ঈদের আগে ও পরে ৩ দিন সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৮:০৫
যাত্রী ও পণ্য পরিবহন নিরাপদ রাখতে ঈদের আগে তিন দিন ও ঈদের পরে তিন দিন নিত্য প্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে।
রাতের বেলায় স্পিডবোট এবং বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। ঈদের আগে পাঁচ দিন এবং ঈদের পরের পাঁচ দিন অর্থাৎ ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সার্বক্ষণিক (দিন-রাত) সকল বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। এ বছর ঈদ-উল-ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ ২২ এপ্রিল।
আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে নৌপথে স্টিমার ও লঞ্চসহ পানিযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যথাযথ কর্মপন্থা গ্রহণের লক্ষে ঈদ ব্যবস্থাপনা বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় জানানো হয় যে পদ্মাসেতুতে মোটর সাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে। শিমুলিয়া মাঝিরকান্দি রুটে মোটরসাইকেল পারাপারের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এপ্রিল মাসে আবহাওয়া খারাপ থাকে এবং কালবৈশাখীর ঝড় হওয়ার শঙ্কা থাকে। ওই সময় সকলকে আবহাওয়া বার্তা মেনে চলতে হবে। ঢাকা সদরঘাট এলাকায় যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন ও নৌপুলিশ আরো সতর্কতার সাথে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সদরঘাট এলাকায় ছোট ছোট নৌযানে করে লঞ্চে যাতে যাত্রী উঠানামা করতে না পারে, সেজন্য কঠোর নজরদারি করতে হবে।
নদী বন্দরগুলোতে যাত্রীসেবার জন্য যেসব ওয়াশরুমের সুবিধা আছে, সেগুলোর সংখ্যা ও সেবার মান বাড়াতে হবে। পাটুরিয়া, দৌলতদিয়া, আরিচা, কাজিরহাট, হরিনা ও আলুবাজার ফেরিরুটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে। সন্দ্বীপ ও হাতিয়ার মতো উপকূলীয় অঞ্চলে যাত্রী পারাপারে সি-ট্রাক চালু থাকবে।
ফিটনেসবিহীন নৌযান যাতে চলাচল করতে না পারে, সেজন্য নৌপরিবহন অধিদফতর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী সাধারণের সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে যাতায়াতের লক্ষে ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় গার্মেন্টস ও নিটওয়ার সেক্টরের নিয়োজিত কর্মীদের এলাকাভিত্তিক পর্যায়ক্রমে ছুটি প্রদানের জন্য বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে নৌসেবা নিতে পারে, ওই বিষয়ে আমরা আন্তরিক। পদ্মা সেতু আমাদের অনুভূতির জায়গা দখল করে নিয়েছে। অনেকে মনে করেছিল, পদ্মাসেতু হয়ে গেলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষও লঞ্চ ব্যবহার করবে না। এটা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। নৌপথে আগ্রহ কমে যায়নি। বরং আগ্রহ বেড়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে নৌসেবা নিতে পারে, ওই লক্ষে কাজ করা হচ্ছে। সেবা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মোস্তফা কামাল, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মো: নিজামুল হক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া, স্বরাষ্ট্র, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, পুলিশ, নৌপুলিশ, আবহাওয়া বিভাগ, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ, সংশ্লিষ্ট সড়ক ও নৌপরিবহন মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সরাসরি ও জুমে সভায় যোগ দেন।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা