২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

স্বপ্নঘেরা শরতে

-

আবেগি মন আজ আর কিছুই মানতে চায় না। কারণ অনেক কিছু সয়ে সয়ে আজ নিথর সে। এই মন আজ লুকাতে চায় কোথাও! বাতাসের তালে তালে দুলে ওঠা কাশফুলের মতো দুলতে চায়। শরতের আলো-ছায়ারা আজ এই মনকে ঘিরে ধরে। শরতের হাওয়ারা কোনো এক আবেশি সুর এই মনে বাজিয়ে দিয়ে যায়!
দিন চলে যাচ্ছে। মাসও চলে যাচ্ছে। বছর সে তো চলেই যায় চোখের পলকে। এভাবে জীবনও চলে যাচ্ছে। এক সময় সমাপ্তি হবে এ জীবনের। শরতের ওই নীল দিগন্তে তাকিয়ে নতুন করে আবার স্বপ্ন বোনা শুরু করেছি। ঋতুর রানী আজ নতুন করে শিহরণ জাগাচ্ছে। নতুন করে ভাবাচ্ছে!
স্বপ্ন। মুঠো মুঠো স্বপ্ন। রাশি রাশি স্বপ্ন। লাল-নীল স্বপ্ন। কত রঙের স্বপ্ন। দিনমজুর থেকে সেই রাজপ্রাসাদের রানীসহ সবাই স্বপ্ন দেখেন। পূরণ হয় কয়জনার? কত প্রাণ শেষ হয়ে যায় বুকে স্বপ্নের দীর্ঘশ্বাস নিয়ে। কত জীবনের সমাপ্তি হয়ে যায় বুকজুড়ে হাহাকার নিয়ে। তাই আজ নিজেকেও সান্ত্বনা দিয়ে দিলাম। নতুন করে স্বপ্ন বুনতে হবে।
এমন এক শরতের রাতে আমার স্বপ্ন ভেঙেছিল। সে রাতেও আকাশে চাঁদ ছিল। কাশবনে ঝিরি ঝিরি বাতাসে কাশফুল দুলছিল। আবার নিলার বাড়ির আঙিনায় জোনাক বাতি ঝিকিমিকি আলো দিচ্ছিল। আমি আনমনে তার হলুদের অনুষ্ঠানের সাক্ষী ছিলাম। অথচ এ নিলাই শরতের আরেক রাতে আজীবন পাশে থাকবে বলে ওয়াদা করেছিল। সময়ের স্রোতে সে ওয়াদা আজ মিছে হয়ে গেছে। নিলা আজ পর হয়ে অনেক দূরে চলে গেছে।
আমি এখন শরতের আলো-ছায়ার সাথে নীরবে কথা বলি। তারা আমাকে নিত্য বলে ওঠে, ‘নিলার কথা ভেবে দুঃখ করে লাভ নেই!’ শরতের আলো-ছায়ারা আমাকে প্রতিনিয়ত নতুন করে স্বপ্ন বোনার তাগিদ দেয়! শরতের নীল দিগন্ত, শরতের আলো-ছায়া, শরতের ঝিরিঝিরি হাওয়া, শরতের কাশফুল সব কিছু আমাকে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে বাধ্য করেছে।
ছাগলনাইয়া, ফেনী


আরো সংবাদ



premium cement