১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনাভাইরাসে মৃতদের দাফনে ফোকাল পয়েন্ট ও বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট নিয়োগ

করোনাভাইরাসে মৃতদের দাফনে ফোকাল পয়েন্ট ও বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট নিয়োগ - ছবি : সংগৃহীত

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের দাফন কার্য সম্পাদনের জন্য ফোকাল পয়েন্ট ও বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। সরকারের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। এদের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) মো. সাইফুল্লাহিল আজমকে ফোকাল পয়েন্ট ও আরেক যুগ্ম সচিব (বাজেট) ড. মো. এনামুল হককে বিকল্প কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

শনিবার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারি সচিব মো. শাহাদত হোসেন কবির স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য যে, করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে মোট ৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৫ জন। সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ জন। করোনাভাইরাসে মারা যাওয়াদের পরিষ্কার করা বা ধোঁয়া যাবেন না এমনকি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ছাড়া স্পর্শও করা যাবে না। এই অবস্থায় বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের দাফন নিয়ে এক ধরনের ভীতি তৈরি হয়েছে। কোনো কোনো কবরস্থানে তো দাফন না করার জন্য ব্যানারও টানিয়ে দেয়া হয়েছে।

এমন অবস্থায় করোনা আক্রান্তে মৃতদের দাফনে ফোকাল পয়েন্ট ও বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট নিযুক্ত করলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
করোনায় মৃতদের দাফনের নির্দেশনা

শুধু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা যাবে না তাই-ই নয়। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির শরীর থেকেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। তাই এই রোগে মৃত ব্যক্তিকে পরিষ্কার করা বা গোসল করানো যাবে না। নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ছাড়া ছোঁয়াও যাবে না। করোনা রোগে মৃত ব্যক্তির দাফন বা সৎকারসংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনায় এমন সতর্কতার কথা বলা আছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রটোকল অনুযায়ী নির্দেশনাটি তৈরি করা হয়েছে।

লাশ থেকে অতিরিক্ত ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে নির্দেশনাটি তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে এতে হাসপাতাল বা বাড়ি থেকে লাশ সংগ্রহ, পরিবহন, দাফনসহ প্রতিটি পর্যায়ের বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনায় আক্রান্ত হয়ে বা সন্দেহভাজন কেউ মারা গেলে লাশ সরানো, সৎকার বা দাফন শুরুর আগে অবশ্যই সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (আইইডিসিআর) জানাতে হবে। প্রতিষ্ঠানটির নির্দেশনা অনুযায়ী, চার সদস্যের একটি দল সম্পূর্ণ সুরক্ষা পোশাক পরে লাশ সৎকার বা দাফনের জন্য প্রস্তুত করবে। মৃত্যুর স্থানেই লাশ প্লাস্টিকের কাভার দিয়ে মুড়িয়ে রাখতে হবে। দলের নেতা মৃত ব্যক্তির পরিবারের সাথে আলোচনা করে তাদের নির্দিষ্ট কোনো অনুরোধ থাকলে তা জেনে নেবেন। কোথায় কবর দেয়া হবে, সেটিও ঠিক করে রাখতে হবে।

ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে লাশ গোসল করানো যাবে না উল্লেখ করে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরিবারের অনুরোধ থাকলে লাশ গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম বা পানি ছাড়া অজু করানো যাবে। আর পরিবারের পক্ষ থেকে কাফনের কাপড়ের জন্য অনুরোধ থাকলে সেলাইবিহীন সাদা সুতির কাপড় কাফনের কাপড় হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কাফনের কাপড় প্লাস্টিকের ব্যাগে রেখে তার ওপর লাশ রাখতে হবে এবং দ্রুত ব্যাগের জিপার বন্ধ করতে হবে। ব্যাগে কাফনের কাপড় দেয়ার সময় যারা লাশ উঁচু করে ধরবেন, তাদের অবশ্যই সুরক্ষা পোশাক পরে থাকতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement