১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাংলাদেশের দু’টি নতুন পাখি

-

প্রকৃতিতে পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তবে এর মধ্যে নতুন কিছু পাখির খবর পাওয়া যাচ্ছে। যা সত্যিই আশাব্যঞ্জক। ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায় এক হাজার ২০০টি ও মতো প্রজাতির পাখি আছে। বিশ্বে পাখির প্রজাতির সংখ্যা ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৭০০ প্রজাতির পাখি ধরা পড়েছে। তবে এর মধ্যে অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আগে দেখলেও এখন আর দেখা যায় না।
পাখিটির ইংরেজি নাম ইৎড়হি-পধঢ়ঢ়বফ ঢ়ুমসু ডড়ড়ফঢ়বপশবৎ। একে ইন্ডিয়ান পিইম উডপেকারও বলা হয়। পাখিটির স্বাতন্ত্র্যসূচক গোলাপি রাঙা চোখ। চোখের তারাটা সাদা। শরীরের রঙ ডোরাকাটা হলুদ ও সাদা। সাদা স্পট রয়েছে লেজে।। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের নাম দিয়েছে খয়রাটুপি বাটকুড়ালি। আলোকচিত্রী হাসনাত রনীর ক্যামেরায় পাখিটি প্রথম ধরা পড়েছে। রাজশাহী থেকে তিনি পাখিটির ছবি তুলেছেন। পাখি বিষেষজ্ঞ ইনাম আল হক বলেন, আমাদের দেশে মেটেটুপি বাটকুড়ালি আছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটের কোথাও কোথাও এই পাখি দেখা যায়। তবে খয়রাটুপি বাটকুড়ালি এর আগে বাংলাদেশে কেউ দেখেনি। এটি একটি নতুন বাটকুড়ালি প্রজাতির পাখি। এর মাথার ওপরে ও পেছনে খয়েরি রঙ রয়েছে। পাখিটির দৈর্ঘ্য ১৪ সেন্টিমিটার। শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভারতে এই পাখি প্রচুর দেখা যায়।
খয়রাগাল শালিক। এটিও নতুন পাখি। গত ৪ মার্চ আলী কাউসার ডেনি নামে একজন পাখিটিকে খুঁজে পান। তার ক্যামেরায় পাখিটির ছবি তোলেন। নতুন আবিষ্কার হওয়া পাখিটি দেশের ৭০০তম পাখি। এর আগে জানুয়ারি মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডযরঃব ঃধরষবফ ষধঢ়রিহম নামে নতুন আরেকটি পাখি ধরা পড়ে। সে পাখিটির ছবি তুলেছিলেন ফটোগ্রাফার শাহানুর করীম। সেটি ছিল ৬৯৯তম পাখি। শালিক মূলত জাপানের আবাসিক পাখি। হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. সুভাষচন্দ্র দেব বলেন, খয়রাগাল শালিক ঝঃঁৎহরফধব পরিবারের সদস্য। বৈজ্ঞানিক নাম অমৎড়ঢ়ংধৎ ঢ়যরষরঢ়ঢ়রহবহংরং। জাপান, তাইওয়ান, রাশিয়ায় এদের দেখা যায়। এই পাখির গড় ওজন ৩৮ গ্রাম। গড় দৈর্ঘ্য ১৯২ মিলিমিটার। স্ত্রী পাখির ওজন একটু কম হয়। স্ত্রী পাখির রঙ বাদামি হয়। পুরুষ পাখির মাথা সাদা ও এবং গালে গাঢ় খয়েরি বাদামি ছোপ আছে। দেহের দু’পাশে ধূসর বর্ণ। লেজ হালকা বাদামি। গাছের গর্তে এরা বসবাস করে। লতা, পাতা ঘাস দিয়ে বাসা তৈরি করে। গাছের ফল ও পোকামাকড় এদের খাবার। প্রজনন মওসুম মে জুন।


আরো সংবাদ



premium cement