২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

একটি সূর্যের অপেক্ষায়

-

সূর্য অস্ত যাওয়ার পর থেকে একটি সূর্যের অপেক্ষায় পুরো পৃথিবী। সবই স্রষ্টার এক অনন্য সৃষ্টি। একটি সূর্যের অপেক্ষায় থাকে, সাগর -নদী ঊর্মিমালা, পশু-পাখি, গাছপালা তরুলতা, শিশু-কিশোর, জওয়ান-বুড়ো, অসুস্থতায় কাতর হয়ে বিছানায় শুয়ে থাকা সেও।
একটি সূর্য উদয়ের সাথে সাথে শিশিরে ভেজা দুর্বাঘাস দুলতে থাকে হাওয়ার তালে। কান পেতে শুনা যায় পাখিদের কলরব। প্রভাত লগ্নে হৃদয় ছুঁয়ে যায় মিনার থেকে ধেয়ে আসা আজানের ধ্বনি। গাঁওগেরামে মোরগের বাক। সাগর-নদী সেও সোনালি আলোয় ঢেউ তুলে জানান দেয় অস্তিত্ব। শিশু-কিশোর কায়দা হাতে মক্তবে যাওয়ার মাধ্যমে বরণ করে নেয় নিত্যদিনের সূর্য। লাঙ্গল কাঁধে ব্যস্ত কৃষক প্রভাত বেলায়। জীবিকা নির্বাহে ছুটে যায় যুবক। সূর্য ছাড়া পৃথিবীটাই বিকল।
সূর্যের গুরুত্ব তখন আরো বেড়ে যায়। যখন রাত পোহালেই অপেক্ষায় থাকে কোনো উৎসবমুখর আয়োজন। প্রহর গুনে স্বপ্ন পূরণের নতুন দিগন্তে পা রাখার জন্য। অপেক্ষাকৃত সময় বেড়ে যায়, দেহে ছটফট অনুভব হয়।
শুধু একটি সূর্যের অপেক্ষায়।
শীতকালীন শীতার্ত মানুষের কাছে রাতের গভীরতা বেড়ে যায়। বেড়ে যায় রাতে কুয়াশাচ্ছন্ন আঁধার আলো।
অপেক্ষায় থাকে শুধু একটি সূর্যের।
প্রকৃতিতে যেমন একটি সূর্য চাই। সূর্য ব্যতীত দিনমান হয় না।
জীবনের গতিপথেও একটি সূর্য চাই। চাই একটি সূর্য উঠুক। আলোটা সবাই চাই। আলো ছাড়া মনে হয় নিঃসঙ্গ এক পৃথিবী। চারদিকে শুধু আলো চাই। শুধু আলো আর আলো। শুধু আলোর মিছিল।
অথচ যার কৃতিত্ব এই সমগ্র পৃথিবীকূল। যার আলোয় আলোকিত হয়। যার দয়ায় বেঁচে আছি বেশ। তারই প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুল যাই। ভুলে যাই স্রষ্টার সৃষ্টির মর্যাদা বীরোচিত জানান দিতে। নিয়মে বাঁধা রাত পোহালে সূর্য উদয় হয়, কিরণ ছড়ায় ধরাতে। কখনো স্বপ্ন ভঙ্গ হয়, আবার স্বপ্ন পূরণ হলে আনন্দিত হয়। চারপাশে দেখতে পাই আলো। আলোয় আলোকিত হলে সুখের চাকায় গত হয় দিনের পর দিন। কে দিয়েছে আলো! ভুলে যাই শুধাতে তার ঋণ।

 


আরো সংবাদ



premium cement