বাঁশ-বেতের ফার্নিচার তৈরি করেন সিরাজ
- ইসমাইল মাহমুদ
- ০৮ মার্চ ২০২০, ০০:০০
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার একটি বর্ধিত জনপদ শমসেরনগর। এ জনপদের বড়চেগ গ্রামের মো: আমির হোসেন সিরাজ এক আত্মপ্রত্যয়ী যুবক। তিনি বাঁশ-বেত দিয়ে তৈরি পণ্যসামগ্রী দিয়ে একটি কুটির শিল্প গড়ে তুলেছেন। যা দেশ-বিদেশে আলোড়ন তুলেছে। তার উৎপাদিত এসব পণ্য সামগ্রীর চাহিদা এখন দেশে-বিদেশের সর্বত্র।
পাহাড়ি টিলা ও অঞ্চলবেষ্টিত বাঁশ-বেত শিল্পের এক অপার সম্ভাবনাময় স্থান কমলগঞ্জ। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া গেলে এ উপজেলায় বাঁশ ও বেত শিল্পের বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হতো। বেকারত্ব দূরীকরণেও যথেষ্ট ভূমিকা পালন করা যেত। শমসেরনগর বাজার থেকে শ্রীমঙ্গল সড়কের বড়চেগ গ্রাম্যবাজারে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সিরাজ কুটির শিল্প।
আমির হোসেন সিরাজ জানান, ব্যতিক্রমী কিছু শেখা বা তৈরির আগ্রহ নিয়েই মূলত তিনি বাঁশের তৈরি কুটির শিল্প গড়ে তোলেন। তিনি গ্রামের নিজ বাড়িতে এর কার্যক্রম শুরু করেন ১৯৯৮ সাল থেকে। শুরুতে তিনি একজন শ্রমিকের সাহায্যে বাঁশ, বেত দিয়ে পণ্য উৎপাদন শুরু করেন। তার উৎপাদিত পণ্য বাড়িতে বসেই বিক্রি করতেন। পরে তিনি শ্রীমঙ্গল-শমসেরনগর সড়কের বড়চেগ এলাকায় দোকান খোলেন। বর্তমানে তার শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২০ জন শ্রমিক কর্মরত। তার প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে বাঁশের তৈরি আধুনিক ডিজাইনের খাট, সোফাসেট, রিডিং টেবিল, আলনা, ড্রেসিং টেবিল, ডাইনিং টেবিল, চেয়ার, ফুলের টব, টেবিল ল্যাম্প, পেন স্ট্যান্ড, হোটেল-রেস্টুরেন্ট-অফিসের ফার্নিচারসহ বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র।
আমির হোসেন সিরাজ বলেন, ‘কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ ছাড়াই নিজ আগ্রহে বাঁশ দিয়ে ফার্নিচার তৈরির কাজ শুরু করেছি। এসব ফার্নিচার তৈরি করতে যথেষ্ট পুঁজিরও প্রয়োজন রয়েছে। বাঁশ, বেত, মেডিসিন কিনতে হয়। তাছাড়া ঘরভাড়া, কারেন্ট বিলসহ আনুষঙ্গিক খরচ তো আছেই। স্বল্প পুঁজি নিয়ে শিল্প টিকিয়ে রাখা খুবই কঠিন।’
১৯৯৮ সালে আমির হোসেন সিরাজ ২০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে এই শিল্পের গোড়াপত্তন করেন। পরে ৬০ হাজার টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়ে নবযাত্রা শুরু করেন প্রতিষ্ঠানের। তিনি মনে করেন, এই শিল্পের মধ্য দিয়ে এলাকার বেকারত্ব দূরীকরণ ও আর্থিকভাবে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তাছাড়া ২০ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা এবং মাসিক তাদের প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা মজুরি দেয়া হয়। ঘরভাড়া, কারেন্ট বিল ও সব ধরনের খরচাদি দেয়ার পর আমির হোসেন সিরাজ যৎ সামান্য আয় করে সংসার টিকিয়ে রেখেছেন।
নিজের একাগ্রতা, শ্রম, কর্মনিষ্ঠা ও মেধার প্রতিফলন দিয়ে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। বাবা নেই, মা, তিন ভাই ও এক বোনের শিক্ষা, চিকিৎসা, ভরণপোষণসহ সব বিষয়াদি তিনি নিজেই চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকরা বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ঋণ সুবিধা পাওয়া গেলে এবং বাঁশ, বেত শিল্পের এভাবে আরো কুটির শিল্প গড়ে উঠলে এলাকার বেকারত্ব দূর করা সম্ভব। হ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা