২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
মন্ত্রিসভার বৈঠক

আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার চুক্তি অনুসমর্থনে সরকারের অনুমোদন

আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার চুক্তি অনুসমর্থনে সরকারের অনুমোদন - প্রতীকী ছবি

নতুন আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের (টিকা) প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে দেশে নতুন টিকা উৎপাদন আরো সহজ করতে আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট (আইভিআই) প্রতিষ্ঠার চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। আইভিআই হলে দেশের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে জানানো হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংকালে এই অনুমোদনের কথা জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘১৯৯৬ সালের ২৮ অক্টোবর ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনডিপি) উদ্যোগে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে একটা আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউটের চুক্তি হয়েছিল। সেখানে আমরা স্বাক্ষর করি। কিন্তু এটার পূর্ণ সদস্য হওয়ার জন্য আমাদের কেবিনেটের অনুমোদনের দরকার সেজন্য এ প্রস্তাব তোলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এটা যদি আমরা করি তাহলে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং এ সম্পর্কিত গবেষণা কাজে প্রশিক্ষণ, কারিগরি সহায়তা পাওয়া যাবে। এতে দেশের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থাসমুহের সক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। ভ্যাকসিন উৎপাদন প্রয়োগ ও মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও যুগোপযোগী হবে।’

‘নতুন আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে দেশে নতুন ভ্যাকসিন উৎপাদন আরো সহজতর হবে। ফলে দেশে স্বল্পমূল্যে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। আর আমাদের ভ্যাকসিনের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যোগ্যতা অর্জনের পথও সুগম হবে। যা বিদেশে বাংলাদেশের ভ্যাকসিনের বাজার সম্প্রসারণে সহায়ক হবে’ যোগ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের যেহেতু ফার্মাসিটিক্যাল উৎপাদনের মান মোটামুটি মানসম্মত। যা বিশ্বে প্রমাণিত। সুতরাং এক্ষেত্রে আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই এগুলো অর্জন করতে পারব। বিশেষ করে বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আরো বেশি প্রয়োজন বলে অনুভূত হয়েছে।’

দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক ভ্যাকসিন তৈরি ও বাজারজাত করা প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘গ্লোব বায়োটেক এখনো তো ট্রায়াল শেষ করেনি। এ বিষয়েও কেবিনেটে আলোচনা হয়েছে। তারা যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল মেনে করতে পারে তাহলে তারা ট্রায়াল করবে তারপর দেখা যাবে।’

পেটেন্ট না মানার শাস্তি বাড়ছে :
এদিকে, শাস্তি বাড়িয়ে ‘বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন, ২০২১’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে গতকালের মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘পেটেন্ট ও ডিজাইন আইন ছিল ১৯১১ সালের। সেটা দিয়েই চলছিল। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন জটিলতার জন্য...এত বেশি ডাইভারসিফিকেশন এবং স্পেশালাইজেশন হয়ে গেছে যে একটা আইনে দুইটা কাভার করেছিল না। পরের ২০১৬ সালে এই আইনটিকে দুই ভাগ করে একটা পেটেন্ট আইন, আরেকটি ডিজাইন আইনের খসড়া করা হয়েছিল। শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে আইনটি আনা হয়েছে।’

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আইন অনুযায়ী নতুনত্ব ও উদ্ভাবনী বিষয় বিদ্যমান থাকলে প্রযুক্তিগত যেকোনো পণ্য উদ্ভাবনী পেটেন্ট যোগ্য হবে। এটা আইনের মধ্যে বিধান রাখা হয়েছে। আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে কোনো একটি পেটেন্টের একক বা যৌথ উদ্ভাবনকে আবেদনের ফলে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উদ্ভাবকরা যৌথ উদ্ভাবকের পেটেন্টের সুরক্ষা দেয়া হবে।’

‘খসড়া আইন অনুযায়ী, পেটেন্ট মালিক ২০ বছরের জন্য পেটেন্ট রাইট পাবেন। ২০ বছর পর এটা পাবলিক সম্পদ হয়ে যাবে।’ খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো ক্ষেত্রে যদি জেনেটিক রিসোর্সের অবৈধ ব্যবহার হয়, সেক্ষেত্রে পেটেন্ট হস্তান্তর করে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে দেয়া যাবে। পেটেন্ট বাতিল এবং অধিকার কার্যকর করার বিধান এই আইনে আছে। এই আইনে যেসব মামলা-মোকাদ্দমা হবে সেগুলো সিভিল ন্যাচারের হবে। সিভিল কোর্ট এগুলো হ্যান্ডেল করবে। কেউ যদি চিটিং করে সেগুলো তো আলাদা, সেগুলো পেনাল কোড অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আদেশ পালনে কেউ যদি ব্যর্থ হয় তারা সুপারিশ করেছিলেন ২০ থেকে ৮০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ। এটাকে পাঁচ লাখ থেকে ১০ লাখে উন্নীত করে দেয়া হয়েছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইনের অধীনে এখানে একটা রেজিস্টারের দফতর থাকবে। এই ব্যবস্থার দফতর থেকে সবাই রেজিস্ট্রেশন করবে। একইসাথে সুপারভিশন ও মনিটরিং করা হবে। এই রেজিস্টার ডিজাইনের আইনেরও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অধিদফতর হিসেবে কাজ করবে।’

বাংলাদেশ শিল্প-নকশা আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন :
বৈঠকে ‘বাংলাদেশ শিল্প-নকশা আইন, ২০২১’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগের আইনের অধীনে ডিজাইন এবং ট্রেডমার্কস রেজিস্ট্রার অধিদফতর ছিল, সেটা বহাল থাকবে। এই অধিদফতরের অধীনে একটি শিল্প ইউনিট থাকবে। এই আইনের অধীনে শিল্প-নকশা নিবন্ধন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।

তিনি বলেন, ‘আইনের অধীনে বিধি দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং ফি প্রদান সাপেক্ষে শিল্প-নকশার নিবন্ধনের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। কারও যদি এক্সক্লুসিভ এক্সট্রাঅর্ডিনারি কোনো রকম থাকে তাহলে সে দরখাস্ত দিলে তাকে আরো পাঁচ বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হবে। আগের আইনের মধ্যে এটা ছিল না।’

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অনুকূলের যদি শিল্প-নকশা নিবন্ধিত হয় অন্যকে প্রতারণামূলকভাবে যদি ব্যবহার করে তবে মালিক ক্ষতিপূরণ পাবে সিভিল আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার রেজুলেশন অনুযায়ী এই দুটি আইন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement
নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ অবন্তিকার আত্মহত্যা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন আবারো নামঞ্জুর

সকল