২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

মন ছুটে যায় শৈশবে

-

আনন্দময় এক জীবনের নাম শৈশব। শৈশবের খেলাধুলা, দুষ্টামি, দুরন্তপনা সবার মনে গেঁথে থাকে আজীবন। শৈশব মানেই জীবনের রোদ ঝলমলে এক আলোকোজ্জ্বল সকাল। যে সকালে সূর্যি মামা পুব আকাশে উঠে মুচকি হেসে, সারা দিন দুরন্তপনার আর খেলাধুলার পর ম্লান হয়ে যায়। আবার রাতে চাঁদের জোছনা বিলানোর মতো শৈশব মেতে উঠে লুকোচুরি, কানামাছির মতো হরেক রকম মজার খেলাধুলায়।
জীবনের এই সেরা ক্ষণে থাকে না কোনো পড়ালেখার চাপাচাপি, থাকে না ধরাবাঁধা কোনো নিয়মের আড়ষ্টতা, থাকে না বিধি-নিষেধের কোনো বেড়াজাল। সারা দিন ইচ্ছেমতো ছোটাছুটি আর সারা পুকুর দাপিয়ে বেড়ানোর এই শৈশবের স্মৃতিগুলো মনে আসতেই কেমন যেন হারিয়ে যাই এক চরম মুগ্ধতার স্নিগ্ধ জোছনার দেশে। মন পুলকিত হয়ে উঠে আর বলে, ইশ! যদি ফিরে যেতে পারতাম সেই শৈশবে!
বয়স বাড়ার সাথে সাথে নিয়ম আর বিধি-নিষেধের বেড়াজালে আটকা পড়ে আমাদের জীবন। নিয়ম করে ভোরে ঘুম থেকে ওঠা, স্কুলে যাওয়া, স্কুল থেকে আসা, সন্ধ্যার আঁধার ঘনিয়ে এলে পড়তে বসা, এরপর ঘুমানো। ব্যস, এই হলো শৈশবের একটু পরে আমাদের স্কুল জীবনের চিত্র। এই স্কুল জীবনের সবচেয়ে মজার সময় হলো দশম শ্রেণী পর্যন্ত দিনগুলো। এই সময়গুলোতে পড়ালেখার অনেক চাপ থাকলেও ক্লাসে প্রতিদিন উপস্থিত হওয়াতেই যেন আনন্দ। কারণ বন্ধুদের সাথে ক্লাস করা, টিফিনে একসাথে নাশতা করা, ছুটির দিনে একসাথে ঘুরতে যাওয়া, ক্রিকেট-ফুটবল খেলার ম্যাচ ধরার অপূর্ব সুযোগ এর পরে আর পাওয়া যায় না। এসএসসি পরীক্ষার পর যে যার পছন্দমতো কলেজে ভর্তি হয়ে যায়। পড়ালেখার চাপ বাড়ার সাথে সাথে পরিবারের হাল ধরার চাপটা যেন ক্রমাগত কাঁধে চেপে বসে।
শৈশবের সেই স্মৃতিগুলো যেন বারবার হাতছানি দিয়ে ডাকে। ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই মধুময় শৈশবে। আকাশে মেঘের গুড়ুম গুড়ুম শব্দ শুনে আনন্দে নেচে ওঠা মনটা বৃষ্টির ফোঁটা টুপটাপ পড়তেই উঠোনে এসে যেত, ঝিরঝির শব্দে বৃষ্টিতে ভেজার সে কী আনন্দোৎসব! শীতের শিশির ঝরা সকালে ঘাসের ওপর হেঁটে বেড়ানো, শুকনো পাতা কুড়িয়ে আগুন ধরিয়ে চার পাশে গোল হয়ে বসে আগুন পোহানো, গ্রীষ্মের দুপুরে পুকুর পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ার সেই দিনগুলোর কথা আজ বড্ড বেশি মনে পড়ে। মন ছুঁটে যায় সেই স্মৃতিময় শৈশবের আঙিনায়। আবারো মেতে উঠতে চায় দুরন্তপনায়। স্মৃতির ক্যানভাসে আঁকতে চায় রঙ মাখানো শৈশবের সেই দিনগুলো।


আরো সংবাদ



premium cement
ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে প্রথম হয়েছেন যারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিজ দেশে ৫ বছর পর ফিরল দিপক চট্টগ্রামে ৬ কিশোর গ্যাংয়ের ৩৩ সদস্য আটক শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য সংগঠন মজবুত করতে হবে : শামসুল ইসলাম ইউরো ২০২৪’কে সামনে রেখে দল নির্বাচনে বিপাকে সাউথগেট ভারতীয় পণ্য বর্জনকে যে কারণে ন্যায়সঙ্গত বললেন রিজভী মাকে ভরণ-পোষণ না দেয়ায় শিক্ষক ছেলে গ্রেফতার প্রথম বাংলাদেশী আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত ঢাবির সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিরাপত্তা-বিষয়ক আলোচনা করতে উত্তর কোরিয়ায় রুশ গোয়েন্দা প্রধান

সকল