১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শিউলি

শিউলি -

ধবধবে সাদা। গায়ে নেই কাদা। রাতে ফোটে ফুল। দিনে যায় ঝরে। সুগন্ধ ছড়ায় সারা বাড়ি ভরে। এমন এক সুগন্ধী ফুলের নাম শিউলি। শিউলি দিনের আলো দেখতে পায় না। কারণ এই ফুল সন্ধ্যায় ফোটে আর ভোরে সূর্য উঠার আগেই ঝরে পড়ে। ঝরা শিউলির ওপর শিশির পড়ে শিউলির রূপকে আরো অপরূপ করে তোলে। শরৎকালে ফোটে এই ফুল। ছয়-সাত পাপড়ির এই ধবধবে সাদা ফুলটির নিচে কমলা রঙের একটি টিউবের মতো থাকে। ফুলটি দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। হাতে নিয়ে নাকে ফুলের সুবাস নিতে মন চায়। এমনই মনলোভা ফুল শিউলি।
আমাদের এই বাংলাদেশে একেক ঋতুতে একেক রকমের ফুল ফোটে। এই ফুলগুলো দেখতে যেমন অপরূপ লাগে ঠিক তেমনি আমাদের মনটাকেও আনন্দে ভরিয়ে তোলে। এই যেমন বর্ষায় কদমফুল। শরতে কাশফুল, শিউলি, কামিনি। এ ছাড়াও কিছু ফুল আছে যেগুলো সারা বছরই ফোটে যেমন গোলাপ, জবা, বেলি, গন্ধরাজ ইত্যাদি। ফুল পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। ফুলের একটি অনন্য প্রভাব আছে আমাদের মনের ওপর। কারণ যখনই আমরা কোনো ফুল দেখি তখন মনটা আনন্দে উৎফুল্লø হয়ে ওঠে। ফুলকে আমরা হাত দিয়ে স্পর্শ করে এক অন্যরকম আনন্দানুভব করি। আমরা যখন বিষণœ থাকি তখন ফুলের অনিন্দ্য সৌন্দর্য আমাদের সেই বিষণœতাকে দূর করে দেয়। মনে ছড়িয়ে দেয় আনন্দানুভূতি।
শিউলির রূপ-বৈশিষ্ট্য আমার মনে কিছু ধারণার অবতারণা করে। যেমন শিউলির ধবধবে সাদা রঙের মতো আমাদের মনটাও সাদা হওয়া দরকার। শিউলি যেমন রাতে ফোটে সূর্য উঠার আগে ঝরে যায়, তেমনি মানুষের ওপর আমাদের সব রাগাভিমানও ঝরে যাওয়া উচিত। শিউলি যেমন সুবাস ছড়িয়ে মানুষের মনে আনন্দানুভূতি সৃষ্টি করে, তেমনি আমরাও ভালো কাজের মাধ্যমে সমাজে সুবাস ছড়াতে পারি। শিউলির রূপ দেখে মানুষ যেমন মুগ্ধ হই, হাতে নিয়ে নাকে সুবাস নিতে চাই, তেমনি আমরাও এমন মানুষ হওয়ার চেষ্টা করা দরকার যাতে মানুষ আমাদের দেখলে খুশি হয়ে কাছে টেনে নিতে চায়। সবাইকে শিশির ভেজা শিউলির শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখার ইতি টানছি।


আরো সংবাদ



premium cement