২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বিশ্বের বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল হওয়ার পথে আফ্রিকা

- সংগৃহীত

চলতি বছর বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল গঠন করতে যাচ্ছে আফ্রিকান ইউনিয়ন। নতুন এ বাণিজ্য অঞ্চল গঠনে এরই মধ্যে আফ্রিকার ৫৩টি দেশ চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি শুধু একটি দেশ ইরিত্রিয়া। আশা করা হচ্ছে, ২০৩০ সাল নাগাদ এ চুক্তি পুরোপুরি কার্যকর হবে। ফলে অঞ্চলটির ৯০ শতাংশ পণ্যের শুল্ক বাতিল হয়ে যাবে। অধিবাসীরা কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন।

দি আফ্রিকান ফ্রি ট্রেড এরিয়া নামে এ বাণিজ্য অঞ্চল গঠনে মহাদেশটির দেশগুলোকে নেতৃত্ব দিচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আশা করা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকা অঞ্চলের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের চেহারা আমূল বদলে যাবে। এর সুফল ভোগ করবে অঞ্চলটিতে বিশ্বের দরিদ্রতম বহু দেশ। এমনিতে আফ্রিকা অঞ্চলে আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। সীমান্তে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও চোরাকারবারিদের কারণে এ অঞ্চলের আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি করছে, যা ব্যবসায়ীদের জন্য বেশ হতাশাজনক। মূলত আফ্রিকা মহাদেশের মোট আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের মাত্র ১৫ শতাংশ সম্পন্ন হচ্ছে অঞ্চলটির দেশগুলোর মধ্যে। এ অবস্থায় মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল গঠনের মধ্য দিয়ে অঞ্চটির আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যে স্বচ্ছতা ও গতি নিশ্চিত করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আফ্রিকার দরিদ্রতম দেশগুলোকে সহায়তার জন্য বহু আগে থেকেই এ অর্থনৈতিক একীভূতকরণের চেষ্টা চলছিল। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের এখনই উপযুক্ত সময় বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বিশ্বের বড় অর্থনীতির দেশগুলো যেখানে পরস্পরের সাথে বাণিজ্যযুদ্ধে অবতীর্ণ হচ্ছে, সেখানে বাণিজ্য নিয়ে বড় ধরনের দরকষাকষির জন্য এ একীভূতকরণ আফ্রিকাকে সহায়তা করবে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধ আপাতত শান্ত মনে হলেও অচিরেই দেশ দু’টি আফ্রিকায় তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেবে।

আফ্রিকার নতুন এ চুক্তিতে প্রাথমিকভাবে লাভবান হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া ও মিসরের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো। কারণ এসব দেশে যে উৎপাদন অবকাঠামো রয়েছে, সেখানে তারা আফ্রিকার ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণীর চাহিদামাফিক পণ্য উৎপাদনে সক্ষম। এ অবস্থায় অঞ্চলটির কম উন্নত দেশগুলোর জন্য আপাতত কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে তারা চুক্তির প্রাথমিক ধাক্কা সামলাতে পারে।

তবে দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিল রামাফোসা থেকে ঘানার আকুফো-আদ্দোর মতো নেতারা এ চুক্তির সুফল নিয়ে ইতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সূত্র : ব্লুমবার্গ।


আরো সংবাদ



premium cement