২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

করোনাকালের শ্রাবণ মাস

-

শ্রাবণ মাস চলছে। এই সময়কে ‘করোনাকালের শ্রাবণ’ বলা যেতে পারে। বৃষ্টিরা টিপটিপ করে উল্লাস শুরু করেছে। বৃষ্টির এই উল্লাসের সাথে যদি করোনাভাইরাস ধুয়ে যেত তবে কতই না সুখের হতো! বৃষ্টিপ্রেমীদের কাছে তবেই শ্রাবণ মাস উপভোগ্য হতো। করোনাকালে মানুষ ঘরে বসে জানালা দিয়েই এবারের শ্রাবণের বৃষ্টি উপভোগ করছে। মন চাইলেই বৃষ্টিপ্রেমীরা ছুটে গিয়ে বৃষ্টি ছুঁয়ে দেখতে পারছেন না। কারণ জীবনযাপন কিছুটা ধরাবাঁধা ছকে আঁটকে গেছে।
অথচ আষাঢ়-শ্রাবণ মাস এলেই মনে বেজে ওঠে কবিগুরুর সেই কবিতা ‘নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে
ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।
বাদলের ধারা ঝরে ঝরঝর,
আউশের খেত জলে ভরভর,
কালি-মাখা মেঘে ও পারে আঁধার ঘনিয়েছে দেখ্ চাহিরে।
ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে’।
শ্রাবণ মাসের মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশে ভুনা খিচুড়ি খাওয়ার ধুম বেশ জমে ওঠে। শ্রাবণ মাসে আমাদের প্রকৃতি খুব ঝরঝরে হয়ে ওঠে। গাছ গাছালিতে প্রচুর নব পল্লব সেজে উঠতে দেখা যায়। মৎস্য শিকারিরা হাঁটু পানিতে মাছ শিকারের নেশায় ছুটে যায়। শ্রাবণ মাস ঝড়ের মাস না হলেও মাঝে মাঝে দমকা হাওয়াসহ ঝড়ো বাতাস বয়ে যায়। আকাশে গুড়ুম গুড়ুম করা এ মাসের স্বভাব। নদী-নালা, পুকুর-ডোবা, খাল-বিল এই মাসে পানিতে ভরে ওঠে। কিছু কিছু স্থানে বন্যা হয়। আষাঢ়-শ্রাবণে গাছ লাগানোর জন্য সব চেয়ে উৎকৃষ্ট সময়। সবার উচিত গাছে গাছে অপরূপ করে সাজিয়ে দেয়া এই বৃষ্টির মেলায়। কাজে লাগিয়ে নিই ঋতুর এই বিচিত্রতাকে! এই শ্রাবণে বৃষ্টির স্রোতে ভেসে যাক করোনাভাইরাস। কেটে গিয়ে ফিরে আসুক আগের প্রাণবন্ত শ্রাবণ সেই আশায় আছি।
ছাগলনাইয়া, ফেনী


আরো সংবাদ



premium cement