২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মাসাল পার্কে কিছুক্ষণ

মাসাল পার্কে কিছুক্ষণ -

ট্রামে করে এখানে সেখানে কোথাও যাওয়ার পথে মাসাল পার্ক বলে একটা স্টেশনের দেখা পাই। এমিউজমেন্ট পার্ক নয়- আবার ছিমছাম সবুজ সহজ সরল কোনো পার্কও নয়। পার্কটা পাড়ি দিতে দিতে দেখা যায় ভেতরে ক্যাসেল বা বাংলায় বললে রঙিন দুর্গের ছোটখাটো ডেমো তৈরি করা আছে। ঈদ উপলক্ষে তুরস্কে চারদিন সরকারি সব ট্রাম আর বাস ফ্রিতে জনসাধারণের জন্য খোলা থাকে। তাই ঈদের পরের দিন সকালবেলায় ঢুঁ মেরে এসেছিলাম মাসাল পার্ক থেকে।
যেহেতু ছুটির দিনের সকাল, তারপর আবার আমাদের মতো অত হুলস্থূল রকমের গিজগিজে মানুষ এখানে নেই, তাই অত্র পার্ক রীতিমতো সুনসান নীরব ছিল। একটু পড়তে গুগোলে গিয়েছিলাম; কিন্তু দেখি যে সব তথ্য আর তুর্কি ভাষায় লেখা। তাইলে বলতে পারলাম না এর সঠিক আয়তন কত। তবে আন্দাজ করে বলতে পারি আমাদের রমনা পার্কের চেয়ে খুব সম্ভবত অল্প ছোট এলাকাজুড়ে পার্কটি রয়েছে। টিকিট নেই। আর ঢোকার পথেই সারি সারি সাইকেল। পাঁচ লিরায় এক ঘণ্টা চালানো যাবে।
ভেতরটা একদম খোলামেলা ঝলমলে। যেহেতু সামার, টাক্কুবেল সব গাছে রঙবেরঙের পাতা আর ফুল ধরে রয়েছে। এ ধরনের গাছ স্বাভাবিকভাবেই আমার আগে কখনোই দেখা হয়নি। পাত-ফুল, সব অন্যরকম। মন ভালো হয়ে যায়। বাসার কাছে হলে হয়তো বই নিয়ে এসে বসে বসে পড়তাম ঘণ্টার ঘণ্টা। গাছগুলো সব লাগিয়েছে একটা প্যাটার্ন মেনে। এলোমেলো কোনো ঘটনা সেখানে নেই। বোঝাই যায় নিয়মিত খাতির যত্ন করা হয় পার্কটির।
ঘাসফুলে সয়লাব ছিল মাটি। হলুদ-সাদা- হালকা ধূসর ফুল। হলুদ ফুলগুলো দেখে ছোটবেলায় কড়া জংলি ঘ্রাণওয়ালা ছোট্ট হলুদ ফুলগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। ওই ফুলগুলো হতো আমাদের রান্নাবান্না খেলার ডিম! ছবি তুললাম কিছু। একটু বসলাম ঘাসে। সাথে কাছের বন্ধুদের কেউ থাকলে হয়তো এক বসায় অনেকটা সময় গাল-করতাম! হালকা মিষ্টি ধরনের একটা রোদ থাকায় আরো ফ্রেশ লাগছিল সব।
একটু হেঁটে ছোট ডেমো দুর্গের কাছে গেলাম। এগুলো মূলত শিশুদের খেলার জন্য বানানো। খুব কিউট! ওদের ইতিহাসের সাথে দুর্গ অনেক সম্পর্কিত। এ কারণেই হয়তো প্রায়ই দুর্গের মতো স্থাপনা চোখে পড়ে।
এই তো!
তেমন কোনো এক্টিভিটি ছিল না। তবুও ইচ্ছে করল অল্প শব্দে অনুভূতিগুলো একটু বুনে রাখি!
গাজিয়ান্তেপ, তুরস্ক

 


আরো সংবাদ



premium cement