১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গ্রেড ১০-২০ এর সরকারি চাকরিজীবীদের ৮ দফা দাবি

গ্রেড ১০-২০ এর সরকারি চাকরিজীবীদের ৮ দফা দাবি - ছবি : সংগৃহীত

২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে মহার্ঘ ভাতার বরাদ্দ অন্তর্ভুক্ত করা, স্থায়ী পে কমিশন গঠনের মাধ্যমে বৈষম্যহীন ৯ম পে-স্কেল ঘোষণা, এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন, টাইম স্কেল-সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল, সব ভাতা বাজার চাহিদা অনুযায়ী পুনঃনির্ধারণ সহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবীদের সংগঠন সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান। লিখিত বক্তব্যে তিনি সরকারের কাছে এসব দাবি উত্থাপন করেন।

দাবির মধ্যে রয়েছে, স্থায়ী পে কমিশন গঠন করে ৯ম পে-স্কেল ঘোষণার মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসনসহ গ্রেড অনুযায়ী বেতন স্কেলের পার্থক্য সমহারে নির্ধারণ ও গ্রেড সংখ্যা কমাতে হবে এবং পে স্কেল বাস্তবায়নের আগে অন্তর্বর্তীকালীন যৌক্তিক পরিমাণে মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে; এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি বাস্তবায়ন করতে হবে; সব পদে পদোন্নতি বা পাঁচ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড দিয়ে ব্লক পোস্ট নিয়মিতকরণ করতে হবে; টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পুনঃবহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা বজায় রাখতে হবে; সচিবালয়ের মতো সচিবালয়ের বাইরের সব দপ্তর, অধিদপ্তর এবং পরিদপ্তরে পদবি ও গ্রেড পরিবর্তন করতে হবে; সব ভাতা বাজার চাহিদা অনুযায়ী পুনঃনির্ধারণ করতে হবে; নিম্ন বেতনভোগীদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে ও বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের স্থলে ১০০ শতাংশ পুনঃনির্ধারণসহ পেনশন গ্রাচুইটির হার ১ টাকা= ৫০০ টাকা করতে হবে এবং কাজের ধরণ অনুযায়ী পদের নাম ও গ্রেড একীভূত করতে হবে।

তিনি বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আট দফা দাবি বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে আগামী ১৮ জুন ফোরাম জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে ও ফোরামের প্রতিনিধিদল সরাসরি প্রধানমন্ত্রী বরাবর তার দফতরে পুনরায় স্মারকলিপি দেবেন।

ফোরামের সভাপতি লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কার্যকরী সভাপতি কাজী ফাহাদুর রহমান রাজু, সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম খান, সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. মোফাজ্জল হোসেন, ঢাকা মহানগরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

 


আরো সংবাদ



premium cement