১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইলন মাস্ককে মিসর জানাল কোনো মহাজাগতিক জীব পিরামিড বানায়নি

- ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের প্রতি মিসর আহ্বান জানিয়েছে তিনি যেন মিসরে গিয়ে নিজ চোখে দেখে আসেন যে বিখ্যাত পিরামিড কোন মহাজাগতিক জীব বানায়নি।

স্পেস-এক্স-এর প্রধান ইলন মাস্ক যে টু্‌ইট করেছেন তাতে আপাতদৃষ্টিতে তিনি ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসীদের তত্ত্বকেই সমর্থন করেছেন যারা মনে করে মিসরের বিখ্যাত পিরামিড নির্মাণ করেছিল মহাজাগতিক কোন জীব।

ষড়যন্ত্র তত্ত্ব যারা ছড়াচ্ছে তারা এমন দাবিও করেছে যে মিশরের রাজা দ্বিতীয় রামসেস একজন মহাজাগতিক ব্যক্তি ছিলেন।

মিসরের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন তিনি চান না যে এসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব যারা ছড়ায় তাদের তত্ত্ব কোন কৃতিত্ব পায়।

মন্ত্রী বলছেন ইলন মাস্ক নিজের চোখে এসে দেখে যান পিরামিড কীভাবে এবং কখন বানানো হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই বিশাল পিরামিডগুলো যে প্রাচীন মিসরীয়রা নির্মাণ করেছিল তার গ্রহণযোগ্য তথ্যপ্রমাণ রয়েছে।

শুক্রবার প্রযুক্তি ব্যবসায়ী এই ধনকুবের ইলন মাস্ক টুইট করে বলেন: "এলিয়েনরা অবশ্যই পিরামিড নির্মাণ করেছে''। তার এই টুইট ৮৪ হাজার বার রি-টুইট করা হয়েছে।

মিসরের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী রানিয়া আল-মাশাত টুইটারে এর উত্তর দিয়ে বলেছেন তিনি ইলন মাস্কের কাজকর্ম সম্পর্কে খবর রাখেন এবং তার কাজ তিনি পছন্দ করেন।

কিন্তু তাকে রানিয়া আল-মাশাত অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি যেন মিসরের ফারাওদের তৈরি এই ঐতিহাসিক কাঠামোগুলোর নির্মাণ সম্পর্কে নিজে আরও তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেন।

মিসরের প্রত্নতাত্ত্বিক জাহি হাওয়াসও আরবী ভাষায় তৈরি ছোট একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে এর জবাব দিয়ে বলেছেন ইলন মাস্কের এই যুক্তি ''সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূত''।

''যারা পিরামিডগুলো বানিয়েছিল আমি তাদের স্মৃতিসৌধ খুঁজে পেয়েছি এবং সেগুলো দেখেছি। সেখানে লিপিবদ্ধ আছে প্রত্যেক পিরামিড নির্মাণকারী মিসরীয় ছিলেন এবং তারা কেউ ক্রীতদাস ছিলেন না,'' জাহি হাওয়াসকে উদ্ধৃত করে খবর ছাপা হয়েছে ইজিপ্ট টাইমস নামে পত্রিকায়।

পত্রিকায় মিসরের বিশিষ্ট এই প্রত্নতাত্ত্বিক জাহি হাওয়াসকে উদ্ধৃত করে আরও বলা হয়েছে মূল পিরামিড এবং আশপাশের পিরামিডগুলো কোন রাজা বা রাজপরিবারের সদস্যদের তা স্মৃতি সৌধগুলোতে লেখা রয়েছে। তিনি বলেছেন শুধু তাই নয়, কারা এগুলোর স্থপতি এবং নির্মাণ কারিগর তাদের নামও ভেতরে খোদাই করে লেখা রয়েছে।

তার নিজস্ব আনুষ্ঠানিক ফেসবুক পেজে তিনি এই ভিডিও পোস্ট করে আরও লিখেছেন পিরামিড মিসরের জাতীয় সম্পদ। রাজা দ্বিতীয় রামসেস ছিলেন মিসরীয় এবং তার বাসস্থান ছিল শারকিয়ায়। তিনি বলেছেন, ''আপনি ভুল করছেন এবং এগুলো আপনার কল্পনাপ্রসূত''।

ইলন মাস্ক অবশ্য পরে তার আনুষ্ঠানিক টু্‌ইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বিবিসির ইতিহাস বিষয়ক ওয়েবসাইটের একটি লিংক টুইট করেছেন যেখানে পিরামিড নির্মাণকারীদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন আছে।

তিনি লিখেছেন ''বিবিসির এই নিবন্ধে অবশ্য যুক্তিসঙ্গত তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে পিরামিড কীভাবে তৈরি হয়েছিল।"

মিসরে একশয়ের বেশি পিরামিড অক্ষত রয়েছে, তবে সবচেয়ে বিখ্যাত পিরামিড হল গিজার গ্রেট পিরামিড, যার উচ্চতা ৪৫০ ফুটের (১৩৭ মিটার) বেশি।

এগুলোর বেশিরভাগই বানানো হয়েছিল মিসরের রাজপরিবারের সদস্যদের স্মৃতি সৌধ হিসাবে।

ইলন মাস্ক এর আগেও মাঝে মাঝে উদ্ভট টুইট করে আলোচনায় এসেছেন। বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement