফি - ছবি : ডেইলি সাবাহ/আনাদোলু এজেন্সি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইউনুস মানফি বিভক্ত লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের গোত্রপ্রধান ও অন্য নেতাদের সাথে সাক্ষাত ও আলোচনা করেছেন। ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে জেনারেল খলিফা হাফতারের নিয়ন্ত্রিত বেনগাজিতে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন পক্ষের সাথে আলোচনা করছেন তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার এথেন্স থেকে বেনগাজিতে পৌঁছেন লিবিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট।

জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে সুইজারল্যান্ডে লিবিয়ার সংঘাতরত বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর গত ৫ ফেব্রুয়ারি দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কূটনীতিক মোহাম্মদ ইউনুস মানফি ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রভাবশালী লিবীয় ব্যবসায়ী আবদুল হামিদ মোহাম্মদ দাবিবাহকে নির্বাচিত করা হয়। অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকার বছরের শেষে ২৪ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে গৃহযুদ্ধ-পরবর্তী গণতান্ত্রিক সরকার গঠনে সাহায্য করবে।

বেনগাজিতে পৌঁছার আগে মানফি এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য একতা ও সত্যিকার মীমাংসা অর্জন করা এবং দুর্ভোগের সমাপ্তিতে সকলের সাথে সহযোগিতা করা।’

বৃহস্পতিবার পৌঁছার অল্প কিছুসময় পরেই বেনগাজির ২৭ কিলোমিটার (১৭ মাইল) পূর্বে রাজমা গ্রামে পূর্বাঞ্চলীয় যুদ্ধবাজ নেতা জেনারেল খলিফা হাফতারের সাথে তার বাহিনীর সদর দফতরে সাক্ষাত করেন।

ইউনুস মানফি ও খলিফা হাফতারের মধ্যে এই বৈঠকে হাফতার অন্তর্বর্তীকালীন নতুন সরকারের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং লিবিয়ায় ‘শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতার হস্তান্তরে’ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন।

২০১১ সালে আরব বসন্তের পরিপ্রেক্ষিতে লিবিয়ায় সাধারণ মানুষ চার দশক দেশটি শাসন করা একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। গাদ্দাফি সামরিক পন্থায় বিক্ষোভকারীদের দমন করতে চাইলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। গৃহযুদ্ধের এক পর্যায়ে বিদ্রোহীদের হাতে গাদ্দাফি নিহত হলেও দেশটিতে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত থাকে। বিবাদমান পক্ষগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ থেকে নতুন করে দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০১৪ থেকে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে দেশটি ত্রিপোলিকেন্দ্রীক পশ্চিম ও তবরুককেন্দ্রীক পূর্বাঞ্চলীয় সরকারের মধ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে।

২০১৯ সালের এপ্রিলে পূর্বাঞ্চলীয় যুদ্ধবাজ নেতা খলিফা হাফতার জাতিসঙ্ঘ সমর্থিত পশ্চিমাঞ্চলের সরকারের কাছ থেকে রাজধানী ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণ নিতে হামলা চালায়। দীর্ঘ ১৪ মাস সংঘর্ষের পর তার এই হামলা ব্যর্থ হয়।

গত বছরের অক্টোবরে জাতিসঙ্ঘ উভয়পক্ষকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত করে এবং দেশটির সংকট সমাধানে বিবাদমান পক্ষগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক সংলাপের সূচনা করে।

সূত্র : আলজাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশে গ্রিসের দূতাবাস হচ্ছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানের সাথে টেস্ট খেলতে চান রোহিত অধ্যাপক মাযহারুল ইসলামের বাসভবনে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ইউক্রেনের ২০টি ড্রোন, ২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্কিৃয় করল রাশিয়া তালেবানকে আফগান মাটি অন্যদের ব্যবহারের সুযোগ না দেয়ার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের। গত দুই দিনের রেকর্ডের পর চুয়াডাঙ্গায় আজও বইছে তীব্র তাপদাহ বগুড়ায় শিশুকে গলা কেটে হত্যা, নানা আটক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ তালতলীতে ইউপি চেয়ারম্যানের নগ্ন ও আপত্তিকর ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল ভারতের নির্দেশের পর পোস্ট ব্লক করল এক্স ‘দেশের কল্যাণে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারার বিকল্প নেই’

সকল