২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

শীতে শিশুর যতœ

-

শীতের কনকনে ঠাণ্ডা শীতল দিনগুলো ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে শিশুদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে সতর্ক হন। তাদের দেহ অত্যন্ত কোমল ও নরম হয়ে থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম; যার কারণে শিশুদের যেকোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই ঘরের তাপমাত্রা মূল্যায়ন করে সে অনুযায়ী শিশুকে পোশাক পরাতে হবে; যেন শীত না লাগে ও বেশি গরম না হয়। একই সাথে শিশুকে সঠিকভাবে স্তন্যপান করাতে হবে। এটি শিশুর পুষ্টির প্রধান উৎস। আদর্শগতভাবে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধই পুষ্টি এবং অ্যান্টিবডি হিসেবে কাজ করে থাকে। মায়ের বুকের দুধ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি সর্দি-কাশি প্রতিরোধী। সুতরাংশিশুকে যতটা সম্ভব স্তন্য পান করাতে হবে।
শীতকালে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে ঠাণ্ডা লাগা বা সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই একটি অতিরিক্ত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাকে অবশ্যই নির্ধারিত তারিখে টিকা দিতে হবে। শিশুকে সঠিক সময়ে সঠিক টিকা দান করালে সুস্থ রাখা সম্ভব। শিশুর কোনো একটি সময়সূচিকেও এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। একান্ত প্রয়োজন না হলে বাইরে ঠাণ্ডা কনকনে বাতাসের মধ্যে বের হওয়া এড়িয়ে এগিয়ে চলতে হবে। যদি শিশুকে নিতান্তই বাইরে নিয়ে যেতে হয়; তখন গরম পোশাক পরাতে হবে। তার বুক কান, হাত-পা ঢেকে রাখতে হবে। বুকের সাথে জড়িয়ে রাখতে হবে। মা-বাবাকে অনেক সময় শিশুর সাথে ব্যয় করতে হবে। শিশুর মঙ্গলার্থেই মা-বাবাকেও পরিষ্কার ও সুস্থ থাকার চেষ্টা করতে হবে। শিশুকে কোলে নেয়ার আগে হাত-পা ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে, সম্ভব হলে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। পরিবারের যেকোনো সদস্য বা বাড়িতে আগত অতিথিদের যেকোনো ব্যক্তি থেকেই শিশুর মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে পারে; তাই শিশুর কাছে যাওয়ার আগে বিনয়ের সাথে তাদের হাত ধুয়ে নিতে বলতে হবে।
কথায় আছে, ‘আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ’। কিন্তু শিশুর সঠিক যতেœর ব্যাপারে এখনো অনেক পরিবার এ ব্যাপারে উদাসীন। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মা-বাবা বেশি উদাসীন থাকেন। তারা তো নিজেদের শরীরের প্রতিই কোনো পরিচর্যা করেন না। শিশুদের যতœ কিভাবে নিতে হয় তাও চানেন না। আমাদের সচেতনতার সাথে শিশুদের যতেœর প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। হ
লেখক : শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ


আরো সংবাদ



premium cement