২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাব দেয়ার পক্ষে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাব দেয়ার পক্ষে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী - প্রতীকী ছবি

সরকারি কর্মচারীদের পাশাপাশি মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও সম্পদের হিসাব দেয়ার পক্ষে মত দিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, আগামী থেকে আমরা সম্পদের হিসাব দিয়ে দেব।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে, বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত `বিএসআরএফ-সংলাপ' অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’অনুযায়ী পাঁচ বছর পরপর সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির অনুমতি নেয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ নিয়ম মানছেন না।

সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে সম্প্রতি নতুন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

সরকারি চাকরিজীবীদের মতো প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আপনি সম্পদের হিসাব দেবেন কি না, অন্যান্য মন্ত্রীদেরও সম্পদের হিসাব দেয়া উচিৎ? প্রশ্নে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'হ্যাঁ, নিশ্চয়ই।

`আমি তখন প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, কথা দিয়েছি, আমরা নিয়মিতভাবে যেহেতু রিটার্ন জমা দেই, আমরা অবশ্যই তিন বছর পর পরই কিন্তু এটি জমা দেব। আমরা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হই। অন্তত আমাদের এখানে একবার বা দুবার জমা পড়বেই,' বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, তথ্য অধিকার আইনে কিন্তু আপনি যে কোন মন্ত্রীর ট্যাক্স রিটার্ন কপি নিতে পারেন। কোন অসঙ্গতি থাকলে আপনারা কিন্তু অভিযোগ করতে পারেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো অনিয়ম দেখলে সেখানেও কিন্তু ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ও রয়েছে। আমাদের বিচার বিভাগ একদম স্বাধীন। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন অত্যন্ত ভালো কাজ করছে।

সম্পদের হিসাব দেয়ার পক্ষে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই আপনার মতের সাথে আমরা একমত। আমরা চাই যে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতার জন্য আমরা আগামী থেকে সকলেই কর্মকর্তারা এবং আপনি জানেন যে নির্বাহী বিভাগের প্রধান যেমন আমাদের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা সকলেই কিন্তু এ জিনিসটা আমরা দিব। তবে এটুকু বলতে চাই, প্রতি বছরই কিন্তু আমাদেরকে দিতে হচ্ছে। আমরা যারা রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত, তাদের কিন্তু এ বিষয়টি অত্যন্ত সচেতনভাবে করতে হয়, কারণ নির্বাচনী বিধি-আইন, অনেক কিছুই আছে।

আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের কর্মকর্তারা যেটি মেনে চলবেন স্যার, ম্যাডাম বা এমন কিছু সম্বোধন করতে হবে এমন কোনো রীতি নাই।

বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া এসময় বক্তব্য দেন।


আরো সংবাদ



premium cement