২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ডিএনসিসিতে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার বাজেট

মো: আতিকুল ইসলাম
মো: আতিকুল ইসলাম - ছবি : সংগৃহীত

চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরে চার হাজার ৫০৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার বাজেট দিতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। একই সাথে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেট সংশোধন করে দুই হাজার ৬০৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা করা হয়েছে। সোমবার মেয়র মো: আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে মিরপুরে ১০ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত ডিএনসিসির দ্বিতীয় করপোরেশন সভায় এ বাজেট অনুমোদিত হয়।

বাজেট সম্পর্কে মেয়র বলেন, এ বাজেটে রাজস্ব ব্যয়কে সীমিত রেখে উন্নয়ন ব্যয়কে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে মশক নিধন, নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সম্প্রসারিত নতুন ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
করপোরেশন সভার শুরুতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম অনলাইনের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। তাজুল ইসলাম মেয়রকে বলেন, আপনাকে সাথে নিয়ে আমরা একটি সুন্দর ঢাকা গড়ে তুলবো।

২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৯৬১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা ধরা হয়েছে। রাজস্ব আয় ছাড়া অন্য আয় ১২ কোটি টাকা এবং সরকারি অনুদান ১৫০ কোটি টাকা এবং সরকারি ও বিদেশি সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প হতে তিন হাজার ১০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বাজেটে মোট রাজস্ব ব্যয় ৬১৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম খাতে ৭০ কোটি টাকা, নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে ১০০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
মেয়র বলেন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে জরুরি নাগরিক সেবা যেমন মশক নিধন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাবদ ব্যয় করতে হচ্ছে। আবার এ ১৮টি ওয়ার্ড থেকে ডিএনসিসির আয় একেবারে শূণ্য। এই ১৮টি ওয়ার্ডে অবস্থিত বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করার বিষয়ে আমরা ভাবছি। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে অন্য ব্যয় ১৩ কোটি টাকা এবং মোট উন্নয়ন বাজেট বাবদ ব্যয় তিন হাজার ৬৬০ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে নিজস্ব উৎস ও সরকারি অনুদান থেকে ৫৯৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা সরকারি বিশেষ অনুদান ৫০ কোটি টাকা, এবং সরকারি ও বিদেশি সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প’ বাস্তবায়ন বাবদ তিন হাজার ১০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

মেয়র গত বছরের বাজেট সংশোধন করা হয়েছে জানিয়ে বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল এক হাজার ১০৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। তবে সংশোধিত বাজেটে তা ৬৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মেয়র বলেন, মূলত হোল্ডিং ট্যাক্স, বাজার সালামি, ট্রেড লাইসেন্স ফি, সম্পত্তি হস্তান্তর করার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আদায় না হওয়ায় মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
সভায় মেয়র আতিকুল ইসলাম হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের ওপর জোর দেয়ার জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের প্রতি আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে এক হাজার গাছ লাগাতে হবে।

সভায় অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া এবং অন্য বিভাগীয় প্রধান উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement