১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ডিএমপির ওয়ারী জোনের ডিসি ইব্রাহিম বরখাস্ত

মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান
মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান - ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারী জোনের ডিসি মোহাম্মদ ইব্রাহিম খানকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই অব্যাহতি দেয়া হয়। গত ২৫ আগস্ট এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি পুলিশ অধিদফতরে সংযুক্ত থাকবেন এবং প্রচলিত বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।

অভিযোগ রয়েছে, ইব্রাহিম লালবাগ জোনে থাকাকালীন একটি ভূমিদস্যুচক্রকে এক শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বাড়ি দখলে সহায়তা করেন। বংশাল থানার ২২১ নবাবপুর রোডের জমিটির লিজমূলে মালিক ছিলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী এ টি এম শামসুল হকের পরিবার। শামসুল হক ১৯৭১ সালে শহীদ হন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার পরিবারের নামে ওই বাড়িটি বরাদ্দ দেন। সেখানে চার কাঠা সম্পত্তির ওপরে একটি তিনতলা মার্কেট ছিল। বাড়িটি প্রথমে লিজ দেয়া হয়েছিল শামসুল হকের স্ত্রীর নামে।

তিনি মারা যাওয়ার পর তার ছেলে আজহারুল হকের নামে লিজ নবায়ন করা হয়। ওই সম্পত্তিতে মাসুদা করপোরেশন নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। যা আজহারুল হকের ছেলে শামসুল হাসান খান পরিচালনা করতেন। ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এই সম্পত্তিতে হানা দেয় স্থানীয় ভূমিদস্যু আবেদ-জাবেদ। তারা দুই ভাই পুরান ঢাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু বলে অভিযোগ রয়েছে। আবেদ-জাবেদ ওই হোল্ডিংয়ের আশপাশের অন্যান্য জমিগুলোও দখল করে নিয়েছেন। জানা যায়, তাদের দখলে ২২০, ২২২, ২২৩ ও ২২৪ হোল্ডিংও রয়েছে। যার মধ্যে ২২০ নম্বর হোল্ডিংয়ে বহুতল ভবন করে তা ভাড়া দিয়েছেন তারা। গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর শহীদ পরিবারের ওই সম্পত্তির ওপর থাকা তিন তলা ভবনটি মাটির সাথে গুঁড়িয়ে দেন আবেদ-জাবেদ। এ সময় ওই ভবনে পাঁচ কোটি টাকার মালামাল ছিল। যার সব লুট করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন শামসুল হাসান খান। তিনি বলেন, ওই রাতে তারা পুলিশের কাছে অনেক সহায়তা চেয়েছেন। কিন্তু পুলিশ তাদের কোনো সহায়তা করেননি। পরে তারা আদালতের দ্বারস্থ হলে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা জারির পরেও আবেদ-জাবেদ সেখানে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এমনকি তারা বেজমেন্ট তৈরি করে ফেলেন। এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ করা হলে পুলিশ কমিশনার স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন কমিশনারকে জানায়, কাজ বন্ধ রয়েছে। পরে পুলিশ কমিশনার একটি বিশেষ টিম পাঠিয়ে দেখতে পান ভবন নির্মাণের কাজ ঠিক চলছে।

জানা গেছে, ওই ঘটনার পরই ডিসি ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয় বলে একটি সূত্র জানায়। স্থানীয় সূত্র জানায়, আবেদ-জাবেদ সরকারি সম্পত্তি দখল করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। অন্যান্য সম্পত্তি দখল করতেও তারা প্রশাসনের সহায়তা নেন। এলাকায় তারা দুই ভাই ভূমিদস্যু হিসেবে চিহ্নিত।


আরো সংবাদ



premium cement
প্রশাসন ও আদালতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার : গণঅধিকার পরিষদ দুই কুলই হারালেন ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম একদিন পর জবিতে উদযাপন হবে নববর্ষ, বন্ধ থাকবে ক্লাস-পরীক্ষা ইসরাইলে হামলার পর ইরানের পরমাণু স্থাপনা ‘সাময়িক’ বন্ধ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাবে! স্ত্রীর বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে সাবেক স্বামীর মামলা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় গবেষণা আরো বাড়ানো হবে : কৃষিমন্ত্রী রেকর্ড ৪০.৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা জামালপুরে ইজিবাইকের ধাক্কায় শিশু নিহত সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর নববর্ষের অনুষ্ঠান, যা বলল ডিএমপি আড়াইহাজারে ব্যাটারি কারখানায় আগুন

সকল