১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

১০ তারিখ পর্যন্ত 'লকডাউন'

১০ তারিখ পর্যন্ত 'লকডাউন' - ছবি : নয়া দিগন্ত

মহামারী করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউন ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৩ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভাশেষে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ১১ আগস্ট থেকে অফিস-আদালত, দোকানপাট, কল-কারখানা খুলে দেয়ায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। গণপরিবহন বাই রুটের মাধ্যমে সীমিত আকারে চলবে।

এর আগে করোনা নিয়ন্ত্রণে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছিল সরকার।

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, আগামী ১ সপ্তাহে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনেটেড করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওয়ার্ড-ইউনিয়নে ৫ থেকে ৭টা কেন্দ্র করে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। মানুষকে ভ্যাকসিন নিতে দৌড়াতে হবে না, আমাদের লোকজনই তাদের কাছে পৌঁছে যাবে।

মন্ত্রী বলেন, ১৪ হাজার কেন্দ্রে একযোগে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। সেখানে আমরা বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেব। কারণ বৃদ্ধ লোকদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি বলে মনে হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা একইসাথে শ্রমিক, বাসের হেলপারসহ সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে আহ্বান জানাচ্ছি। ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ কর্মস্থলে আসতে পারবেন না। ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট থাকতে হবে। ভ্যাকসিন দিলেই ওয়েবসাইটে জানা যাবে। সেগুলো চেক করা হবে। ভ্যাকসিন দেয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ওয়েবসাইটে দিয়ে দেবে। ভ্যাকসিন নিয়েছে কিনা যাচাই করতে পারব। ৭, ৮, ৯ তারিখ সুযোগ রাখলাম। যাতে তারা ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যবসাকেন্দ্র খুলতে পারে। সময় বাড়াচ্ছি তা, ১০ তারিখ পর্যন্ত সুযোগ দিচ্ছি। ১১ তারিখ থেকে যাতে খুলতে পারে সেই সুযোগ রেখেছি।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১ থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরে তা ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ঈদুল আজহার কারণে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। পরে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ‘কঠোরতম বিধিনিষেধ’ জারি করে সরকার।


আরো সংবাদ



premium cement